(এই লেখাটি আমার নয়। এটা লিখেছেন আমার শ্বশুরমশাই। তার অনুমতি নিয়েই লেখাটি ব্লগে দিলাম।)
আমরা পাঁচটি ফৌজদারি মামলার আসামী।
আমাদের মামলা বিজ্ঞ সিএমএম আদালত ও মহানগর আদালতে সরকারের বিশেষ নির্দেশে জামিন হলো না। বিজ্ঞ আদালত হতে জাবেদানকল তুলতে বেশ সময় পার হয়ে গেল। এছাড়া আমার পরিবারকে কিছু লোক বিভিন্ন ভাবে বিভ্রান্ত করায় দীর্ঘদিন পার হয়ে গেল।
একদিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আসলাম হায়দার বিশেষ ব্যবস্হায় আমার সাথে দেখা করে তার মোবাইল ফোনে আমার স্ত্রীকে ফোন ধরিয়ে দিয়ে আমার সাথে কথা বলার ব্যবস্হা করে দিল। আমি আমার স্ত্রীকে বললাম, দেখ আমাকে ওরা ছাড়বে না, তুমি এডভোকেট গোলাম ফাত্তাহর সাথে ফোনে কথা বল। সে মহামান্য হাইকোর্টে জামিনের আয়োজন করবে।
ইত্যবশরে কোর্ট অব সেটেলমেন্টের প্রশাসনিক কর্মকর্তা জনাব সোলায়মান ভাই হাইকোর্টের বিজ্ঞ আইন জীবি জনাব জয়নুল আবেদীনের সাথে কথা বলল, উনি আমাদের জামিন শুনানি করতে রাজী হলেন এবং হাইকোর্টের যৎযাবতীয় খরচ বন্ধু সোলায়মান দিলেন কিন্তু কোনদিন তার কত টাকা খরচ হয়েছে তা আমাকে উনি বলেননি। আমি ওনার এহেন কাজের জন্য চিরঋণী হয়ে গেলাম।
কারাগারে বন্দী জীবন শেষের দিকে।
মহামান্য হাইকোর্ট জামিন দেওয়ার পর সরকার জামিন আদেশের বিরুদ্ধে আপীল করলে আপীল কোর্ট রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবীকে বললেন, এরা যখন প্রেসক্লাবের সামনের জনতার মঞ্চে গিয়েছিল তখনতো আপনারা বাহবা দিয়েছেন, এখন তারা তাদের দাবী নিয়ে আন্দোলন করায় আপনারা তাদের মামলা দিয়ে জেলে পাঠালেন। আদালত রাগাতস্বরে ভৎসনার সুরে সরকারের দরখাস্ত নামঞ্জুর করে দেওয়ায় হাইকোর্টের জামিন আদেশ বহাল রইল।
(চলবে----)
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৩:০০