৭১। ব্যালাড অফ এ সোলজার (Ballad of a Soldier) লাইফ ইজ বিউটিফুল এবং ব্যালাড অফ এ সোলজার দু'টি মুভিই আমাকে প্রবলভাবে নাড়া দিয়ে গেছে। চলচ্চিত্রটির প্রেক্ষাপট দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। নায়ক ১৯ বছর বয়স্ক রাশিয়ান সৈনিক অ্যালোশা। যুদ্ধের ময়দানে সাহসিকতা ও বীরত্ব প্রদর্শনের জন্য ছেলেটি মায়ের সঙ্গে দেখা করার জন্য দশদিনের ছুটি পায় । অ্যালোশার বাড়ি যাওয়া নিয়েই মুভিটির গল্প। ঘটনাবহুল ও নাটকীয় বাড়ি ফেরার যাত্রায় ছেলেটি শেষ পর্যন্ত তার ঘরে ফিরতে পারে। কিন্তু মাত্র কয়েক মিনিটের জন্য। কারণ তার ছুটি যাত্রাপথেই ফুরিয়ে যায়। যাত্রা পথের ঘটনাগুলো খুবই চমকপ্রদ ও কিছু কিছু জায়গায় খুবই আবেগঘন। এ যাত্রাপথেই মুভির নায়িকার সঙ্গে নায়কের পরিচয়। আইএমডিবি রেটিং ৮.১/১০ ।
৭২। জন কার্টার (John carter) এডগার রাইস বারোর ‘বারসুম’ সিরিজের উপন্যাস আ প্রিন্সেস অফ মার্স অবলম্বনে তৈরি হয়েছে এই ছবি। ছবিটি নির্মাণে খরচ হয়েছে ২৫০ মিলিয়ন ডলার। অনেকে মনে করেন, এই ছবির চরিত্র-চিত্রায়ন রীতিমতো হাস্যকর। সোয়া ২ ঘণ্টা ব্যাপ্তির ছবিটি পুরোটাই একঘেয়েমিতে ভরা। কাহিনীতে কোনো গতি নেই।
৭৩। চুংকিং এক্সপ্রেস (Chungking Express) এই মুভিটি হংকং এ ১৯৯৪ সালে নির্মিত হয়। মুভিটিতে মূলত দুটি ভাগ রয়েছে। দুইটিতেই ভালবাসায় হৃদয়বিদীর্ণ হওয়া দুই পুলিশ অফিসার এর সাধারন জীবনে মানিয়ে নেওয়ার কাহিনি। তাদের দুইজনের জীবনে একটিই মিল তারা একই রেস্টুরেন্টে খাবার খেত। কেউ যদি হংকং এর মুভি মনে করে এটিকে কুং-ফু কারাতের কোন অ্যাকশান মুভি ভেবে বসেন বিরাট ভুল করবেন। এটি অতি বিশেষ ধরনের রোমান্টিক মুভি যার শেষ অংশে রয়েছে অতি সূক্ষ্ম কমিক কিন্তু বেশ হৃদয়স্পর্শী কিছু সংলাপ যাতে করে চরম কষ্টের মাঝেও আপনি হাসতে পারবেন।
৭৪। দ্য পোস্টম্যান অলওয়েজ রিং টোয়াইস (The Postman Always Ring Twice) একটি নিভৃত মোটেলে হাজির হয় এক আগুন্তক। সে সেখানে কাজ নেয়। এরপর পরকীয়ায় জরিয়ে পরে মোটেলের মালিকে স্ত্রীর সাথে, যে কিনা অসম বয়সের স্বামী নিয়ে সন্তুষ্ট নয়, সে শুধু তার টাকাই ভালোবাসে। আই ডি এম রেটিং ৬.৪/১০ এবং আমার রেটিং ৭.৫/১০।
৭৫। এ্যাজ গুড এ্যাজ ইট গেটস (As Good As It Gets) এক আত্মকেন্দ্রিক ও সার্থপর লেখক ও তার চিত্রকর প্রতিবেশিকে নিয়ে ছবির গল্প এগিয়েছে । মাঝখানে সিঙ্গেল মাদার যে কিনা একটি রেস্টুরেন্টের ওয়েট্রেস এবং তার অসুস্থ শিশুপুত্রকে নিয়ে হিমসিম খাচ্ছে জীবনযুদ্ধে-তার প্রেমে পড়ে যায় লেখক।
৭৬। দ্য সাইলেন্স অব দি ল্যাম্বস (The Silence of the Lambs) কিছু বিরল ছবির মধ্য অন্যতম শ্রেষ্ঠ ছবি যাতে বাস্তবতার সেই কঠোরতা ভয়ের মধ্যদিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে যাতে ভৌতিক আর অপরাধের মিশ্রণ এক নির্লজ্জ বাস্তবতার কোনে এসে ঠেকেছে এবং তা এগিয়েছে এক রোমহর্ষক পরিণতির দিকে ।
