বাংলাদেশে প্রায় দশ লাখ ভারতীয় কাজ করে ১০ বিলিয়ন ডলার নিয়ে যাচ্ছে। শেখ হাসিনার আমলে বিভিন্ন প্রযেক্টে ভারতীয় লেবার পর্যন্ত আনা হয়েছে যার কোনো প্রয়োজন ছিল না। এই সরকার এখনো এর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয় নি। আশা করি খুব শিগ্রই ব্যবস্থা নিয়ে এদেশের বেকার তরুন যুবকদের কাজের ব্যবস্থা করে দেবেন।
ভারত থেকে আদানির বিদ্যুৎ আনা হত ১৬০০ মেগাওয়াট এবং জাতীয় গ্রিড থেকে আনা হত প্রায় ১২০০ মেগাওয়াট। আদানির বিদ্যুৎ সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে বন্ধ হয়ে গেছে। বাকিটাও বন্ধ করে দেয়া উচিত। হাসিনার সরকারের মতে আমাদের উৎপাদন সক্ষমতা ২৫০০০ মেগাওয়াট এবং চাহিদা ১৬০০০ মেগাওয়াট। সুতরাং ভারত থেকে বেশি দামে বিদ্যুৎ আনার কোন প্রয়োজন নেই।
চিকিৎসায় আমরা এখনো অনেক পিছিয়ে আছি। এক্ষত্রে আমাদের আরো কিছুদিন ভারতের উপর নির্ভর করতে হবে। আশা করি নতুন সরকার আশু পদক্ষেপ নেবেন যাতে আমাদের চিকিৎসার জন্য আর বিদেশ যেতে না হয়।
আমরা খাদ্য পন্য ও শিল্পের কাচামাল ভারত থেকে আমদানি করি। খাদ্যপন্যে আমরা প্রায় স্বংসম্পূর্ন। পরিকল্পিত ভাবে কৃষি ব্যবস্থাপনা করতে পারলে হয়ত আমাদের আর খাদ্য ও কৃষি পন্য আমদানি করতে হবে না।
এছাড়া শপিং ও পর্যটনে আমাদের প্রচুর মানুষ ভারতে গিয়ে আরো প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার খরচ করে। এক্ষেত্রে আমরা কিছুদিন সংযম করতে পারলে আমাদের ডলার যেমনি সেভ হবে তেমনি আমারা ভারতের সাথে ব্যলেন্স অফ পেমেন্টের ঘাটতি কিছুটা কমাতে পারব।
আমাদের অন্তত দুই বছর অপ্রয়োজনে ভারত যাওয়া থেকে বিরত হওয়া উচিত। এতে করে ভারতকে কিছুটা চাপে রাখা যাবে।
অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হলে নাহয় আমরা আবার ভারতে বেড়াতে যাব।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১:৪৭