অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ‘পদ্মা সেতুর নামে যারা চাঁদা তুলছে, তারা সবাই চাঁদাবাজ। তাদের ধরে পেটানো উচিত।’
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে সামাজিক বিনিয়োগ-সম্পর্কিত এ সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন। সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান উপস্থিতি ছিলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুর ব্যাপারে কাউকে চাঁদা তোলার দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। সরকার যে দুটি হিসাব খুলবে, সেখানে মানুষ টাকা দিতে পারবে।
কারা চাঁদা তুলবে, কারা পারবে—এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘কেউই চাঁদা তুলতে পারবে না।’
পদ্মা সেতুর জন্য টাকা তোলা নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় গতকাল সংগঠনের কর্মী আবদুল্লাহ আল হাসানের ওরফে সোহেল রানা মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক-বিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান। তবে সাধারণ সম্পাদক আবু হুসাইন তাঁর দাবি নাকচ করেছেন।
একটি সূত্র জানিয়েছে, পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ১২ জুলাই থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থ সংগ্রহ শুরু করেন। ‘আমরাই নির্মাণ করব পদ্মা সেতু’ স্লোগান নিয়ে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্থ তোলার উদ্যোগ নেন তাঁরা। ওই দিন দুপুরে ৫০০ টাকা দিয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন উপাচার্য এম আবদুস সোবহান। এরপর তিন দিন ধরে বাক্সে টাকা জমা পড়ে। কিন্তু অভিযোগ ওঠে, নেতা-কর্মীদের সবাই বাক্সে টাকা রাখছিলেন না। এই টাকা সংরক্ষণের জের ধরে রোববার বিকেলে ছাত্রলীগের নেতা আখেরুজ্জামান তাকিম ও তৌহিদ আল তুহিনের মধ্যে বাক-বিতণ্ডা হয়। এ থেকেই ঘটনার সূত্রপাত।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হুসাইন বলেন, ‘এই ঘটনা সত্য নয়, আমরা স্বেচ্ছায় পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য চাঁদা তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ তবে ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক-বিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ‘পদ্মা সেতুর জন্য টাকা তোলা নিয়েই দ্বন্দ্বের সূত্রপাত হয়।’
অন্যদিকে ছাত্রলীগের সভাপতি আহমেদ আলী মনে করেন, পূর্বপরিকল্পিত ও ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
প্রথম আলো

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




