৫১। রেয়ার উইন্ডো (Rear Window) মুভিটি ১৯৫৪ সালে মুক্তি পায় । কাহিনী ১৯৪২ সালের শর্ট স্টোরি 'ইট হ্যাড টু বি এ মার্ডার' থেকে নেয়া হয়েছে। প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার জেফ এক র্দুঘটনায় তার একটি পায়ে আঘাত পায় । ফলে তাকে বাধ্য হয়ে হুইল চেয়ারের মাধ্যমে চলাফেরা করতে হয় । ফলে অ্যাপার্টমেন্ট থেকে বের হতে পারে না । মাঝে মাঝে তার পরিচারিকা স্টেলা এবং তার গার্লফ্রেন্ড লিসা তাকে দেখতে আসে এবং বাকী সময় তার একঘেয়ে কাটে । কোনো কাজ না পেয়ে একঘেয়ে সময়কে আনন্দময় করার জন্য সে তার অ্যাপার্টমেন্টের জানালা দিয়ে প্রতিবেশীরা কি করছে দেখার চেষ্টা করে । একসময় তার সন্দেহ হয় যে তার এক প্রতিবেশী খুন হয়েছে । একথা সে তার গার্লফ্রেন্ড , পরিচারিকা এবং এক গোয়েন্দা বন্ধু থমাস ডয়েলকে বলে কিন্তু কেউ তার কথা বিশ্বাস করে না । এতে জেফ অপমানিত বোধ করে । সে প্রমান করতে চায় যে সে ঠিক । কিন্তু সে তো অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে যেতে পারবে না । কি করে তার প্রমান করবে যে তার অনুমান সঠিক?
৫২। ক্র্যাস (Crash) আমেরিকায় কালো-সাদাদের মধ্যে দন্ধ, ভুল বোঝাবুঝি এবং একে অপরের উপর নির্ভরশিলতা নিয়ে করা অনন্য একটা মুভি। ছবিটিতে পরিচালক খুব সুন্দরভাবে জিনিষগুলো ফুটিয়ে তুলেছেন। আই এমডিভি রেটিং ৮।
৫৩। সারেং বৌ- বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জীবন সংগ্রামের গল্পে নির্মিত। সারেং (ফারুক) জাহাজে কাজ করে অনেক দিন পর ফিরে আসে নিজ বাড়িতে, তারপর ভালবেসে বিয়ে করে “নবিতন”কে (কবরী)। বিয়ের কিছু দিন পরে আবার চলে যায় জাহাজের কাজে, কদম চলে যাওয়ান মাঝে মাঝেই নবিতনের কাছে চিঠি ও টাকা পাঠায়। কিন্তু গ্রামের প্রভাবশালী “মোড়ল” (আরিফুল হক) ডাক পিয়নকে হাত করে সেইসব চিঠি ও টাকা নিয়ে নেয়, যাতে করে নবিতনের সংসারে অভাব চলে আসে। আর এই অভাবের সুযোগে নবিতনকে তার লালসার শিকার বানাতে চায়, কিন্তু নবিতন নিজে গায়ে খেঁটে ঢেঁকিতে ধান বেঁনে কোন মতে সংসার চালায়। এদিকে কদমকে “মন্টু চাচা” (গোলাম মোস্তফা) পকেটে অবৈধ মাল পুরে দিলে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়, সাজার মেয়াদ শেষ হলে সে ফিরে আসে নিজ গ্রামে।
এ ছবিটি নিয়ে ফারুক স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে একবার বলেছিলেন, এ ছবির শুটিং করতে গিয়ে তার ১০৪ ডিগ্রি জ্বর ছিল। ছবির শেষ দৃশ্যধারণের সময় এমন হয়েছিল। জ্বর নিয়ে কাদামাটিতে শুটিং করেন তিনি।
৫৪। আগোরা (Agora) মূল চরিত্র হাইপেশিয়া একজন দার্শনিক, একজন জ্যোতির্বিদ, একজন তরুনী। তার বাবা আলেক্সান্দ্রিয়া মিউজিয়াম এবং লাইব্রেরীর প্রধান, আর হাইপেশিয়ার ছাত্ররা হলো সম্ভ্রান্ত বংশের যুবকরা, হাইপেশিয়া তাদের দর্শন শেখায়, জ্যোতির্বিদ্যা শেখায়। পৃথিবী গোল না চ্যাপ্টা, পৃথিবী সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরছে, না সূর্য পৃথিবীকে কেন্দ্র করে – এই সব চিন্তায় হাইপেশিয়া মগ্ন।
এক কথায় ধর্ম আর বিজ্ঞানের এই চিরন্তন দ্বন্দ্বের চিত্র ফুটে উঠেছে ‘আগোরা’ মুভিতে।
