কেন প্রতি বছর খরা বা বন্যা হয়?
বাংলাদেশের মানুষ কি জানে না কিভাবে নদীকে ব্যবহার করতে হয়। নদী তো আমাদের সম্পদ। কিন্তু আমরা এই সম্পদকে যথাযথভাবে আজ কাজে লাগাতে পারি নাই। এখনই সর্তক না হলে- আগামী শতাব্দীর মাঝামাঝি মানুষের অস্তিত্বে বড় ধরনের ধাক্কা লাগবে। মানুষের হাতে খুব বেশি সময় নেই। তবু মানুষ গাছ লাগাচ্ছে না। বরং বনজঙ্গল উজার করছে।
পৃথিবীর সঙ্গে মানুষের এক নিবিড় সম্পর্ক।
কিন্তু লোভী মানুষ পৃথিবীর সম্পদ শুধু লুটপাট আর তছনছ করেছে। তৈরি করেছে শুধু জটিলতা। পৃথিবীর সব দেশের মানুষ সবাই এক হয়ে যদি পৃথিবীর কথা ভাবতো- পৃথিবী ছোট্র একটা গ্রহ, তার অফুরন্ত সম্পদ নেই। যা আছে, যতটুকু আছে তার যত্ন নেওয়া দরকার। মানুষ হয়ে পড়েছে আত্মকেন্দ্রিক। তার শুধু চাই আর চাই। একজন মানুষে রকত সম্পদ লাগে?
দরিদ্র দেশের প্রতি আরেক ধনী দেশের এত উদাসীনতা কেন?
আমেরিকায় ভূমিকম্প হলে চীন যেন চুপ করে না থাকে। ইথিওপিয়ায় দুর্ভিক্ষ হলে তার ক্ষুধা যেন স্পর্শ করে অস্টেলিয়াকে। মধ্যপ্রাচ্যে মহামারী হলে তা যেন উদ্বিগ্ন করে সুইজারল্যান্ডকে। পৃথিবীর ক্ষমতায় থাকা মানুষ গুলো যদি এক টেবিলে বসে সিদ্বান্ত নিতো আমরা আর যুদ্ধ করবও না। পারমানবিক বোমা বানাবো না। নতুন নতুন অস্ত্র বানাবো না। যেসব অস্ত্র আছে, সেগুলো আটলান্টিক মহাসাগরে ফেলে দিব।
গ্রামে গেলে গাছপালা গুলোকে আমার বন্ধু বলে মনে হয়।
আমি পৃথিবীর প্রতিটা গাছপালার বন্ধু হতে চাই। নদী, কীটপতঙ্গ আর পশু পাখির বন্ধু হতে চাই। শহরের পাট চুকিয়ে খুব শ্রীঘ'ই গ্রামে চলে যাব। প্রকৃতির সাথে তখন আমার খুব ভাব হবে। পৃথিবীকে টিকিয়ে রাখার জন্য আমাদের কাজ করতে হবে। পৃথিবীতে যে পরিমান সম্পদ আছে, সেই সম্পদ দিয়ে সারা বিশের মানুষ সুন্দরভাবে বেঁচে থাকতে পারে।
ধর্ম মানুষের মঙ্গলের জন্য প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
কিন্তু মানুষ ধর্মকে আজ খারাপ কাজে ব্যবহার করছে। লুটেপুটে সাধারণ মানুষের সর্বনাশ করছে। ধর্মকে একেবারে নির্মূল করতে না পারলে এই পৃথিবীর মানুষের মুক্তি নেই। স্বার্থপর কিংবা মতলববাজরা অন্যভাবে ধর্মকে ব্যবহার করে। কোটি কোটি মানুষ এখনো যে ধর্মের কাছে আস্থা ও সান্ত্বনা পায়, সেটা তো মিথ্যে নয়।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:১৮