somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

সামুর ব্লগাররা যা-যা ভাবছেন অরিত্রির ঘটনা নিয়ে

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



শান্ত নিস্তব্ধ শীতের রাত।
কী এক নিঃসঙ্গতায় মৌন বিশ্বচরাচর। সমস্ত শহরকে একটা পাগলা গারদ বলে মনে হয়। সমাজের কিছু মানুষ যেন এক একটি জীবন্ত আবর্জনার স্তুপ। ভালোবাসাহীন, মায়াহীন, ভাষাহীন এই শহরে আমার দম বন্ধ হয়ে আসে। এই শহরের মানুষ গুলো দিনদিন পাথর হয়ে যাচ্ছে। বিকৃত সচ্ছলতার আলোয় ঝিলমিল করে শহরের প্রতিটি দালান। চিরকাল কি এই শহর টা এমনই থাকবে?

এসব ঘটনা দেখলে নিজেকে বড় অসহায় মনে হয়।
আমি খুবই হতাশ এবং মানসিকভাবে আহত হয়েছি সামগ্রিক ঘটনায়। ক্ষমা, উদারতা, মহত্ব, মানবিকতা না থাকলে তাদের কাছ থেকে আমাদের শিশুরাই বা কি শিখবে? তথাকথিত ভাল স্কুল গুলো যেদিন ছাত্র না পেয়ে বারবার ভর্তির বিজ্ঞাপন দেবে- বোঝা যাবে আমরা সত্যি বদলাতে পেরেছি। আপনি যখন আপনার বাচ্চাকে স্কুলে পাঠাবেন, তখন সেই স্কুলের নিয়ম কানুন সম্পর্কে আপনার জানা থাকবে! বাচ্চাকে স্কুল পাঠিয়েই আপনার দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না!

আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় একটা বাচ্চাকে কখনো একজন ব্যক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়না। তারও যে একটা সত্ত্বা আছে, ব্যক্তিস্বাতন্ত্র আছে বা আত্মসন্মানবোধ আছে তা কেউ ভাবে না। যে চলে গেছে তাকে তো আর ফিরিয়ে আনা যাবে না। এমন ঘটনা যেনো আর না ঘটে শিক্ষকদের সচেতন হওয়া চাই। নাইন পড়ুয়া একটা মেয়ে মোবাইল নিয়ে যাওয়ার মত ম্যাচুরিটি দেখায় কিন্তু নিজের ভুল বুঝতে পেরে নিজেকে সামলাতে পারলো না- রাগটা এখানেই! জীবনকে এরা এত তুচ্ছ ভাবছে কেন? এদের প্রতি শুধু শিক্ষকের না আমাদের সবার দায়িত্ব রয়েচছে।

সকলেরই মন মানসিকতার অনেক পরিবর্তন এবং উন্নত করা প্রয়োজন, পুরুষ-মহিলা, বয়স্ক থেকে শুরু করে বাচ্চা, কিংবা ধনী থেকে শুরু করে গরীব সবাইকে সমান সন্মান করে চলতে হবে। আমাদের মাঝে অন্যের দোষ খোজা স্বভাবে পরিণত হয়েছে। স্কুলের কাজ হলো শিক্ষার সাথে সাথে এদেরকে ভালোবাসা আর যুক্তি দিয়ে বাকী জীবন চলার উপযোগী করে তোলা। ভিকারুন্নেছা তো বাংলাদেশ মিলিটারী একাডেমি না।

স্কুল কর্তৃপক্ষ অনেক ক্ষেত্রে অভিভাবকের সাথে ছাত্রের মতই ব্যবহার করে। শিক্ষার্থীদের নানাভাবে শারীরিক ও মানসিক চাপে রাখা হচ্ছে আর এর ফলে অনেক দুঃখজনক ঘটনা ঘটে। শিক্ষার্থীদের মানসিক অবস্থা এবং গঠন বোঝা জরুরী। এই একটা বাচ্চা মেয়ের চলে যাওয়া আমাকেও কষ্ট দিচ্ছে- বাচ্চাদের সাইকোলজি বুঝে তাদের শিক্ষা দান করতে হয় তাদের পাশে থাকতে হয় কিন্তু সব সময় তো ছাড় দেয়া যায় না!

শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজে ভর্তি হয় জ্ঞানার্জনের জন্য। তারা যদি সব জানবেই তাহলে তো আর বিদ্যালয়ে যাওয়ার প্রয়োজন হতো না। ছাত্রছাত্রীদের ভুল হতে পারে। হওয়াটাই স্বাভাবিক। তাদের ভুলত্রুটি শোধরানোর দায়িত্ব তো শিক্ষকদেরই। শিক্ষার্থীরা কোন দাগী আসামী নয়। তাই এদেরকে উপযুক্ত ভাবে বুঝিয়ে শিক্ষা দিতে হয়। এই কিশোরীর মৃত্যুর পিছনে, আমাদের সমাজ,শাষন ব্যবস্হা,পিতামাতা,শিক্ষক সবাই কমবেশী দায়ী।

কঠিন পৃথিবীতে টিকতে হলে নিজেকে সামলে চলতে জানতে হবে। আত্মহত্যার দায় স্কুলের না। জীবনের সৌন্দর্য,বিশালতার শিক্ষা পরিবার থেকে হওয়া দরকার। সবচেয়ে বড় কথা সময়টা এখন খারাপ! তাই বাচ্চাদের কাউন্সিলিং করাও খুব দরকার! খেয়াল করেছেন- ঢাবি সহ কত আত্মহত্যার ঘটনা এই কয়দিনে এসেছে! পৃথিবীটা বড্ড কঠিন জায়গা এখানে টিকে থাকতে হলে, লড়াই করতে হবে! এত অপমান গায়ে মাখলে তো কেউ আমাদের বাচ্চাদের বাঁচতে দিবে না।
ইকবাল রোডের নাম পরিবর্তন হয়ে আসাদ রোড হতে পারলে ভিকারুননেসা নামটাও পরিবর্তন হওয়া উচিত। ভিকারুননেসা নামটা তাই পাকিস্তানের প্রতীক, অত্যাচারের প্রতীক, নোংরামির প্রতীক, অভিজাত এর প্রতীক। যান্ত্রিক জীবনে শিক্ষকরা প্রচণ্ড প্রফেশনাল হয়ে গেছেন, যেখানে শুধু টাকা এবং লাভ ছাড়া অন্য চিন্তার স্থান নেই। ছাত্র ছাত্রীদের শুধু ব্যাবসায়িক উপাদান মনে করেন। অরিত্রির পরিনতির জন্য তারা সরাসরি দায়ী।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৫৬
১৯টি মন্তব্য ২০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=স্মৃতির মায়ায় জড়িয়ে আছে মন=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:০৯


ঘাস লতা পাতা আমার গাঁয়ের মেঠো পথ, ধানের ক্ষেত
জংলী গাছ জড়ানো লতাবতী - আহা নিউরণে পাই স্মৃতির সংকেত,
রান্নাবাটির খেলাঘরে ফুলের পাপড়িতে তরকারী রান্না
এখন স্মৃতিগুলো পড়লে মনে, বুক ফুঁড়ে বেরোয় কান্না।

ফিরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

'জুলাই যোদ্ধারা' কার বিপক্ষে যুদ্ধ করলো, হ্তাহতের পরিমাণ কত?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৫১



সর্বশেষ আমেরিকান ক্যু'কে অনেক ব্লগার "জুলাই বিপ্লব" ও তাতে যারা যুদ্ধ করেছে, তাদেরকে "জুলাই যোদ্ধা" ডাকছে; জুলাই যোদ্ধাদের প্রতিপক্ষ ছিলো পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, ছাত্রলীগ; জুলাই বিপ্লবে টোটেল হতাহতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×