পানি খেলে ক্ষুধা কমে, এটা সবার জানা। আর প্রতিদিন আট গ্লাস করে পানি খেলে কমবে অতিরিক্ত মেদ, কমবে ওজন।
এর কারণ হিসেবে গকেষকরা জানিয়েছেন, পর্যাপ্ত পানি ছাড়া কিডনি ভালো মতো কাজ চালাতে পারে না। যখন কিডনি তার স্বাভাবিক কাজ গুলো করতে পারে না, তখন এর কিছু কাজ করতে হয় যকৃৎকে। এদিকে যকৃতের কাজ হলো বিপাক ক্রিয়ায় খাদ্য এবং চর্বিগুলো শোষণ করে তা দেহের শক্তিতে রূপান্তরিত করা।
কিন্তু যকৃৎ যদি কিডনির কাজ গুলো করতে থাকে, তাহলে যকৃতের স্বাভাবিক কাজ ব্যাহত হবে। অর্থাৎ, যকৃৎ খাদ্য ও চর্বি বিপাকের কাজ ঠিক মতো করতে পারবে না। এরফলে চর্বি গুলো শক্তিতে রূপান্তরিত না হয়ে তা দেহে জমতে থাকবে এবং বাড়বে স্থূলতা।
এই জটিল সমস্যা এড়ানোর সবচেয়ে সহজ উপায় হলো বেশি করে পানি পান করা। এরফলে কিডনি থাকবে সচল, সে করবে তার কাজ এবং যকৃতের কাজেও ঘটবে না কোনো ব্যাঘাত।
কিন্তু, এখন প্রশ্ন হলো কতটুকু পানি প্রতিদিন চায় আমাদের কিডনি? গবেষকরা এর উত্তরও বলে দিয়েছেন। গবেষকরা জানিয়েছেন, প্রতিদিন কমপক্ষে আট গ্লাস করে পানি পান করতে হবে। এর বেশি পান করলেও কোনো সমস্যা নেই। যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন এবং গরমের সময় আট গ্লাস পানির চেয়ে বেশি পান করা অনেক জরুরি।
কারণ, পানি যত বেশি পান করা যাবে দেহের জন্য তা ততই ভালো। পানি ওজন কমানোর পাশাপাশি দূর করে কোষ্ঠকাঠিন্য, চর্ম রোগ, হজম সমস্যা সহ আরো অনেক রোগ। এক কথায় বলা যায, সব রোগের পথ্যই এই পানি।
সুত্র- ইন্টারনেট।