২১ শে আগষ্ট!
দুপুর তিনটায় আমি গুলিস্তান ছিলাম গোলাপ শাহ মাজারের উত্তর পাশে আমার চাচার দোকানে। সেখানেই দুপুরের খাবার খাই। স্বচ্ছ আকাশ।
সেদিন আমার মনটা খুব খারাপ ছিল। কথা ছিল বিকেলে শহীদ মিনারের সামনে আসবে সুরভি। আমরা রাত আট টা পর্যন্ত খুব আড্ডা দিব। কিন্তু সুরভি বলল সে আজ আসতে পারবে না। আমি মন খারাপ করে চাচার দোকানে বসে আছি। চাচার দোকানে বসেই মাইকে কিছু কিছু শব্দ শুনতে পারছিলাম।
বিকেলে গেলাম পার্টি অফিসে।
নেতাদের বক্তব্য শুনছি খুব মন দিয়ে। তখনও শেখ হাসিনা এসে উপস্থিত হননি। আমি একেবারে ঠেলে ঠুলে ট্রাকের সামনে চলে গিয়েছি। দূর থেকে বক্তব্য শুনে মজা নেই। চারদিকে অসংখ্য মানুষ। নেতারা একের পর এক এসে বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। বক্তব্য শুনে বেশ ভালো লাগছে। নেতারা উত্তেজিত হয়ে নানান রকম কথা বলে যাচ্ছেন। ঠিক এরকম সময় দু'টা ঘটনা ঘটে।
ঘটনা এক, মাইকে ঘোষনা দেয় শেখ হাসিনা এসে উপস্থিত হয়েছেন। এবং ঘটনা দুই, আমার মোবাইলে ম্যাসেজ দেয় সুরভি সে শহীদ মিনারের সামনে এসেছে। শেখ হাসিনার বক্তব্য আর শোনা হলো না। চারিদিকে প্রচুর মানুষ জন। সমাবেশ থেকে বের হতে রীতিমত আমি ঘেমে গেছি। আফসোস লাগছে শেখ হাসিনার বক্তব্য শুনতে পারলাম না।
আমি সাথে সাথে সমাবেশ থেকে বের হয়ে গুলিস্তান পার্কের কাছে এসে রিকশা নিই। তারপরের ঘটনা সবাইই জানেন। সুরভি ফোন না দিলে সেদিন কি হতো কে জানে! নিজের চোখে দেখেছি ভয়াবহ অবস্থা। রিকশায় করে, ভ্যানে করে আহতদের নিয়ে যাচ্ছে ঢাকা মেডিকেল। সেই ভয়াবহ সময়ের অনেক দৃশ্য দেখেছি। হাসপাতালের জরুররী বিভাগে! আল্লাহ যেন আমাদের এই রকম পরিস্থিতে আর না ফেলেন।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৮:১২