আমার পছন্দের লেখকদের একজন সমরেশ মজুমদার। সেই ছাত্রাবস্থা থেকে পড়ছি সমরেশ মজুমদারের উপন্যাস। কত কত গল্প-উপন্যাস পড়েছি তার সব নাম মনে নেই। কিছু কিছু নাম মনে আছে যেমন-
উত্তরাধিকার, কালবেলা, কালপুরুষ, গর্ভধারিণী, অগ্নিরথ, আট কুঠুরি নয় দরজা, আমাকে চাই, কষ্ট কষ্ট সুখ, দায়বন্ধন, বিনিসুতোয়, সাতকাহন, বন্দীনিবাস, শেষের খুব কাছে, জীবন যৌবন, আহরণ, এত রক্ত কেন, এই আমি রেণু, উনিশ বিশ, হিরে বসানো সোনার নাকফুল ইত্যাদি।
এগুলির মধ্যে আলাদা করে বলা যায় আট কুঠুরি নয় দরজা উপন্যাসটির কথা। উপন্যাসটি পড়ার সময় প্রথম কয়েক পাতা পড়ার পরে মনে হয়েছে আমি মনযোগ দিয়ে পড়ি নাই, কিছু মিস করেছি। পাতা উলটে আবার পড়া শুরু করেছিলাম প্রথম থেকে। এক টানে পুরো উপন্যাস পড়ে শেষ করেছি। মাঝে শুধু ওয়াস রুমে যেতে হয়েছিলো। এমন ম্যারাথন পড়া আমি খুব একটা পড়ি না। এই আট কুঠুরি নয় দরজা উপন্যাসটি আমি একাধীক বার পড়েছি।
আবার বলা যায় গর্ভধারিণী'র কথা। এই উপন্যাসটি পড়ার সময় একটা পর্যায় থেকে আমার মনে হয়েছে আমি যেনো সেখানে উপস্থিত রয়েছি। সব কিছু যেনো আমার চোখের সামনে ঘটছে। এমন একটা ঘোর লাগা মায়া তৈরি হয়ে ছিলেও বিশাল ঐ উপন্যাসটি পড়ার সময়।
উত্তরাধিকার, কালবেলা, কালপুরুষ ত্রয়ীর কথা বলার কিছু নেই, পড়ুয়া সকলেই এই ত্রয়ীর সাথে পরিচিত। পড়া না থাকলেও নাম জানেন অন্তত। আমি শুরু করেছিলাম কালপুরুষ উপন্যাস দিয়ে। তারপরে হাতে এসেছিলো কালবেলা। আর সবার শেষে পড়েছিলাম উত্তরাধিকার। পুরাই উলটা পথে হাঁটা।
সমরেশ মজুমদার হাঁটা শুরু করেছেন মহাকালের পথে। আর কোনো উপন্যাস আসবে না উনার হাত ধরে। বছর কয়েক আগে সমরেশ মজুমদারের উন্যাস গুলি পড়া শুরু করেছিলাম একাধারে আবার। কিন্তু শেষ করা হয়নি। ভাবছি এবার আবার শুরু করবো শেষ করার লখ্যে।
বিদায় "সমরেশ মজুমদার"।