
কাশ্মীর নিয়ে বিতর্কে ১৯৪৭ সাল থেকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে তিনটি যুদ্ধ হয়েছে। ২০০৮ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার এক সপ্তাহ আগে বারাক ওবামা বলেছিলেন, কাশ্মীরীদের আত্মমর্যাদা প্রতিষ্ঠার যে বিতর্ক এর সমাধান হবে তার গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোর একটি। তার ওই মন্তব্য ভারত সতর্ক দৃষ্টিতে নিয়েছিল।
কিন্তু তারপর থেকে তিনি কাশ্মীর নিয়ে কোন কথাই বলেননি। সমপ্রতি নিউ ইয়র্ক টাইমসে এক প্রবন্ধে এসব কথা লিখেছেন ভারতের খ্যাতনামা লেখিকা অরুন্ধতী রায়। কাশ্মীর নিয়ে দীর্ঘ ওই লেখায় তিনি আরও বলেছেন- ওবামার সফরের সময় (সোমবার) ভারতের ভূয়সী প্রশংসা করেন। বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কাশ্মীর ইস্যুতে হস্তক্ষেপ করবে না। একই সঙ্গে তিনি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের আসন পাওয়ার ক্ষেত্রে ভারতকে সমর্থন দেয়ার কথা ঘোষণা দেন। যখন সন্ত্রাসী হুমকির বিরুদ্ধে বাকপটু তখন তিনি কাশ্মীরে মানবাধিকার যেভাবে নিষ্পেষিত হচ্ছে সে বিষয়ে সম্পূর্ণ নীরব। অরুন্ধতী রায় লিখেছেন- যখন ওবামা কাশ্মীর ইস্যুতে তার অবস্থান পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেন তখন তা নির্ভর করে কতগুলো বিষয়ের ওপর। তা হলো- এক, আফগানিস্তানের যুদ্ধ কিভাবে চলছে। দুই, পাকিস্তানের কাছ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কতটুকু সাহায্য দরকার। তিন, ভারত কি এই শীতেই এয়ারক্রাফট কিনছে কিনা। (যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৫৮০ কোটি ডলারের বিনিময়ে বোয়িং সি-১৭ গ্লোবমাস্টার থ্রি এয়ারক্রাফটসহ আরও অনেক ব্যবসায়ী কেনার বিষয়টি পাইপলাইনে রয়েছে। প্রেসিডেন্ট ওবামা এ বিষয়ে নীরব ছিলেন। এতে ধরে নেয়া যায় ওই কেনাকাটায় নিশ্চয়তা থাকতে পারে।) কিন্তু কাশ্মীর ইস্যুতে ওবামার নীরবতা বা হস্তক্ষেপ কাশ্মীরের মানুষ হাতের পাথর ফেলতে পারবে বলে মনে হয় না। অর্থাৎ তারা তাদের সংগ্রাম বন্ধ করবে না। অরুন্ধতী আরও লিখেছেন, ১০দিন আগে পাকিস্তান সীমান্তের কাছে ওই সুন্দর কাশ্মীর উপত্যকায় আমি গিয়েছিলাম। সেখানে জন্ম হয়েছে এ অঞ্চলের তিনটি সভ্যতা। তাহলো- ইসলামিক, হিন্দু ও বৌদ্ধ। এটা এক পৌরাণিক ও ঐতিহাসিক উপত্যকা। অনেকে বিশ্বাস করেন, যিশুখ্রিষ্ট এখানে মারা গেছেন। আবার অনেকে বিশ্বাস করেন, তিনি হারানো উপজাতি খুঁজে পেতে সেখানে গিয়েছিলেন। এখন কাশ্মীর, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের ইসলামপন্থি জঙ্গিদের প্রভাব কাশ্মীরে বেশি। এর পরই অরুন্ধতী রায় কাশ্মীরের নির্যাতিত মানুষের চিত্র তুলে ধরেছেন।
Click This Link

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




