১। একজন কেউ মারা গেলে ফেসবুকে আহাজারি শুরু হয়ে যায়।
স্ট্যাটাসের পর স্ট্যাটাস চলতে থাকে। মানুষ তো মরবেই। মানুষের জন্ম'ই হয়েছে মরার জন্য। গায়ক, নায়ক অথবা লেখক হলেও মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচার কোনো উপায় নাই। ৬০ বা ৬৫ বছর বেঁচে থাকা মানে- দীর্ঘদিন বেঁচে থাকা। তবুও কিছু কিছু ভাগ্যবান লোক ৭০/৮০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকেন। যাই হোক, কেউ মারা গেলে ফেসবুকে লোকজন এত লোক দেখানো আহাজারি করে কেন? তাদের সমস্যা কি? তাদের স্ট্যাটাস গুলো খুব হাস্যকর হয়। বিরক্তকর হয়- এটা কি তারা বুঝে না?
''না ফেরার দেশে চলে গেলেন অমুক', 'বিদায় প্রিয় কবি/লেখক/গায়ক'। 'ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন', 'মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।' RIP। 'তার আত্মার শান্তি কামনা করি।' 'বিশিষ্ট.... অমুক আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন।' অমুক চলে গেলেন- আমাদের অপূরনীয় ক্ষতি হয়ে গেল। এ ক্ষতি কোনো দিনও পূরন হবার নয়। এই রকম নানান কথা ফেসবুকে চলতে থাকে। সবাই কেঁদে বুক ভাসায়। হাহাকার করে। মাটিতে গড়াগড়ি খায় অথচ মৃত ব্যাক্তির জন্য কেউ দুই রাকাত নামাজ পড়ে আল্লাহর দোয়া করে না।
ফেসবুকে এই সস্তা নাটক গুলো যারা করেন তাদের উপর আমার রাগ হয়। সেই সেলিব্রেটি পৃথিবীতে যখন বেঁচে ছিলেন তখন তাকে নিয়ে কোনো স্ট্যাটাস প্রসব করে না এই নির্বোধ শ্রেনীর লোকজন।
২। আমি মনে করি, আমাদের দেশের মানুষের 'ছাড়' দেওয়ার মানসিকতা নেই। এই জন্যই চারিদিকে এত-এত সমস্যা। আওয়ামীলীগ টানা দশ বছর ক্ষমতায়। তারাই বলেছেন, দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে। এত এত উন্নয়ন কোনো সরকারের আমলে হয় নাই। তাহলে তো তাদের জনগনের কাছে ভোট চাওয়ার দরকার নেই। জনগন উন্নয়নের জোয়ারে ভাসতে ভাসতে- হাসতে হাসতে আওয়ামীলীগকে ভোট দিবে।
ভোটাররা কি অন্ধ? গত দশ বছরের উন্নয়ন কি তারা চোখে দেখে না? আসল কথা হলো, প্রতিটা গ্রামে গ্রামে গিয়ে, মহল্লায় মহল্লায় গিয়ে ভোট চাইতে হবে- কারন এই দেশে অনেক নাগরিক আছে নির্বোধ শ্রেনীর। বাপ জন্ম থেকে জামায়াত করেছে তাই পোলাও শিবির নিয়া দৌড়াবে। এই নির্বোধ শ্রেনীকে বুঝাতে হবে, তাদের সঠিক পথে আনতে হবে।
সারা দেশের মানুষ চায় সুন্দর সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হোক। তবে কারা প্রার্থী টার্গেট করে হামলা করছে? গাড়ি ভাঙছে? প্রার্থীদের সমর্থকদের হামলা, মামলা, গ্রেফতার, খুন, গুম, অপহরণ, পরিবারকে নির্যাতন করছে? ওরা কারা? ওরা আসলে দেশের শত্রু। জনগন চায় শান্তিতে বসবাস করতে। তিনবেলা ঠিক ভাবে খেতে না পারলেও দুইবেলা খেয়ে হাসি মুখে নিজের দেশে পরিবার পরিজন নিয়ে স্বস্তিতে থাকতে চায়।
৩। বৃদ্ধ বয়সে ভিমরতি বলে একটি কথা আছে। ব্রিটেনে এদেরকে গ্রাম্পি ওল্ড ম্যান বলে। তাই সকল বৃদ্ধ রাজনীতিবিদদের বলবো- আপনারা রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়াটাই দেশের জন্য ভালো এবং নিজের জন্য ভালো। আপনারা চিন্তা করে দেখুন আপনারা দশ মিনিট দাঁড়িয়ে কথা পর্যন্ত বলতে পারেন না। মঞ্চে বসেই ঘুমিয়ে পড়েন। অসুস্থ মুরগীর মতো ঝিমান- দেখতে বিছছিরি লাগে। জামায়াতে ইসলামী নিয়ে প্রশ্ন করলে ড. কামাল ক্ষিপ্ত হচ্ছেন কেন? বুদ্ধিজীবী হত্যা দিবসে!
আজ একটি বিশেষ দিন। ১৪ ডিসেম্বর। আমাদের সবাইকে এক হয়ে দেশের জন্য কাজ করতে হবে, দেশকে ভালোবাসতে হবে এবং বাংলাদেশেকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। পাকিস্তানি বাহিনী এই দিনটিতে দেশের কৃতি সন্তানদের হত্যা না করলে আমাদের দেশ আরো এগিয়ে যেত।
আল্লাহ আমাদের সঠিক জ্ঞান দিন ও হেদায়েত দিন এবং ক্ষমা করুন, আমিন।
জাজাক্কাল্লাহ্ খায়রান সকলকে।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:০৫