সানি লিওন। ভারতীয় বংশোদ্ভূত কানাডীয় এই অভিনেত্রীর মূল পরিচয়—তিনি একজন পর্নো অভিনেত্রী। আগামী মাসেই বলিউডে অভিষেক হতে চলেছে তাঁর। চিত্রপরিচালক পূজা ভাটের ‘জিসম ২’ ছবিতে দেখা যাবে লিওনকে। ভারতে সানি লিওনের জনপ্রিয়তা এখন তুঙ্গে।
পর্নো তারকা লিওনের ভারতে জনপ্রিয়তা পাওয়ার বিষয়টা ভালো চোখে দেখছেন না বাংলাদেশের ‘বিতর্কিত’ লেখিকা তসলিমা নাসরীন। ১৯৯৪ সাল থেকে নির্বাসনে থাকা এই লেখিকা মনে করেন, লিওনকে জনপ্রিয় করে তোলার মাধ্যমে নিজেদের মেয়েদেরকেই আসলে পর্নো তারকা হতে উদ্বুদ্ধ করছে ভারতীরা।
লিওনের জনপ্রিয়তায় হতাশা প্রকাশ করে এক টুইটার বার্তায় তসলিমা বলেছেন, যখন আপনি একজন পর্নো অভিনেত্রীকে সেলিব্রেটি বানিয়ে তুলছেন, আপনি আসলে আপনার মেয়েকে মহাকাশচারী, প্রকৌশলী বা চিকিত্সক হওয়ার স্বপ্ন না দেখিয়ে একজন পর্নো অভিনেত্রী হতে উদ্বুদ্ধ করছেন।
তসলিমা নাসরীন এবং সানি লিওন একই নৌকার যাত্রী। পার্থক্য একজন পর্নো অভিনেত্রী, অন্যজন পর্নো লেখিকা। এক জন রগরগে কাহিনী লেখেন।আরেক জন রগরগে অভিনয় করেন।
উপরে তসলিমার কথাগুলা সত্য, কিন্তু সে যে নীতি অবলম্বন করেছে, সেই নীতিতে চলতে গিয়ে অনেক মেয়েই পরোক্ষভাবে পর্ণোতারকা হয়ে গেছে, তসলিমার বইও এজন্য সমান ভাবে দায়ী। আর এভাবে সব সেকুলারদের মধ্যেই খুজলে পাওয়া যাবে হিপক্রেসির এক বিশাল ভাণ্ডার।
অন্যদিকে তসলিমার মত নারীবাদি লেখিকাও ব্যপারটা অনুধাবন করেছেন নারী স্বাধীনতার নামে নগ্নতা, সাজে না . সমাজে ঘটে যাওয়া নানা অশালীন অপরাধের বিকাশ সাধন করেছেন এ পণ্যরুপী সেলিব্রেটি।
খবরঃ জি নিউজ এর

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




