এরা কারা? এরা সবাই ধর্ষক। এছাড়াও এদের আরও একটি বড় পরিচয় আছে। এরা হলো ছাত্রলীগের কর্মী।
১। ভাগ্যিস মেয়েটা হাজব্যান্ডের সাথে ঘুরতে গেছিল। আজ যদি ফ্রেন্ডের সাথে ঘুরতে গিয়ে কোন মেয়ে ধর্ষিত হতো তবে মেয়েটার অবস্থা এ ফেবুবাসী কি যে করতো...!
২। এইগুলোকে ঘুমের ইঞ্জেকশন দিয়ে অচেতন করে ময়লার ডিপোতে ফেলে আসবে না কেউ। নিরিহ কুকুরগুলোরই কেবল দোষ - কামড়ায়।
৩। এখন পত্রিকায় এরকম পোস্ট দেখলে বেশিরভাগই স্কিপ করে যাই, যে দেশে দুই যুগেরও বেশিরভাগ সময় ধরে প্রধানমন্ত্রী নারী, তাঁর সরকার যেহেতু ধর্ষনকারির টুনটুনি কেটে দেওয়ার মতোও একটা আইন বানাতে পারলেন না!
৪। এদের পরিবারগুলোকেও সামাজিক ভাবে বয়কট করার ব্যবস্থা নিতে হবে। ধর্ষক একদিনে তৈরি হয় না। প্রতিটা ধর্ষককে এই সমাজ ওম দিয়ে পেলে পুষে বড় করেছে। দেশে ধর্ষন বেড়ে যাওয়ার জন্য সমাজে বসবাসকারী প্রতিটি জনতার দায় রয়েছে।
৫। কী আশ্চর্য! মন না চাইলে, ইচ্ছা না করলে 'না' বলবারও অধিকার নাই, মেয়েদের? কুত্তা নিধন বাদ দিয়া 'এইগুলা'রে নিধন করুন।
৬। আশ্বিন কার্তিক মাসের কুকুরেরাও লজ্জা পাবে এ শয়তানদের দেখলে!! এরা দেখতে মানুষের মত নয়, ছাত্রলীগের মত।
৭। আপনাদের পায়ে পড়ি, প্রিয় সন্তানদেরকে নীতি নৈতিকতা শিক্ষা দিন।
৮। এই ভয়ঙ্কর মহামারি করোনাতেও দেশের পুরো স্বাস্থ্যখাত নিয়ে দলীয় লুটপাট, চুরি-ডাকাতি তো সারা বিশ্বের জন্য এক অনন্য নিদর্শন হিসেবে এক বিরল স্থান করে নিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রায় এক সপ্তাহ ধরে পাহাড় থেকে সমতলে ধর্ষণ, গণধর্ষণের ঘটনা একের পর এক ঘটে চলেছে। রাষ্ট্র, সরকার কিংবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেই আগের মতোই আছে। প্রায় নির্বিকার। ফেসবুক কেন্দ্রিক বিদ্রোহ-প্রতিবাদ কিংবা মানববন্ধনও আগের পরম্পরা মেনেই হয়েছে।
৯। এই দেশে আপনি বাবার পাশে ঘরে থাকলেও ধর্ষণের শিকার হবেন, স্বামী নিয়ে বাইরে ঘুরতে গেলেও ধর্ষণের শিকার হবেন। পাহাড়ে, সমতলে, ঘরে, বাইরে, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা-মসজিদ-মন্দির-গির্জা-হাসপাতাল যেখানেই থাকেননা কেনো বেঁচে থাকলেই আপনি ধর্ষণের শিকার হবেন। মরে গেলে মর্গেও রেহাই পাবেন না। এটাই বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ? শেখ হাসিনার বাংলাদেশ?
১০। এই ঘৃণ্য দানব ধর্ষকদের থেকে পাহাড় থেকে সমতলের কেউই রক্ষা পাবে না। এইসব মিউ মিউ প্রতিবাদ, লোক দেখানো গ্রেফতার, লোক দেখানো জেল-জরিমানায় কিস্যুটি হবে না।
১১। এমসি কলেজে ধর্ষণ ঘটনায় করা মামলার এজহারের কপি পেয়েছি। সেখানে লেখা হয়েছে - ধর্ষকদের একজনের রুম থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে আর ছাত্রলীগের দাপট দেখিয়ে সে হল সুপারের ডাক বাংলো দখল করে থাকত।
১২। পাহাড়ে ও সমতলে সর্বত্র ধর্ষণের মহড়া চলছে।
যতদিন পর্যন্ত মানুষ নিজের চেয়ে কম ক্ষমতার মানুষকে মর্যাদা দিতে শিখবেনা, মানুষ হিসাবে মূল্যায়ন করতে শিখবেনা, ততদিন এইসব ধর্ষণ নানান কারণ দেখিয়ে হতেই থাকবে। কখনো সংখ্যালঘু, কখনো বেপর্দা, কখনো পাহাড়ি,,,, বিভিন্ন অজুহাতে, কারণে অকারণে...
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:২৪