[জ্বলন্ত অগি্নকুণ্ডে জলজ্যান্ত একটা মানুষকে পৈশাচিকভাবে পুড়িয়ে মারার পর]
এসো, দিনলিপিটায় দাগ টানি
ওটা অর্থব, ছিঁড়ে ফেল!
সনাতন বুড়োখোকার দল
হয়তো জাতমন্ত্র জপবার অজুহাতে
রব তুলবে_'গেল গেল, সব শ্যাষ!'
ভয় পেয়ো না
ওটা প্রাগৈতিহাসিক বাগধারা
কুলীন তত্ত্বের সহীহ্ ফতোয়া
ছিঁড়ে ফেল!
শাসন করে মূর্খের দল
নিষেধাজ্ঞার নীল নকশা আঁকা ইশতেহারে
দেয় বুড়ো আঙুলের ছাপ
সংস্কৃতি ও সভ্যতা রক্ষার অজুহাতে
সম্ভাবনা নামের তরুণীকে
মারা হয় একশ এক দোররা;
আর বিবেক মশাল হাতে যে তরুণ
সেও নিক্ষেপিত হয় রাজনৈতিক অগি্নকুণ্ডে
আমরাও দাঁত মেজে যাই রোজ কোজআপে
প্রতিবাদহীন ঘামের দুর্গন্ধ ঢাকি মধ্যবিত্ত ডিওডোরেন্টে
সন্ধ্যার আবছায়াতে খেলি প্রেমিকার শরীর
আমাদের শোক-অনুতাপ-ক্ষোভ
জমা হয় রোজ--সুয়ারেজ লাইনে
এবং গোরস্থানে হাইরাইজ বিল্ডিং তৈরির বিবিধ অভিপ্রায়!
বড় বেশি উদাসীন হলে লিখে ফেলি দুচারটা শিশুকাব্য
নয়তো মুখ লুকাই প্রিয়ার আঁচলে
দগ্ধ বিবেকের ঘ্রাণ ভুলি নারী মাংসের সোঁদা গন্ধে
স্তন কামড়ে জানান দেই পৌরষত্বের।
এবং আমাদের সামনে, প্রকাশ্য ময়দানে
আমাদের বিবেক বিক্রি হয় খুচরো পয়সায়
প্রতিদিন ধর্ষিত হয় আমাদের বিশ্বাস
নিজ পিঠ চাপড়ানোর চেষ্টায় রত এই আমরা
কোরাস স্তূতি গাই ঈশ্বরের
অথর্ব ঈশ্বর দায়ভারের হুইল চেয়ার টেনে
হন্যে হয়ে খোঁজেন ইনহেলার।
দুঃস্বপ্নে চমকে উঠে তুমি হাত বাড়াও পানির গ্লাসে
নিরাপত্তাহীনতার কথা লেখ খবরে-পত্রিকায়
তার চেয়ে রুখে দাঁড়াও!
একবার, একটি মুহূর্ত মাত্র।
দুবর্ুদ্ধিজীবীরা লেজ গুটিয়ে পালাবে
পেছনে তাদের খোঁড়া তত্ত্ব-তাবাশ।
দিনলিপিটায় আগুন জ্বালো
ওটা অর্থহীন!

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




