
বৃষ্টিবলয় কি?
আমরা দেখতে পাই গরমকালে গরম পড়ে, কিন্তু তাপপ্রবাহ শুরু হলে গরম একটু বেশি পড়ে।
তেমনি ভাবে বর্ষাকালে বৃষ্টি হয়, কিন্তু বৃষ্টিবলয় চালু হলে বৃষ্টি অনেক বেশি হয়। সেই বেশি বৃষ্টি হওয়ার সময়টুকুকেই বৃষ্টিবলয় বলা হয়।
বৃষ্টিবলয়কে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন-
বিচ্ছিন্ন বৃষ্টি বলয় : এই বৃষ্টিবলয়ে দেশের কয়েকটি স্থানে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকে।
আংশিক বৃষ্টি বলয় : এই বৃষ্টিবলয়ে দেশের কিছু নির্দিষ্ট এলাকাতেই বৃষ্টি দিবে।
পুর্ণাঙ্গ বৃষ্টি বলয় : এই বৃষ্টিবলয়ে সারাদেশের প্রায় ১০০% এলাকাতেই কমবেশি বৃষ্টি হবে।
স্থানিয় বৃষ্টি বলয় : এই বৃষ্টিবলয়ে দেশের একটি ছোট বা বড় স্থানেই কেবল বৃষ্টি হবে।
বৃষ্টিবলয়ে বৃষ্টিপাতের পরিমানের উপর ভিত্তি করে বৃষ্টিবলয়কে কয়েকটি ক্যাটেগরিতে ভাগ করা যায়।
দুর্বল বৃষ্টিবলয় : ১ থেকে ২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়।
মাঝারি বৃষ্টিবলয় : ২১ থেকে ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়।
ভারি বৃষ্টিবলয় : ৫১ থেকে ১৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়।
অতিভারী বৃষ্টিবলয় : ১৫১ থেকে ২৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়।
প্রবল বৃষ্টিবলয় : ২৫১ থেকে ৪০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়।
মহা বৃষ্টিবলয় : ৪০১ থেকে ৬০০+ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়।
যাইহোক এবারে বৃষ্টিবলয় নিহারিকা সম্পর্কে বালা যাক।
এটি প্রায় পূর্ণাঙ্গ প্রবল শক্তিশালী বৃষ্টিবলয় নিহারিকা।
BWOT সূত্র মতে
২৯শে এপ্রিল থেকে ৫ই মে ২০২২ পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে দেশের প্রায় সকল এলাকায় বৃষ্টি বর্ষণ করে যাবে নিহারিকা। নিহারিকার কারণে বৃষ্টিবাহী মেঘেদের গতিপথ হবে পশ্চিম, উত্তর পশ্চিম হতে পূর্ব, দক্ষিণ পূর্ব দিকে। নিহারিকার প্রভাবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে, হটাৎ পশ্চিম আকাশে মেঘ দেখা দিবে, এরপর দমকা হাওয়া, তারপর বজ্রবৃষ্টি, এরপর আকাশ পরিস্কার হয়ে যাবে। এইটা বৃষ্টিবলয় নিহারিকা এর প্রধান বৈশিষ্ট।
নিহারিকায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হবে সিলেট বিভাগ।
দ্বিতীয় আক্রান্ত হবে ময়মনসিংহ বিভাগ।
তৃতীয় আক্রান্ত হবে ঢাকা বিভাগ।
চতুর্থ আক্রান্ত হবে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগ।
পঞ্চম আক্রান্ত হবে বরিশাল বিভাগ।
ষষ্ঠ আক্রান্ত হবে চট্টগ্রাম বিভাগ।
সপ্তম আক্রান্ত হবে খুলনা বিভাগের দক্ষিণ পশ্চিম অংশ।
বৃষ্টি বলয় নিহারিকার কারণে সিলেট বিভাগ সহ উত্তর অঞ্চলে একটানা ও দফায় দফায় বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। দেশের বাকি অংশে হটাৎ করে পশ্চিম আকাশ কালো হয়ে দমকা হাওয়া সহ বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। প্রবল কালবৈশাখী ঝড়, শিলাবৃষ্টি থাকতে পারে দেশের অনেক এলাকায়। নিহারিকা চলাকালীন সময়ে দেশের সমুদ্র কিছুটা উত্তাল থাকতে পারে।
ঈদটা তাহলে বৃষ্টিস্নাত হতে যাচ্ছে!
সকলকে অগ্রীম সম্ভাব্য বৃষ্টিস্নাত ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা রইলো।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


