somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রক/মেটাল ভাল লাগেনা যাদের তাদের জন্য.....এপোক্যালিপটিকা

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

রক আর মেটাল গান মানেই কি হেভি ডিসটর্টেড গীটার, ডাবল/ট্রিপল বেস ড্রাম? হেলসিংকির (ফিনল্যান্ড) ব্যান্ড এপোক্যালিপটিকা অন্যতম ব্যান্ড যারা এই ধারণাকে সম্পূর্ণ ভুল প্রমাণ করেছে। তাদের একমাত্র ইনস্ট্রুমেন্ট হচ্ছে সেলো! ব্যান্ডের তিন মেম্বারই সেলো স্টাডিতে গ্র্যাজুয়েট।

১৯৯৩ সালে হেলসিংকির তথা ফিনল্যান্ডের একমাত্র মিউজিক ইউনিভার্সিটি Sibelius Academy এর চার ছাত্র Eicca Toppinen, Paavo Lötjönen, Max Lilja, and Antero Manninen একসাথে কভার করেন মেটালিকার কিছু গান। এরপর এক হেভি মেটাল ক্লাবে তারা একসাথে পারফর্ম করেন, তখন তাদের সাথে নতুন যোগ দেন Perttu Kivilaakso (পরবর্তীতে ১৯৯৯ সালে তিনি পারমানেন্ট মেম্বার হিসেবে ব্যান্ডে যোগ দেন)। ঐ কনসার্টে অডিয়েন্সে ছিলেন Kari Hynninen নামের এক ভদ্রলোক যিনি জড়িত ছিলেন যেন গার্ডেন রেকর্ডসের সাথে, তিনিই পরে ব্যবস্হা করেন ব্যান্ডটিকে প্রমোট করতে। এরপর ১৯৯৬ সালে প্রথম বের হয় এপোক্যালিপটিকার এলবাম, যা ছিলো মেটালিকার বিখ্যাত গান গুলোর কভার, শুধু সেলো ব্যবহার করে। পরের এলবামে ১৯৯৮ সালে (Inquisition Symphony) নিজেদের কম্পোজ করা তিনটি গানও থাকে কভার গান গুলোর সাথে। ১৯৯৯ সালে ব্যান্ড ছাড়েন Antero Manninen আর ২০০২ সালে ছাড়েন Max Lilja, যার রিপ্লেসমেন্ট হিসেবে কাউকে আর দেখা যায়নি।

২০০৩ সালের আগ পর্যন্ত কোন ড্রামার ছিলনা, আসলে কোন গানে ড্রামসের ব্যবহারই ছিলনা এপোক্যালিপটিকার। ২০০৩ থেকেই তারা গানে ড্রামস ব্যবহার শুরু করে। বেশ কয়েকজন সেশনাল ড্রামার আসা-যাওয়ার পর Mikko Sirén কে তারা পারমানেন্ট ড্রামার হিসেবে ডিক্লেয়ার করে, এখনো আছেন Mikko Sirén.

এপোক্যালিপটিকার প্রায় সব গানেই ভোকাল থাকেন গেস্ট ভোকাল, অন্তত বিখ্যাত হয়েছে যে কয়টি গান। গেস্ট ভোকালরা নিজেদের ব্যান্ড বা ক্যারিয়ারে যথেস্ট সফল, কিন্তু ব্যান্ডের সুনাম সেজন্য হয়নি, হয়েছে গানের বৈচিত্রের জন্য। ভোকালদের নাম দেখুন কয়েকটা, Adam Gontier (Three Days Grace), Corey Taylor (Slipknot/Stone Sour), Cristina Scabbia (Lacuna Coil), Matt Tuck (Bullet for My Valentine), Max Cavalera (Soulfly, Cavalera Conspiracy, Nailbomb, ex-Sepultura), Sandra Nasić (Guano Apes), Till Lindemann (Rammstein).....এবং আরো অনেকে। আর সেশনাল ড্রামার ছিলেন Dave Lombardo (Slayer), Mikko Sirén পারমানেন্ট হওয়া পর্যন্ত।

এখন পর্যন্ত এলবাম বেরিয়েছে ৮টা, যার মধ্যে একটা শুধু জাপানের জন্য। ২০০৭ এর এলবাম Worlds Collide ব্যাপক সফলতা পাওয়ার পর এখন কাজ চলছে পরের এলবামের, ২০১০ এ বের হবে। Worlds Collide এর গান I Don't Care এ গেস্ট ভোকাল ছিলেন Adam Gontier (Three Days Grace), যা পরিণত হয় প্রথম ফিনিশ সিঙ্গেলসে যা কিনা পায় বিলবোর্ডে মেইনস্ট্রিম রক চার্টে ১ নং পজিশন। Adam Gontier দুইবার রেকর্ড করেন গানটা, প্রথমবারেরটা তার কাছে এপোক্যালিপটিকার মানের ব্যান্ডের জন্য বেমানান মনে হওয়ায় কানাডা থেকে আবার যান পুনঃ রেকর্ড করতে। গানের ভিডিওটা আমি নিচে যোগ করছি, সুন্দর গান।


অথবা ট্রাই করুন: http://www.youtube.com/watch?v=SbfmEZ1pvHU

আরেকটা গান দেখুন, এটা ড্রামস ছাড়া, ভোকাল Sandra Nasić (Guano Apes).


এবং সবশেষে দেখুন একটা মেটাল, গেস্ট ভোকাল Matt Tuck (Bullet for My Valentine), Max Cavalera (Soulfly).

অথবা: http://www.youtube.com/watch?v=E09r_KLOHEY





এমপিথ্রী ডাউনলোড লিংক:
Apocalyptica Featuring Matt Tuck & Max Cavalera - Repressed
Apocalyptica ft. Adam Gontier - I Dont Care
Apocalyptica - Path Vol. 2 (Feat. Sandra Nasic)
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মার্চ, ২০১২ সকাল ৭:৪২
২৪টি মন্তব্য ২৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস-পরীক্ষার হলে দেরিঃ পক্ষ বনাম বিপক্ষ

লিখেছেন BM Khalid Hasan, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



বর্তমানের হট টপিক হলো, “১ মিনিট দেরি করে বিসিএস পরীক্ষার হলে ঢুকতে না পেরে পরীক্ষার্থীর স্বপ্ন ভঙ্গ।” প্রচন্ড কান্নারত অবস্থায় তাদের ছবি ও ভিডিও দেখা যাচ্ছে। কারণ সারাজীবন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৮




আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না। আমাদের দেশে মানুষ জন্ম নেয়ার সাথেই একটি গাছ লাগানো উচিৎ । আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানবতার কাজে বিশ্বাসে বড় ধাক্কা মিল্টন সমাদ্দার

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৭


মানুষ মানুষের জন্যে, যুগে যুগে মানুষ মাজুর হয়েছে, মানুষই পাশে দাঁড়িয়েছে। অনেকে কাজের ব্যস্ততায় এবং নিজের সময়ের সীমাবদ্ধতায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না। তখন তারা সাহায্যের হাত বাড়ান আর্থিক ভাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস দিতে না পেরে রাস্তায় গড়াগড়ি যুবকের

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

আমাদের দেশে সরকারি চাকরি কে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। আমি যদি কোটি টাকার মালিক হলেও সুন্দরী মেয়ের বাপ আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিবে না। কিন্তু সেই বাপ আবার ২০... ...বাকিটুকু পড়ুন

×