১। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি, আমার পাশে একটি মেয়ে শুয়ে আছে! মেয়েটির মুখে এক আকাশ মায়া। মেয়েটিকে দেখেই বুঝা যাচ্ছে- খুব আরাম করে সে ঘুমাচ্ছে। মাথা ভর্তি এক আকাশ চুল। ফ্যানের বাতাসে কিছু চুল উড়ছে। কে এই মেয়ে? কোথা থেকে এলো? আবার আমার খাটে শুয়ে আছে! কিন্তু কেন জানি মেয়েটিকে দেখে খুব মায়া লাগছে। মনে হচ্ছে- এত আরাম করে সে অনেক দিন ঘুমায়নি। আমার অফিসের দেরী হয়ে যাচ্ছে- তাই আমি মেয়েটির ঘুম না ভাঙ্গিয়ে- আস্তে ধীরে দাঁত ব্রাশ করলাম, গোছল করলাম, আয়রন করে জামা পড়লাম। জুতো পড়লাম। ক্যামেরার ব্যাগটি কাধে নিতেই- মেয়েটি পেছন থেকে বলল, টেবিলে নাস্তা দিয়েছি- নাস্তা খেয়ে যাও। আমি লক্ষ্মী ছেলের মতন- অনেকদিন পর বাসায় আরাম করে নাস্তা খেলাম। মেয়েটি আমাকে সুন্দর এক কাপ চা বানিয়ে দিল। চা মুখে দিয়েই মনটা অজানা এক আকাশ খুশিতে ভরে গেল। চা খুব ভালো হয়েছে। যে মেয়ে চা ভালো বানায় সেই মেয়ে খুব ভালো মেয়ে। আমি বের হওয়ার সময় মেয়েটি বলল- বিকেলে বাসায় ফেরার পথে বেলী ফুলের মালা নিয়ে এসো তো!
২। এক ছোকরার বিয়ে করার বড়ই শখ, তার মতে এতেই তার সকল সুখ নিহিত। কিন্তু কিছুতে হয়ে ঊঠছে না। ওদের পরিবার একমাত্র শ্রী হনুমানের পূজো করে- অন্যে দেবতা সেখানে কল্কে পান না- তাই ত্রিসন্ধ্যা তারঁই পূজো করে কাকুতি-মিনতি করে, 'হে ঠাকুর, আমায় একটি বউ জুটিয়ে দেও গো'। ওদিকে নিত্য এমন ঘ্যানর ঘ্যানর শুনে হনুমানের পিত্তি চটে গিয়েছে। শেষটায় একদিন স্বপ্নে দর্শন দিয়ে হুঙ্কার দিলেন, ওরে বুদ্ধু, বউ যদি জোটাতেই পারতুম, তবে আমি নিজে বিয়ে না করে confirmed bachelor হয়ে রইলুম কেন?!!
৩। ১৯৬৫-৬৬ সালে রেডিও তে ফিলিপ রুপসজলসা নামে একটা গানের অনুষ্ঠান হতো। এই অনুষ্ঠানে বাংলা গান এবং বাংলা গান গুলোকে ইংরেজী করে বাজানো হতো। বিশেষ করে রবীন্দ্রনাথের গান গুলো বেশী ইংরেজি করা হতো। এই ব্যাপারে কেউ কিছু জানেন?
৪। তোমার হাতে সময় নেই এ কথাটা কখনো বলবে না। কারণ তোমার চেয়ে কম সময় নিয়ে এই পৃথিবীতে অনেক বিখ্যাত মানুষ জন্মেছিলেন।
৫। বুদ্ধিমানেরা সহজে রাগেনা। তারা নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। বুদ্ধিমানেরা অবশ্যই জ্ঞানের সাগরে ডুবে থাকে। নিত্যনতুন বিষয় নিয়ে চিন্তা করা ও তার সম্পর্কে জানার চেষ্টা করে। গণিত মনের সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে দেয়। আর চিন্তার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। তাই বুদ্ধিমানেরা গণিত ভালোবাসে।
৬। মুভির নামঃ পানিপাত দি গ্রেট বিট্রেয়াল। ১৭৬১ সালে ঐতিহাসিক পানিপাতের তৃতীয় যুদ্ধ নিয়ে নির্মিত এই সিনেমার পরিচালনা করেছেন আশুতোষ গোয়াড়িকর। মারাঠা এবং আহমেদ শাহ আবদালীর সাথে কীভাবে যুদ্ধের উত্থান ঘটলো, মারাঠারা কিভাবে ষড়যন্ত্র দিয়ে ঘিরে রয়েছিল, ইতিহাসের খুব গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা জানতে পারবেন এই সিনেমার মধ্যে।
৭। বিশাল অর্থ-বিত্ত প্রতিপত্তির অধিকারী হয়েও, হাসির জন্য কাউকে লাফিং ক্লাবে যেতে হয় আবার চরম দারিদ্র্যের মাঝেও কেউ স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে, দিনের শেষে, সেদ্ধ-ভাত খেয়ে, একসাথেই সবাই প্রাণ খুলে হেসে উঠেন। সে হাসির শব্দে, ওখানে হাজির হন, ঈশ্বর বা আল্লাহ, জানিয়ে দেন, আমৃত্যুকাল, এই হাসি তিনি কখনোই কেড়ে নেবেন না। সুতরাং, অর্থ জীবনে প্রয়োজন, কিনতু, অর্থের প্রাচুর্য নিজের সব চাওয়াকে বাস্তবায়িত করতে সক্ষম না ও হতে পারে।
৮। কেউ যদি আপনার কোন ভূল ধরে কোন বিষয়ে সেটার জন্য সাথে সাথে রিয়েক্ট করবেন না। পারলে উনার ভূল ধরাটাকে সম্মানের চোখে দেখবেন তারপর সেটা নিজের বিবেক দিয়ে বিচার করবেন যে আপনার সেটা সত্যিই ভূল কি নাহ? যদি ভূল হয়ে থাকে তবে সেটা থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করবেন। আর যদি ভূল না হয়ে থাকে তবে বুঝবেন , যে আপনার ভূলটা ধরেছে সেটা আপেক্ষিক যেটা শুধুমাত্র উনার কাছেই ঠিক, আর কারো কাছে নাহ।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:২৭