আজ আমার বইমেলায় যাওয়ার কথা ছিলো না।
পলাশ ভাই সন্ধ্যায় বললেন, মেলায় আসো। এক মুহুর্ত দেরী না করে বইমেলায় চলে গেলাম। পলাশ ভাই প্রতি বছর বইমেলা থেকে আমাকে প্রচুর বই কিনে দেন। আমি পাগলের মতো একটার পর একটা বই কিনতে থাকি। আমার বই কেনা শেষে পলাশ ভাই বলেন, আরো কিনো। আমি বেছে বেছে আরো বই কিনতে থাকি। পলাশ ভাইয়ের মতো এরকম হৃদয়বান মানুষ এই সমাজে খুব বেশি নেই। পলাশ ভাই ব্যাংকে চাকরী করেন। মতিঝিলে তার অফিস।
আমি প্রায়ই ভাইয়ের অফিসে যাই। অনেকক্ষন উনার সাথে গল্প করি। গল্প করতে করতে দুপুর হয়ে যায়। উনি হাজির বিরানী আনান। সাথে কোক। আমি বিরানী খাই। কোক খাই। আসার সময় পলাশ ভাই তার সংগ্রহ থেকে দুই চারটা বই দিয়ে দেন জোর করে। এমন কখনও হয়নি তার অফিসে গিয়েছি আর দুপুরে না খেয়ে ফিরেছি। যাই হোক, পলাশ ভাই ভালো থাকুক। সুস্থ থাকুক। বই কেনার ফাঁকে ফাঁকে কয়েকটা ছবি তুলেছি। এবার ছবি দেখুন। ছবি গুলো ভালো হয় নি। কারন মেলায় গিয়েছি সন্ধ্যার পর।
১।
একটার পর একটা কি সুন্দর করে বইগুলো সাজানো থাকে। দেখতে ভালো লাগে।
২।
প্রথমাতে বইয়ের দাম খুব বেশী মনে হয়। এত বেশি দাম কেন?
৩।
এখানে হুমায়ূন আহমেদের বই বেশি। এখান থেকে তিনটা বই কিনেছি।
৪।
বইমেলার বাইরেও নানান জিনিসপত্রের মেলা।
৫।
দেখে ভালো লাগলো। তাই ছবি তুলে নিলাম।
৬।
অনেককেই দেখলাম বেশ আগ্রহ নিয়ে বই কিনছেন।
৭।
অনেকে বই কিনতে এসে বেশ কয়েক পাতা পড়ে ফেলেন।
৮।
আজ মেলায় জটিল ভিড় ছিলো না। হালকা পাতলা। এটাই আরামধায়ক।
৯।
এই স্টল থেকে চার টা বই কিনেছি। অবশ্য এখন কেউ স্টল বলে না। প্যাভিলিয়ন বলে।
১০।
মেলায় লুঙ্গি পরে আসতে দেখেছি। আজ দেখলাম হাফ প্যান্ট পড়ে আসতে।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:২৪