কাহিনী সংক্ষেপে বলা প্রয়োজন এফবিআই শিক্ষানবিশ ক্লারিস স্টার্লিং যাকে একজন সিরিয়াল কিলার (বাফেল বিল ) কে ধরার জন্য পাঠান হয় অন্য একজন বন্দি সিরিয়াল কিলার হানিবাল লেক্টারের কাছে । যে একজন ফরেনসিক মনোবৈজ্ঞানিক এবং অত্যন্ত ধূর্ত এবং বিচিত্র স্বভাবের মানুষ যে বন্দি মানুষ হত্যা এবং খাওয়ার জন্য । ক্লারিস স্টার্লিং কে হানিবাল লেক্টারের সাহায্য করতে রাজি হয় একটা শর্তে, তাকে ছোট বেলার কথা সুনাতে হবে বিনিময়ে সিরিয়াল কিলার বাফেল বিলের কথা সে তাকে বলবে এই ভাবে ছবিটি একটি পরিণতির দিকে এগোয়।
৭৭। মিলিয়ন ডলার বেবি (Million Dollar Baby) এই মুভির কাহিনী এক নারী বক্সার আর তার প্রশিক্ষক কে নিয়ে! আর মর্গান ফ্রীম্যান হলো সেই প্রশিক্ষকের সহকারী! এটুকু বলতে পারি অস্থির এই মুভিটা দেখলে আপনার মন অবশ্যই খারাপ হয়ে যাবেই! IMDB তে রেটিং এর কথা ভাবছেন? হুম, এর রেটিং ৮ দশমিক ১! মুভিটি বের হয়েছিলো ২০০৪ সালে,আর ২০০৫ সালে এটা চারটি বিভাগে অস্কার পেয়েছিলো।
৭৮। টু কিল এ মকিংবার্ড (To Kill A Mockingbird) একজন আইনজীবি, যিনি বর্ণবাদ এবং কুসংস্কারে আচ্ছন্ন জনমতের বিরুদ্ধে গিয়ে ধর্ষনের অভিযোগে অভিযুক্ত নির্দোষ এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তির পক্ষে আদালতে লড়ার সিদ্ধান্ত নেন। তার কৌতূহলী দুই ছোট ছেলে মেয়ে এবং তাদের প্রতিবেশী এক ছোট ছেলে প্রায়ই চুপি চুপি কোর্টে গিয়ে শুনানী শুনে আসে। তাদের এলাকায় বাস করে এক মানসিক প্রতিবন্ধী যুবক, যাকে নিয়ে পুরো এলাকায় বিভিন্ন ভয়ঙ্কর কল্পিত কাহিনী চালু আছে। এলাকার সব ছোট ছেলে মেয়েরা তাকে ভয় পেলেও অ্যাটিকাসের ছেলে-মেয়ে এবং তাদের বন্ধু কৌতুহল বশে রাতের বেলা সেই বাড়ির আশেপাশে উঁকিঝুকি মারা চেষ্টা করে। ছোট শহর হওয়ায় বিচারকার্য কোর্টের বাইরেও আলোড়ন সৃষ্টি করে এবং অনাকাঙ্খিক ঘটনায় জড়িয়ে পড়ে ছেলে মেয়েগুলো এবং প্রতিবন্ধী যুবকটা।
৭৯। এ ক্রাই ইন দ্য ডার্ক (A Cry in the Dark) সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরি অস্ট্রেলিয়ান মুভি। পাহাড়ে বেড়াতে যাওয়া এক দম্পতির নয় মাস বয়সী ছোট মেয়েকে তাঁবুর ভেতর থেকে কুকুর ধরে নিয়ে যায়। কিন্তু কোন সাক্ষ্য-প্রমাণ না থাকায় এবং লাশ খুঁজে না পাওয়ায় সন্দেহের তীর মায়ের দিকেই আসতে থাকে। পত্র-পত্রিকা আর টেলিভিশনের অত্যাচারে জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠতে থাকে তাদের। সেই সাথে যুক্ত হয় এলাকার ক্ষিপ্ত মানুষেরা, যাদের ধারণা মা নিজেই বাচ্চাকে খুন করে গুম করে ফেলেছে সম্ভবত বলি দিয়ে স্রষ্টাকে তুষ্ট করার উদ্দেশ্যে।
৮০। দি একসরসিস্ট (The Exorcist) ভূতের মুভি গভীর রাতে একা লাইট বন্ধ করে দরজা জানালা খুলে না দেখলে মজা পাবেন না। এটি একটি পিশাচ কাহিনী হলেও ভৌতিক ব্যাপার গুলো বেশ যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এই মুভিটা যখন প্রথম সিনামায় প্রর্দশীত হয়, কিছু মানুষের সিনেমা হলেই অজ্ঞান হয়ে পড়ার রেকর্ড আছে।
খুব যত্ন করে হুমায়ূন আহমেদ দি একসরসিস্ট বইটি অনুবাদ করেছিলেন।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





