আমি বলছি না লোকালয়ে চুমু খেতেই হবে।
-------------------------------------------
আমি বলছি না লোকালয়ে চুমু খেতেই হবে। তবে এটুকু বলতে চাই - প্রিয়জনকে লোকালয়ে এক মুহূর্তের জন্য জড়িয়ে ধরলে বা চুমু খেলে রাষ্ট্রের হাজার কোটি টাকা লোকসান হয় না। ধনী আরও ধনী আর গরীব আরও গরীব হয়ে যায় না। এতে লাগামহীন দুর্নীতি হয় না, কালোবাজারি করে কেউ আঙুল ফুলে কলাগাছও হয় না। তবুও ভালোবাসার সামান্য প্রকাশকে ঘিরে সমাজের বড় অংশ নাক সিঁটকায়, ছিঃ ছিঃ করে।
অথচ একই সমাজ দুর্নীতিবাজ রাজকর্মচারী, কমিশনখোর ঠিকাদার কিংবা অসৎ রাজনৈতিক নেতাকে দেখে চুপ থাকে। বরং অনেকে সুযোগ বুঝে তাদের সঙ্গেই মিশে যায়। ভালোবাসার পবিত্র প্রকাশ দেখে যতটা ‘ছিঃ ছিঃ’ করা হয়, দুর্নীতিবাজকে দেখে যদি তার একভাগও ঘৃণা করা হতো, তাহলে আজ আমাদের রাষ্ট্র এতটা পচে যেত না। দুর্নীতির শিকড় এতো গভীরে প্রথিত হতো না।
আমাদের নৈতিকতার মানদণ্ড যেন উল্টো। যেখানে ভালোবাসার মানবিক দিককে অপরাধ হিসেবে ধরা হয়, সেখানে রাষ্ট্রের ভেতরকার লুটপাট, প্রতারণা আর বিশ্বাসঘাতকতাকে আমরা উপেক্ষা করি। অথচ এ উপেক্ষাই দুর্নীতিকে দিন দিন বেড়ে ওঠার অবকাশ দিচ্ছে।
সময় এসেছে সমাজকে নতুনভাবে প্রশ্ন করার কিসের বিরুদ্ধে আমরা আসলেই সোচ্চার হবো? মানুষের প্রাকৃতিক ভালোবাসার প্রকাশের বিরুদ্ধে, নাকি জাতির শিকড় কেটে খাওয়া দুর্নীতির বিরুদ্ধে? যতদিন আমরা প্রতিবাদ উল্টো করবো, ততদিন দুর্নীতির ক্যান্সার আমাদের রাষ্ট্রকে খেয়ে যাবে। এখনই দরকার ভালোবাসাকে স্বাভাবিকভাবে মেনে নেওয়া, আর দুর্নীতিকে অস্বাভাবিক ঘৃণার চোখে দেখা।


অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


