১। হ্যাপিনেস মানেই কিন্তু সেন্স অফ সিকিউরিটি। আমার কখনও বিপদ হবে না, আমার কখনও অভাব হবে না, আমার সব কিছু ঠিকঠাক থাকবে, আমাকে বাচানোর জন্য কিছু লোক সবসময়ে প্রস্তুত থাকবে, কেউ আমার নিন্দে করবে না।
২। দেশের সমস্যা এবং নানান অনিয়ম গুলো চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় ব্লগাররা। দেশের সবকিছুতেই সবার আগে এগিয়ে আসে ব্লগাররা। মুক্ত চিন্তা-ভাবনা না করতে পারলে- কিভাবে হবে? প্রতিটা ব্লগে মত প্রকাশের সুষ্ট পরিবেশ ফিরে আসাটা খুব জরুরী। অন্যথায় দেশ অনেকখানি পিছিয়ে যাবে।
৩। যখন দুইজন মানুষ একজন আরেকজনের সাথে রাগারাগি করে তখন তাদের হৃদয়ের মধ্যকার দূরত্ব বেড়ে যায়। এই দূরত্বের জন্য তারা চিৎকার করে কথা বলে, যাতে একে অপরের কথা বুঝতে পারে। তারা যত বেশি রেগে যায় এই দূরত্ব তত বেশি বেড়ে যায়, আর তখন তারাও তত বেশি চেঁচামেচি করে ঝগড়া করে। কি ঘটে যখন দুইজন মানুষ একে অপরকে ভালবাসে? তারা কিন্তু নিজেদের সাথে চিৎকার করে কথা বলে না বরং মোলায়েম স্বরে কথা বলে। কারন তাদের ভালবাসা দুইজনের হৃদয়কে খুব কাছে নিয়ে আসে। যখন দুইজন মানষের ভালবাসা আরও গভীর হয় তখন কি হয়? তখন তারা একে অপরের সাথে চাপাস্বরে কথা বলেও সব কিছু বুঝতে পারে। এবং এক পর্যায়ে নিজেদের দিকে তাকিয়েই তারা সবকিছু বুঝতে পারে।
৪। মশা আসলে কামড়ায় না, ফুটো করে রক্ত চুষে খায়। মানুষের শরীরের সব রক্ত খেয়ে ফেলতে মোট ১২ লক্ষ মশা প্রয়োজন।
৫। জাপানীরা মোটামুটি অনেক দেশের মানুষ থেকে সচ্ছল, তারপরেও তারা তাদের বাসায় কোন 'কাজের লোক কিংবা গৃহপরিচারিকা' রাখে না, নিজেদের বাসার কাজ নিজেরা করে।
৬। রবীন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে বড় অভিযোগটি এনেছিলেন প্রয়াত প্রফেসর আহমদ শরীফ। তিনি বলেছিলেন—তিনি প্রজাপীড়ক জমিদার ছিলেন। আহমদ শরীফ লেখক আবুল আহসান চৌধুরীকে একটি চিঠিতে রবীন্দ্রনাথ যে প্রজাপীড়ক ছিলেন সে বিষয়ে খোঁজ খবর নিতে বলেছিলেন। পরবর্তীতে আবুল আহসান চৌধুরী রবীন্দ্রনাথ বিষয়ে একাধিক প্রবন্ধ-বই লিখেছেন। তিনি কোথাও দাবী করেন নি যে রবীন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে আনীত প্রজাপীড়নের অভিযোগটি সঠিক।
৭। আল্লাহ তা’আলা বলেছেন, রমণীদের ভাল গুণের প্রতি তাকাও। এতে তোমাদের অন্তরে প্রশান্তি আসবে এবং অসদাচরণের পথ বন্ধ হবে। একটি বিষয় অপছন্দ হলে অন্যটি পছন্দ হতে পারে।’ সেই গুণটির প্রতি তাকাও। পছন্দের গুণটির প্রতি লক্ষ করে তার সাথে সদাচরণ কর। আমাদের সমাজের সব নষ্টের মূল এটাই। আমরা শুধু মন্দটাই বলি ভাল গুণের প্রতি তাকানর প্রয়োজনবোধও করি না। তাই রাসূলে আকরাম (সা.) বলেন, এর পরেও কি তোমরা নারীর এ ত্যাগের মূল্যায়ন করবে না? তাদের সাথে ভালো ব্যবহার করবে না? তাদের ত্যাগের সঠিক মর্যাদা দান তোমাদের জন্য আবশ্যক।আল্লাহ তা’আলা তার নেক বান্দাদেরকে অভিনব পদ্ধতিতে পরীক্ষা করেন। যেন তারা পরীক্ষায় সফলতা লাভ করে পৌঁছে যেতে পারেন মর্যাদার শীর্ষ চূড়ায়।
৮। এই দেশে হিন্দু থাকবে, খ্রিষ্টান থাকবে, বৌদ্ধ থাকবে, মুসলমান থাকবে এবং নাস্তিকও থাকবে। এই দেশ আমাদের সবার। আমরা সবাই মিলেমিশে থাকবো। কার কি ধর্ম সেটা নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে সবার আগে মানুষকে মানুষ হিসেবে দেখতে হবে। যদিও ব্যাঙের ছাতায় ভরে গেছে দেশ! একবার আপনারা ভাবুন কেমন বাংলাদেশ রেখে যাচ্ছেন ভবিষৎ প্রজন্মর জন্য ! গ্রামে শান্তি নাই, শহরে শান্তি নাই। বাসায় শান্তি নাই, এমন কি ব্লগে- ফেসবুকেও শান্তি নাই। কেন আমরা আমাদের নিজেদের শান্তি নষ্ট করছি? আসুন আমরা সবাই চেষ্টা করে দেখি- সুখে শান্তিতে বাস করতে পারি কিনা। আসুন দেশকে ভালোবাসি, দেশের জন্য কিছু করি।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৩১