১। দুইটা বাঘ নিয়ে এই মুভির কাহিনি।
বিশাল এক বনে তাদের জন্ম হয়। বাবা-মা আর দুইজন নতুন জন্ম নেওয়া বাঘ। দু'টা বাঘের বাচ্চা সারাদিন খেলা করে। বাবা মা দু'জনই বাচ্চাটা দু'টাকে খুব আদর করে। মুভির নাম বাংলা করলে দাঁড়ায়- দুই ভাই। একটা ভাই খুব বেশি ভীতু। একদিন জঙ্গলে আক্রমন করে শহরের মানুষ। মা বাঘটা ভয়ে তার এক সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে যায়। এদিকে বাবা এক সন্তানকে নিয়ে এক গুহায় লুকিয়ে থাকে। কিন্তু বাবা বাঘটা গুলি খেয়ে মরে। শিশু বাঘ নিজের চোখে বাবার মৃত্যু দেখে খুব বয় পেয়ে যায়। আরও অনেক কাহিনি আছে। চমৎকার একটি মুভি। শেষমেষ দুই ভাইয়ের দেখা হয়। তারা দু'জন দু'জনকে চিনতে পারে। বিরাট-বিরাট বিপদ থেকে তারা বেঁচে যায়। এক ভাইকে তো সার্কাসে বিক্রি করে দেওয়া হয়। সেখানে সীমাহীন অত্যাচার সহ্য করতে হয়। পশুদের মধ্যেও যে মানুষের মতো ভালোবাসা আছে তা এই মুভি আপনাকে পরিস্কার বুঝিয়ে দিবে। ইচ্ছা হলে মুভিটি দেখতে পারেন। অবশ্যই ভালো লাগবে।
২। মুভির নাম 'টিক টিক টিক'।
ফালতু একটা সিনেমা। এই মুভি দেখে আপনার মেজাজ প্রচন্ড খারাপ হবে। কাহিনি একটু বলি- চার-পাচজন মিলে চাঁদে যায়। চাঁদে পৌঁছে রকেটের ফুয়েল শেষ হয়ে যায়। রকেটের ভেতর থাকা লোকজন হেড অফিসে খবর পাঠায় ফুয়েল লাগবে। এদিকে দুষ্টলোকজন একটা মিসাইল চেন্নাই শহরে ফেলতে চায়। মিসাইল ফেলতে সক্ষম হলে পাঁচ কোটি লোক মরবে। নায়ক রকেট থেকে নেমে মিসাইল কোলে করে নিয়ে আসে। এই নায়ক আবার চোর। তার সবচেয়ে বড় ক্ষমতা যে কোনো তালা সে মুহুর্তের মধ্যে খুলে ফেলতে পারে। আর্মির অফিসার তাকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে মিসাইল চুরী করে আনতে পাঠায়। মেজাজ খারাপ হবার জন্য সব উপাদান এই মুভিতে পাবেন। খুব মন দিয়ে আমি এই মুভি দেখেছি আর মনে মনে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেছি। কাকে গালাগালি করেছি জানি না। লিংক দিয়ে দিলাম কিন্তু দয়া করে এই মুভি দেখে সময় অপচয় করবেন না। সময়ের দাম আছে।
৩। মুভির নাম- ''The Stoneman Murders''।
ভালো মুভি বলা চলে। কাহিনি এই রকম- একদুষ্টলোক রাতের বেলা ফুটপাতে ঘুমিয়ে থাকা নিরীহ লোকদের মেরে ফেলে। পাথর দিয়ে মেরে মাথা থেতলে ফেলে। প্রতিদিন মারে না। সপ্তাহে দুইদিন মারে। পুলিশ কিছুতেই আসামীকে ধরতে পারে না। এদিকে যে পুলিশ অফিসার এই খুনীকে ধরতে চায়, এক অপরাধে তাকে চাকরি থেকে বহিস্কার করা হয়। সে তার বড় স্যারের হাত পা ধরে এই কেস হাতে নেয়। বড় স্যার বলেন যদি সে সত্যি সত্যি এই খুনের রহস্য ধরতে পারে তাহলে সে চাকরি ফিরে পাবে। উত্তেজনা আছে, রহস্য আছে। মুভিটি আপনার ভালো লাগতে পারে। শেষে জানা যায় কে খুনী। প্রচন্ড অবাক হতে হয়। মুভিটি দেখলাম। আমার কাছে ভালোই লেগেছে। ইচ্ছা হলে আপনারাও দেখতে পারেন।
৪। ''A Wednesday'' মুভির নাম।
খুব মন দিয়ে দেখলাম। আমার কাছে ভালোই লেগেছে। ইন্ডিয়ান মুভি। এই মুভির কাহিনি আমি কিছুই বলব না। তবে এই মুভি দেখে বিরক্ত হবেন না এতটুকু বলতে পারি। নাসিরুদ্দিন শাহ কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন। অন্যদিনে আছেন অনুপম খের। তবে এই মুভিতে একজন পুলিশ আছেন। তার অনেক রাগ। সে আসামীদের খুব মারে। সব আসামীরা তাকে খুব ভয় পায়। এমন কি সে পুলিশদেরও মারে। পুলিশরাও তাকে ভয় পায়। কাহিনিটা বেশ। চারজন জঙ্গীকে মেরে ফেলে। তিনজন মরে বোমা খেয়ে, একজন গুলি খেয়ে।
৫। পানিতে বসবাসকারী শিকারি প্রাণীগুলোর মধ্যে হাঙ্গর আর শার্ক সবচে বেশি পরিচিত। হিংস্রতার দিক দিয়েও এদের তুলনা হয় না। ৬ ফিটের বেশি লম্বা হাঙ্গর আর শার্ক মানুষের জন্য বিপজ্জনক। এই মুভির নাম- 3-Headed Shark Attack। তিন মাথাওয়ালা একটা শার্ক। সে খুব ক্ষুধার্থ। পরিবেশ দুষনের কারনে তার খাবারের অভাব হয়েছে। ক্ষুধায় সে প্রায় পাগল। এখন সে মানুষ খেয়ে ফেলছে। অলরেডি সে তিনজনকে খেয়ে ফেলে তবু তার পেট ভরে না। একের পর এক মানুষকে খেয়েই যাচ্ছে। যথেষ্ঠ ফালতু মুভি। এই মুভি আবার হিন্দি ডাবিং। এই তিন মাথাওয়ালা শার্কের অনেক শক্তি। সে একটা স্প্রীড বোট উলতে দিতে পারে। মাঝারি সাইজের লঞ্চ গুলোও উলটে ফেলে দিতে পারে। গুলি করলেও তার কিছুই হয় না।
(আজ সারাদিন শুয়ে বসে একের পর এক এই মুভি গুলো দেখেছি। সুরভি খুব বিরক্ত। চা চেয়েছি, চা-ও দেয়নি। পাশের ঘরে গিয়ে বসে আছে। দুপুরের খানা খেয়েছি সাড়ে তিনটায় তাও একা। এরকম ফালতু মুভি দেখার কারনে সে গাল ফুলিয়েছে। একটানা পাঁচটা মুভি দেখে আমি ক্লান্ত। চোখ জ্বলছে।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০৮