মিথ্যে কথা লিখলাম। মেলাটা আশ্রেমে না। আশ্রমে যাবার পথে, আশ্রমের সামনেই একটি কীর্তনখোলা মন্দির আছে (আসলে শ্মশান)। প্রতি বছর ফেব্রুয়ারির ৩, ৪, ৫ ও ৬ তারিখ পর্যন্ত সেখানে লীলা কীর্তন গান হয়। সাথে থাকে লঙ্গরখানা অর্থাৎ দর্শনার্থীদের বিনামূল্যে অন্ন বিতরণ, ভাত, ডাল, সবজী এইসব। এবছর মন্দির থেকে আশ্রমের জন্য নিমন্ত্রণ পত্র দিয়ে গেছে, আমরাওযে ওদের প্রতিবেশী হয়েছি। লঙ্গরখানার জন্য এক বস্তা চাল আশ্রম ডোনেট করেছে।
মন্দিরের পাশের মাঠে বসে মেলা। ৩ তারিখে মেলা খুব একটা জমে না। তবে দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ ৪ তারিখ থেকে শেষ দিন ৬ তারিখ পর্যন্ত খুব লোক সমাগম হয়। নানার রকম খাবার আর খেলনা পাওয়া যায়। নানান জিনিসের পসরা নিয়ে বসে নানান দোকানীরা। সবটাই গ্রামীণ মেলা।
আগামীকাল জুম্মার নামাজ শেষ করে বিবি-বাচ্চাদের নিয়ে চলে যাবো আশ্রমে। আশ্রমে থাকবো এক রাত। পরদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত থেকে মেলা দেখে ফিরে আসবো বাসায়।
উপরের ছবিগুলি ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ৬ তারিখে তুলেছে বন্ধু ইস্রাফীল।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:৫৩