১/ যে সব জেলায় করোনা পাওয়া গেছে সে সব জেলা ফুল লক ডাউন করেন, যার খাবার, ওষুধ দরকার ঘরে ঘরে পৌছে দেন। ঘর থেকে ১ মাসে একটা বিড়াল ও যেন বের না হয়। বাকি এলাকা আংশিক লক ডাউন করেন। গন হারে পরীক্ষা করেন, রোগীদের আইসোলেসানে নেন বা হাসপাতালে নেন। এক মাস পর সব ঠিক হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
অথবা
২/ পুরো দেশ খুলে দেন। সব কর্মকাণ্ড স্বাভাবিক ভাবে চলুক। যে যার মত করোনায় আক্রান্ত হোক। কয়েক লাখ মানুষ বিনা চিকিৎসায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাক। শুধু মিডিয়ার খবর নিয়ন্ত্রন করলেই হবে। এক সময় সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
বাস্তবে আমরা সেই পথেই হাটছি। সরকার ফুল লকডাউন বাস্তবায়ন করতে পারে নি। সবার ঘরে খাবার পৌছাবার ইচ্ছা বা ক্ষমতা তাদের নেই। টেষ্টের পরিমান বাড়লেও এই পরিস্থিতিতে তা কোন ভাবেই পর্যাপ্ত নয়। সব রোগীকে আইসোলেসানে নেয়া বা চিকিৎসা দেয়ার চেষ্টা বা সামর্থ নেই। হোক তা পরিকল্পনা বা সম্পদের অভাব।
লক ডাউন সম্ভবত এপ্রিলের শেষ, বড়জোর মে'র মাঝামাঝি পর্যন্ত চলতে পারে। তবে যেভাবে চলছে তা যে কাজ করছে না বলাই বাহুল্য।
২৬ মার্চ থেকে লক ডাউন চলছে। আজ ১৩ই এপ্রিল। ১৯ দিন। এখন যারা ধরা পরছে এরা লকডাউন শুরু হওয়ার পর ইনফেকটেড হয়েছে। মানে সব কিছু ঠিক ভাবে চলছে না।
আমরা দ্বিতীয় পথেই হাটছি।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:১৪