অর্থনীতির সুত্র বলে মানুষের চাহিদার শেষ নেই।
ঠিক তেমনি মানুষের স্বপ্নেরও শেষ নেই। মানুষের কত স্বপ্ন, কত ইচ্ছা, কত শখ! মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মানূষ স্বপ্ন দেখে যায়। প্রতিনিয়ত কত ইচ্ছা জাগে মনে, কত শখ! আমার নিজের কথাই বলি- প্রতি মুহুর্তে মুহুর্তে আমার নতুন নতুন স্বপ্ন তৈরি হয়। অথচ কোনো স্বপ্নই আমার পূরন হয় না। তারপরও নিয়মিত স্বপ্ন দেখে চলেছি। ছোটবেলা অন্যসব বাচ্চাদের মতোন আমারও ইচ্ছা ছিল ডাক্তার হবো, ইঞ্জিনিয়ার হবো, পাইলট হবো, নায়ক হবো, গায়ক হবো। আরো কত কি! কিন্তু জীবনে কিছুই হতে পারলাম না। অথচ জীবনের অর্ধেকের বেশি পার করে ফেলেছি। আর ত্রিশটা বছর কি বেঁচে থাকতে পারবো? এখনই তো শরীরে কত অসুখ বিসুখ দেখা দিয়েছে।
বাংলা সিনেমার নায়ক হতে চেয়েছিলাম।
স্কুলে পড়া অবস্থায়'ই আমার ইচ্ছা ছিল সিনেমার নায়ক হবো। দেখতে শুনতে ভালোই ছিলাম। উচা, লম্বা এমনকি গায়ের রঙও ছিল ফর্সা। সারাক্ষণ ভিসিআরে হিন্দি সিনেমা গুলো দেখতাম। এরপর এলো ডিশের লাইন। চ্যানেল গুলোতে সারাদিন মুভি দেখাতো। খুব মন দিয়ে মুভি গুলো দেখতা। নায়ক কি করতো, না করতো সব মন দিয়ে দেখে নিজে রপ্ত করতে চেষ্টা করতাম। সেই সময় জিন্স প্যান্ট, লাল শার্ট আর কেডস পড়ে ঘুরে বেড়াতাম। চুল গুলো পানি দিয়ে ভিজিয়ে উল্টো করে আচড়াতাম। সবাই বলতো আরে তোমাকে তো সিনেমার নায়কের মতো লাগছে! তখন খুশীতে আমার বুক ফুলে যেত। শরীর ঠিক রাখার জন্য প্রতিদিন ভোরে রমনা পার্কে গিয়ে ব্যায়াম করতাম।
আমার নায়ক হওয়া হলো না।
নায়িকাকে নিয়ে পার্কে নাচতে নাচতে গান গাওয়া হলো না। ভিলেনদের শায়েস্তা করতে পারলাম না। ও বলতে ভুলে গেছি, মারামারি শেখার জন্য মার্শালাট স্কুলেও ভর্তি হয়েছিলাম। এফডিসিতে গিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা শূটিং দেখতাম। নিজেকে মিথ্যেমিথ্যি নায়ক ভাবতে আজও আমার ভালো লাগে। আজও পথে ঘাটে কোনো সমস্যা দেখলে আমি পালিয়ে যাই না। সবার আগে বুক ফুলিয়ে সামনে গিয়ে দাঁড়াই। সমস্যার সমাধান করতে চেষ্টা করি। গতকাল সন্ধ্যায় মগবাজার ওয়ারলেসের সামনে দেখলাম এক ট্রাফিক এক রিকশাওয়ালাকে খুব মারছে। আমি গিয়ে রিকশাওয়ালাকে বাঁচালাম। সামনে তো আরো অনেক লোক দাঁড়িয়ে ছিল, কেউ তো এগিয়ে এলো না। শুধু নিজের পরিবার না, সমাজের প্রতিও তো আমার একটা দায়িত্ব আছে।
এখন ইচ্ছা হয়েছে পরিচালক হবার।
বহু লোক নাটক সিনেমা বানাচ্ছে, তাদের নাটক সিনেমা আমার পছন্দ হয়। তাদের ভুল গুলো মুহুর্তের মধ্যে ধরে ফেলি। তাই ঠিক করেছি আমি নিজেই- নাটক বানাবো, সিনেমা বানাবো। বইপত্র পড়া শুরু করে দিয়েছি। পড়া শেষ হয়ে গেলে কোনো পরিচালকের অধীনে দুই তিন বছর হাতে কলমে কাজ শিখব। তারপর নিজেই নাটক সিনেমা বানোনা শুরু করবো। এই ফাঁকে একটা কথা বলে নিই, সামুতে আমার প্রিয় মুভি গুলো নিয়ে ধারাবাহিক পোষ্ট দিয়েছি দুই হাজার পনের সালে। আমি মনে করি, মুভি গুলো সবার'ই দেখা উচিত। এমন কি শ্রদ্ধেয় চাঁদগাজীরও। তিনি অসুস্থ হলে চুপ করে শুয়ে মুভি গুলো দেখবেন। মুভি নিয়ে আমার কয়েকটা পোষ্টের লিংক নিচে দিলাম।
১। মৃত্যুর আগে যে ১০০ টি মুভি আপনাকে দেখতে হবে
২। মৃত্যুর আগে যে ১০০ টি মুভি আপনাকে দেখতে হবে
৩। মৃত্যুর আগে যে ১০০ টি মুভি আপনাকে দেখতে হবে
৪। মৃত্যুর আগে যে ১০০ টি মুভি আপনাকে দেখতে হবে
৫। মৃত্যুর আগে যে ১০০ টি মুভি আপনাকে দেখতে হবে
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৫৫