দুপুর তিনটা। রাজারবাগ মোড়ে দাঁড়িয়ে আছি বাসের জন্য
বাস আসছে না। ঘটনা কি? এতো দেরী তো করার কথা না!
করুক দেরী। আমার ওত তাড়া নেই। সময় হাতে আছে বেশ
হে হে! বাস এলো, উঠলাম। ভাগ্য প্রসন্ন- সিট পেয়ে গেলাম!
রাস্তায় জ্যাম নেই মোটেও। হু হু করে বাস যাচ্ছে। আহা বেশ
মোবাইলে গেমস খেলায় ব্যস্ত আমি। হঠাত দেখি, একজন কবি-
বাসের হেন্ডেল ধরে দাঁড়িয়ে আছেন! আহঃ হা!! মাথায় ক্যাপ,
মুখে কাঁচা পাকা দাঁড়ি। কাঁধে তে ঝোলানো ব্যাগ তার
নাম ডাক আছে এই কবির বেশ, সত্যি করে বলছি আমি
কবিতাপ্রেমীরা তাকে সকলেই চিনেন, শ্রদ্ধা করেন অনেক
আমার খুব খারাপ লাগছে। ইচ্ছা করছে চিৎকার করে বলি-
আপনারা কবিকে বসতে দিন। কবি’রা দেশের আত্মা।
তাদের কষ্ট দিতে হয় না। খুব ভালোবাসতে হয়।
আমি জানি, এই কবির আর্থিক অবস্থা বেশ ভালো
ভালো চাকরীও করেন। টাকা পয়সাও আছে বেশ
হয়তো তার নিজের একটা কালো রঙের গাড়িও আছে
মনে পড়লো আমি নিজেই একবার তার অফিসে গিয়েছিলাম-
ছবি তুলতে। আমাকে জোর করে ধরে কফি খাইয়েছিলেন
কবির সামনের সিটে দু’জন ছেলেমেয়ে বসে খুনসুটি করছে বেশ
কবি মন দিয়ে তাদের দেখছেন। অথচ কবির দিকে নজর নেই
বুকপকেট থেকে নোটপ্যাড বের করে কি যেন টুকে নিলেন কবি
না, সিট খালি হচ্ছে না। কবি বসার জায়গা পাচ্ছেন না। আ হা রে
অগত্যা আমিই নেমে গেলাম বাস থেকে। কবি আমার সিটে বসলেন।
(আমি কবিতা লিখেতে পারি না। তবে কবিতার মতোণ করে কিছু লিখতে স্বাদ হয়। তাই এই প্রচেষ্টা।)
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:৩০