মাযহাব সম্পর্কে জানার কৌতুহল আমার ছিল। মাযহাব কি ? কেন আমরা মাযহাব মেনে চলি ? ইত্যাদি।
অবশেষে যা জানতে পারি তা নিম্নরূপ -
মাযহাব অর্থ চলার পথ। ইহাই সঠিক অর্থ। কিন্তু মাযহাবীদের মতে মাযহাব অর্থ মত ও পথ। এই অর্থে দুনিয়াতে যত মত ও পথ আছে সবই মাযহাব। তাহারা বলেন, ইমাম আবু হানিফার মত ও পথ হানাফী মাযহাব। ইমাম মালেকের মত ও পথ মালেকী মাযহাব। ইমাম শাফেয়ীর মত ও পথ শাফেয়ী মাযহাব। ইমাম আহমদ বিন হাম্বলের মত ও পথ হাম্বলী মাযহাব। তাহলে নবী মোহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর মত ও পথকে কি বলবেন ?
যে সকল ইমামদের নামে তাদের ভক্তরা মাযহাব বানিয়েছে, ঐ সকল ইমামদের জন্মের আগে কোন মাযহাব ছিলনা এবং তাদের যামানায়ও মাযহাব হয় নি। মাযহাব হয়েছে তাদের মৃত্যুর বহু দিন পরে।
(১) ইমাম আবু হানিফার জন্ম ৮০ হিজরীতে আর তার মৃত্যু ১৫০ হিজরীতে। (২) ইমাম মালেকের জন্ম ৯০ হিজরীতে আর তার মৃত্যু ১৭৯ হিজরীতে। (৩) ইমাম শাফেয়ীর জন্ম ১৫০ হিজরীতে আর তার মৃত্যু ২০৪ হিজরীতে। (৪) ইমাম আহমদ বিন হাম্বলের জন্ম ১৬৪ হিজরীতে আর তার মৃত্যু ২৪১ হিজরীতে।
মাযহাব হয়েছে ৪০০ হিজরীতে। ইমাম আবু হানিফার মৃত্যুর আড়াইশো বৎসর পরে। তাহলে আমরা মাযহাব মেনে চলি কেন ?
তাছাড়া চার ইমামের জন্মের পূর্বেও তো ইসলাম ছিল, মুসলমান ছিল। তখন তাদের কারো মত ও পথের দরকার হয় নি, এখন দরকার কেন ?
তাছাড়া কেউই ভূলের উর্দ্ধে নয়। তখনও মুসলমানদের কাছে কোরআন হাদীস ছিল, এখনও আছে। কাজেই কোরআন ও সহীহ্ হাদীসই যথেষ্ট। চার মাযহাবের কোন একটিও মেনে চলার জন্য আল্লাহ ও রাসূলের নির্দেশ নাই।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





