এই করোনাকালে শুধু বই পড়েছি আর মুভি দেখেছি।
প্রচুর বই পড়েছি। প্রচুর মুভি দেখেছি। এই পোষ্টে আজ কয়েকটা বইয়ের কথা বলব। শবনম আমার প্রিয় লেখক- সৈয়দ মুজতবা আলীর উপন্যাস। বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠতম রোমান্টিক উপন্যাস। তাই আবার পড়লাম। ভালো লেগেছে। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় দুই বাংলার শ্রেষ্ঠ প্রেমের উপন্যাস গুলো নিয়ে একটা বই সম্পাদনা করেছেন। সেখানে 'শবনম' উপন্যাসটি রেখেছেন।
বইটির নাম- অন্ধকারের বস্ত্রহরণ। লিখেছেন মোঃ জাকির হোসেন। ভালোই লেগেছে।
সুনীল গঙ্গোপ্যাধায়ের লেখা প্রথম আলো। উপন্যাসে ঐতিহাসিক চরিত্রের ছড়াছড়ি থাকলেও আমি রবীন্দ্রনাথ আর মাইকেল মধুসূদন ছাড়া আর কাউকে চিনতে পারিনি। তবে আমার সবচেয়ে পছন্দের চরিত্র ছিল ভরত। এই নিয়ে তিনবার পড়লাম। আরো পড়বো।
সৈয়দ মুজতবা আলীর দেশে বিদেশে। বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক ভ্রমণ কাহিনী বলা হয় এই বইটাকে। এত সুন্দর গল্প বলা, এত সূক্ষ্ম রসবোধ আমি খুব কম বইয়েই পেয়েছি। তবে শিবরাম এগিয়ে থাকবে মুজতবা আলীর চেয়ে।
এরিখ মারিয়া রেমার্কের অন্যতম কালজয়ী উপন্যাস থ্রি কমরেডস। যুদ্ধোত্তর জার্মানীর ধ্বংসস্তুপের মধ্য দিয়ে পা ফেলে এগিয়ে চলছে তিনজন প্রাক্তন সৈনিক। সবকিছু ভেঙ্গে শুধু জেগে রয়েছে অটুট বন্ধুত্ব আর প্রেম। অতি, অতি চমৎকার বই।
হুমায়ূন আহমেদের লেখা মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক সেরা উপন্যাস জ্যোৎস্না এবং জননীর গল্প। এটা মূলত ঐতিহাসিক উপন্যাস। ইতিহাসের অনেক কিছুই উঠে এসেছে বইতে। বঙ্গবন্ধুর অবদান, মেজর জিয়ার অবস্থান, বেগম জিয়ার পাক বাহিনীর হেফাজতে থাকা, কাদের সিদ্দিকির অপারেশন, মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন অপারেশন, পাক বাহিনীর হাতে মুক্তিযোদ্ধাদের নৃশংসভাবে মৃত্যু হওয়া, পাক বাহিনী কর্তৃক অসংখ্য নারীর ইজ্জত লুণ্ঠন, ক্যাম্পে আটকে রেখে দিনের দিনের পর দিন শারিরিক নির্যাতন কোনো কিছুই বাদ পড়েনি এই বইয়ে। এই বইটা লেখার জন্য হুমায়ূন আহমেদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছুটি নিয়েছিলেন।
তারিণী মাঝি- তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছোট একটি গল্প। অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর।
নকশী কাঁথার মাঠ- কবিতার বই খুবই কম পড়ি। জসীম উদ্দীনের এই বইটি পড়া শুরু করে মায়ায় আটকে গিয়েছিলাম। শেষ না করে উঠতে পারি না। বারবার পড়ার মতো একটা বই।
বইটির নাম হলো অপরাধ বিজ্ঞান। বইটির লেখক 'বি.এল.দাস । ভালো লেগেছে।
হাদিসের নামে জালিয়াতি। লেখক: ড. প্রফেসর খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর। বিরক্তকর বই। সময় অপচয় হয়েছে।
গোয়েন্দা গল্প: মাকড়সার লালা, শরদিন্দু। অসাধারণ। চমৎকার। অপেক্ষায় আছি কবে মুভি হবে।
রম্যরচনা: শ্রীরামকৃষ্ণ মেইল, লেখক সঞ্জীব চট্টপাধ্যায়। হাসতে হাসতে বিছানায় গড়াগড়ি খাবেন।
সত্যের সন্ধানে- আরজ আলী মাতুব্বর। সকল ধার্মিকদের এই বই পড়া উচিত।
কবি গোলাম মোস্তফা রচিত বিশ্বনবী। অসামান্য এবং অনন্য সাধারণ বই এটি, সাহিত্যকর্ম হিসেবেও অতি উঁচুদরের। নবিজিকে নিয়ে হাজার হাজার বই লেখা হয়েছে। আমি বলব 'বিশ্বনবী' এটাই বেস্ট বই।
আপনি যদি এই বইগুলি পড়ে থাকেন, তাহলে মন্তব্যে জানাতে ভুলবেন না।
সুস্থ থাকুন, সুস্থ রাখুন। আর বই পড়ুন।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৫৭