somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

আজকের ডায়েরী - ২৭

২১ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



খুব বেড়াছেড়ার মধ্যে আছি।
আব্বা বারডেম হাসপাতালে ভর্তি। তার প্রচুর মাত্রায় ডায়বেটিকস। এর মধ্যে আবার পায়ের বুড়ো আঙ্গুকে ইনফেকশন হয়েছে। ইনফেকশন প্রায় হাড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। এক ডাক্তার তো বলেই দিয়েছেন পা কেটে ফেলতে হবে। অবশ্য আব্বাকে যে ডাক্তার চিকিৎসা করেন সে বিদেশ আছে। দুই একদিনের মধ্যেই ফিরবেন। এখন আব্বা অপেক্ষায় আছেন, তার ডাক্তার হয়তো বলবেন- না, পা কাটতে হবে না। আব্বার খুব মন খারাপ। আব্বার চেয়ে বেশি আমার মন খারাপ। যদিও আব্বার উপর আমার অনেক রাগ। তিনবার হাসপাতালের সামনে গিয়ে আব্বাকে না দেখে ফিরে এসেছি। অবশ্য মোবাইলে কথা বলেছি। সুরভি নিয়মিত আব্বাকে দেখতে যাচ্ছে।

এ মাসে চার টা বিয়ের দাওয়াত আছে।
আমার একটা বিয়েতেও যাওয়ার ইছা নাই। অথচ চারটা বিয়েতেই যেতে হবে। এর মধ্যে একটা বিয়ের অনুষ্ঠান নারায়গঞ্জ। কিছু দিন আগে বাসার চারজন সদস্যের ডেঙ্গু হলো। এর আগে মা হাসপাতালে থেকে এলেন সাত দিন। এখন আব্বা হাসপাতালে। হাসপাতালে আব্বার প্রতিদিন তের হাজার টাকা খরচ। আমার বাপ কোনো দিন টাকা পয়সা জমায় নাই। সারা জীবন সে জমিদারি করেছে। দুই একটা উদাহরন দেই, ভিক্ষুককে সে কখনও পাঁচ টাকা, দশ টাকা দিত না। বলতো পাচ-দশ টাকায় কি হয়? আব্বা একশো টাকা করে দিত। বাসায় পড়ার লুঙ্গিটা পর্যন্ত আব্বা দোকান থেকে আয়রন করিয়ে আনতো। দুই হাত ভর্তি করে বাজার করতো।

এদিকে আমার পকেট শূন্য।
বছরের শুরুতে সুরভিকে কথা দিয়েছিলাম এ বছর মালোশিয়া অথবা থাইল্যান্ড বেড়াতে নিয়ে যাবো। বছর শেষ হতে চলল। এখন, মালোশিয়া না পারি অন্তত পক্ষে কোলকাতা তো নিয়ে যেতে হবে। আমার একটা দোষ হলো- আমি কথা দিলে কথা রাখি। কথা না রাখতে পারলে আমার নিজের মেজাজ'ই প্রচন্ড খারাপ হয়। পরী অক্টোবরে যাবে অস্টেলিয়া বড় ভাই-ভাবীর সাথে। এদিকে সুরভির বাবার ডেঙ্গু। মাঝে একদিন গিয়ে দেখেও আসছি। সুরভির ভাই ভাবী যাবে চেন্নাই ডাক্তার দেখাতে। বাংলাদেশে থেকে নাকি চেন্নাইয়ে চিকিৎসার মান অনেক উন্নত এবং খরচও কম।

সুরভিকেও ডাক্তার দেখাতে হবে।
হরমনে সমস্যা দেখা দিয়েছে। আমার নিজেরও শরীর ভালো না। গ্যাস্ট্রিক। প্রচন্ড পা চাবায়। দাঁতের ডাক্তারও দেখাতে হবে। তবে আমি আছি বেশ। বই পড়ছি। মুভি দেখছি। ব্লগিং করছি। রাস্তায় হাঁটছি। সময় পেলে আকাশের দিকে তাকিয়ে নানান রকম চিন্তা ভাবনা করছি। রাস্তার পাশের দোকান থেকে চা খাচ্ছি। সুরভি বলে, তোমার চা খেতে ইচ্ছা করলে আমাকে বলবে। আমি চা বানিয়ে দিব। রাস্তার নোংরা কাপে চা খাওয়ার দরকারটা কি? আমি বলি, এই নোংরা কাপে প্রতিদিন হাজার হাজার লোক চা খায়। আমি খেলে সমস্যা কি? সুরভি আমার কথা শুনে রেগে যায়। মাঝে মাঝে সুরভিকে রাগাতে বেশ লাগে।

বি টিভি কি হিজড়া টিভি?
বিটিভিতে সংবাদে বলে, ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরছে। এদিকে অন্য প্রাইভেট চ্যানেল খবরে বলছে, প্রতিদিন নতুন নতুন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভরতি হচ্ছে। বিটিভির এরকম মিথ্যা বলার কারন কি? বলুক মিথ্যা। আমার কি? এদিকে বাজারে প্রচুর ইলিশ মাছ। এবার নাকি বহু ইলিশ ধরা পরেছে। অথচ একটা ইলিশের দাম কমপক্ষে এক হাজার টাকা। আমার বাসায় দশ জন সদস্য। দুইটা ইলিশ তো লাগেই। মানে দুই হাজার টাকা। আমি শুধু চিন্তা করি দরিদ্র মানূষেরা কিভাবে খেয়ে পড়ে বেঁচে আছে? চাষ করা মাছের কেজিও কমপক্ষে পাচশো টাকা। আমি ভুলে যাই, দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে বলেই তো খাবারের দাম বেশি। মানুষের আয়ু বেড়েছে, মানে খাবার ভালো। কেউ খাবারে কিচ্ছু মেশায় না।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:১৪
১৫টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×