১। ঈশ্বর এবং নারী- ঈশ্বরই আসলে নারী। কারণ নারী ছাড়া কেউ জন্ম দিতে পারে না। ঈশ্বর ছাড়া কেউ পৃথিবীতে জন্ম দিতে পারে না।কারণ জন্ম দেওয়ার ক্ষমতা পুরুষের নেই। পুরুষ আসলে ভালোবাসতে পারে এবং জন্ম দিতে প্ররোচিত করতে পারে নারীকে। পুরুষ সব কিছুর ব্যবস্থা করতে পারে, কিন্তু জন্ম দিতে পারে না। তাই নারী হলো ঈশ্বর অথবা ঈশ্বর হলো নারী, পুরুষ নয়।
২। যে, তোমার সাথে শত্রুতা করে, তাকেও ভালবাসো। যে, তোমাকে কষ্ট দেয় তার জন্যও দু'আ করো। চেয়ে দেখো- সূর্যের আলো ভালো মন্দ সকলের জন্যই অবধারিত। পাপী ও পূণ্যবান সকলের জন্যই বৃষ্টি বর্ষিত হয়।
৩। প্রত্যেকের ঘরে যদিও কোরআন থাকে তথাপি একটি সুন্দর বাংলা অনুবাদসহ কোরআন রাখা উচিত। এটা নিয়মিত পড়া দরকার এবং প্রয়োজনে বিষয়ভিত্তিক সূচী ধরে কোরআনের বিভিন্ন নির্দেশনা জেনে নেয়া প্রয়োজন। যিনি মুসলিম নয় তিনিও কোরআন পড়তে পারেন। কারণ কোরআন মুসলিমদের ধর্মগ্রন্থ হিসেবে নাযিল হয়নি। কোরআন নাযিল হয়েছে সমগ্র মানবজাতির জন্য সেকথা কোরআনেই লেখা আছে।
৪। কোথাও অপেক্ষা করতে হলে, আর সেখানে আলমিরা ভরা বই থাকলে- আমার অপেক্ষা করতে কোনো সমস্যা হয় না। কারো বাড়িতে অতিথি হয়ে গেলে তার বইপত্র দেখে তাকে জাজ করার অনৈতিক একটা অভ্যাস হয়েছে আমার। ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ একটি খুব সুন্দর কথা বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন 'প্রত্যেক মানুষের তিনটি করে মা থাকে। একটি জন্মদাত্রী মা, একটি মাতৃভাষা এবং আরেকটি হচ্ছে মাতৃভূমি'। একজন মানুষ যতটা কথায় বিশ্বাস করে তার চেয়ে অধিক বিশ্বাস করে যখন সে কোনো কিছু পড়ে। তাই বই পড়ার ব্যাপারে আমাদের সতর্ক হওয়া উচিত। মানুষকে বিভ্রান্ত করার সহজ ও উত্তম পন্থা হল 'বই'। বই পড়া মানে হল 'অন্যের চোখে ও চিন্তায় পৃথিবী দেখা'। কথাটি কে বলেছিলো মনে নেই।
৫।
'প্রথমে ভেবেছিলাম যে মন্দির বানাবো। তারপর ভেবে দেখলাম, সেখানে কেবল হিন্দুরাই আসবে, মুসলিম, ক্রিশ্চান এরা কেউ ছায়া মাড়াবে না। মসজিদ গড়লেও একই কথা। মুসলমান ছাড়া আর কেউ ঘেঁষবে না তার দরজায়। গির্জা হলেও তাই। যাই করতে যাই, সর্বধর্মসমন্বয় আর হয় না। তা ছাড়া পাশাপাশি মন্দির-মসজিদ-গির্জা গড়লে একদিন হয়তো মারামারি লাঠালাঠিও বেধে যেতে পারে। তাই অনেক ভাবনা চিন্তাকরে এই পায়খানাই বানিয়েছি। সবাই আসছে এখানে। আসবে চিরদিন।' - গল্পের নাম 'দেশের মধ্যে নিরুদ্দেশ' শিব্রাম অমনিবাস।
৬। সব্যসাচী বলতে, যে দুই হাতে সমানে কাজ করতে পারে তাকে বোঝানো হয়। সাহিত্যের ক্ষেত্রে যিনি একধারে গল্প, উপন্যাস, কবিতা, নাটক, ছড়া, প্রবন্ধ প্রভৃতি সৃষ্টিতে সক্ষম তিনি সব্যসাচী লেখক। বাংলাদেশে সৈয়দ শামসুল হককে সব্যসাচী লেখক বলা হয়।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৮