৫৫। দি সেভেন্থ সিল (The Seventh Seal Movie) কাহিনীর পটভূমি মূলত চতুর্দশ শতাব্দী।এন্টনিয়াস ব্লক হলো সদ্য ক্রুসেড শেষ করা ক্রুসেডার। ১০ বছরের যুদ্ধ শেষ করে ঘরে ফিরছে সে.. সাথে অনুচর জনস.. ফেরার পথে মৃত্যুর সাথে দেখা হয় ব্লক এর। জানতে পারে যে ওর সময় প্রায় শেষ.. বেচে থাকার শেষ ভরসা হিসেবে ও মৃত্যুকে দাবা খেলার চ্যালেঞ্জ জানায়। যতক্ষণ খেলা চলবে ততক্ষণ সে বেচে থাকবে হেরে গেলে ওকে মেরে ফেলা হবে আর জিতে গেলে তাকে ছেড়ে দেয়া হবে। সেই সাথে চলতে থাকে ধর্ম কে নিয়ে যুদ্ধ করে ফেরা এই নাইট এর নানা প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বেড়ানো। জীবন, মৃত্যু, ঈশ্বর এর অস্তিত্ব সহ নানা বিষয়ে তার মনে তখন উত্তর না জানা অজস্র প্রশ্ন।
৫৬। ব্লাড ডায়মন্ড (Blood diamond) সরকারপন্থী ও সরকার বিরোধী গ্রুপের মধ্যকার নিষ্ঠুর সংঘর্ষ এখানে চিত্রায়িত হয়েছে। এখানে আরও দেখানো হয়েছে হীরার লোভে গৃহযুদ্ধে ইউরোপের ব্যবসায়ীদের নির্লজ্জ হস্তক্ষেপ, উঠে এসেছে হীরক-ব্যবসার অন্ধকার দিক।
অসম্ভব সুন্দর এবং হাই-ফিলোসোফিকাল মুভি ।
৫৭। ফাইলান (Failan) রোমান্টিক মুভি। একটি খুব সাধারণ মেয়ে এবং একজন গ্যাংস্টারের ভালোবাসা নিয়ে এই মুভি। ভুলতে পারবেন না এই মুভির কথা। অনেকদিন মনে থাকবে আপনার।
৫৮। লাভ লাইকস কোইনসিডেন্স (love likes coincidences) ১৯৭৭ সালে আঙ্কারা শহরে ইলমাজ যখন তার প্রেগন্যান্ট স্ত্রীকে নিয়ে হাসপাতালে ছুটে যাচ্ছিলেন, ঠিক তখন ছোট একটি দুর্ঘটনা ঘটে। তার গাড়ির সাথে ওমরের গর্ভবতী স্ত্রী ইন্সির সাথে ধাক্কা লাগে এবং তার প্রি-টার্ম লেবার শুরু হয়। ফলে একই দিনে একই সাথে ওই হাসপাতালে এই দুই দম্পতির দুটি বাচ্চার জন্ম হয়। ইলমাজ ছিলেন একজন ফটোগ্রাফার, তিনি এই দুই বাচ্চার একসাথে ছবি তুলে রাখেন। বাচ্চা দুটোর নাম রাখা হয় ওজগার এবং দেনিজ।
একটি পুর্নাঙ্গ রোম্যান্টিক মুভিতে আপনি যা যা এক্সপেক্ট করেন, এই মুভিটি আপনাকে শতভাগ দিবে।
৫৯। ক্লিক (Click) মুভিতে মাইকেল নিউম্যান একজন আর্কিটেক্ট । সুন্দরী স্ত্রী ডোনা আর দু বাচ্চা নিয়ে তার সুখের সংসার। কিন্তু পরিবারকে আরেকটু সুখের ছোঁয়া দিতে প্রাণান্তকর পরিশ্রম করছে সে। কাজের চাপে বিরক্ত হয়ে একদিন টিভির রিমোর্ট খুঁজতে গিয়ে যখন পেল না তখন ক্ষুব্ধ হয়ে একটা ইউনিভার্সাল রিমোট কন্ট্রোলের খোঁজে দোকানে ছুটল সে। অযাচিত ভাবে সেখানে দেখা পেল মর্টির। মর্টি নিউম্যানকে একটা রিমোট দেয়। বাসায় ফিরে খানিকবাদেই মাইকেল বুঝতে পারে এটা কোন সাধারণ রিমোর্ট নয়। তা দিয়ে এমন সব কাজ করা যায় যা এক কথায় অসম্ভব।
৬০। এ সিম্পল প্লান (A Simple Plan) তিনজন মানুষের গল্প। ব্যক্তিগত জীবনে তেমন সুখী বলা যাবে না তাদেরকে। যাইহোক একদিন তারা এক প্লেনে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের সন্ধান পায়। সেই টাকা দাবি করার কত কোন লোক পায় না সামনে। তিনজনের মনে লোভ উকি দিয়ে উঠে। ঠিক করে এই টাকা তারা নিয়ে যাবে। পরিকল্পনা সব ঠিক করে তারা সামনে এগোয়। কিন্তু যতটা কঠিন/সহজ আশা করেছিলো তার থেকে কঠিন সমস্যা সামনে চলে আসে। তাদের কল্পনাতেও ছিলো না তা।
পরিচালক হলেন স্পাইডারম্যানখ্যাত বিখ্যাত স্যাম রাইমি।
একটা পরামর্শ দেই- জীবনে বড় হতে হলে কিছু ভাল বই পড়তে হয়, কিছু ভাল মুভি দেখতে হয়, কিছু ভাল মিউজিক শুনতে হয়, কিছু ভাল জায়গায় ঘুরতে হয়, কিছু ভাল মানুষের সাথে মিশতে হয়, কিছু ভাল কাজ করতে হয়।
ছবিগুলোর ডাউনলোড লিংক আপনারা নিজ দায়িত্বে খুঁজে নিবেন।