পিতা ছিলেন বিশিষ্ট স্মাগলার, ব্যবসায়ী এবং শিল্পপতি।
রাজনিতিবিদদের ছত্রছায়ায় থেকে হয়েছেন ক্ষমতাবান এবং দূর্নীতিবাজ। পিতা অসুস্থ হয়ে গেলে বড় পুত্র ব্যবসার হাল ধরে। পুত্র ব্যবসার এত সুনাম অর্জন করল, বহু ব্যাংক উনাকে ঋণ দিল শত শত কোটি টাকা। কিন্তু দূর্ভাগ্যবশতঃ একদিন এক্সিডেন্টে পুত্র মারা গেল। ব্যাংকের এই ঋণ এখন পরিশোধ করবে কে?
ব্যাংকওলাদের মাথায় হাত।
যে ঋণ নিয়েছে সে মরে গেছে। এখন উপায়? কপাল চাপড়ালে তো হবে না। ব্যাংকওয়ালারা কাগজ পত্র ঘেঁটে দেখে ৫০০ কোটি টাকা ঋণের বিপরীতে যত মর্টগেজ আছে, তা দিয়ে ২০০ কোটি টাকাও পাওয়া যাবে না। তাহলে বাকি টাকা কিভাবে উসুল হবে? হায় হায়--- ব্যাংক কি পথে বসে যাবে?
ব্যাংক এর ম্যানেজার গেল পিতার কাছে।
দুই হাতজোর করে মিনতি করে বলল, আসসালামু আলাইকুম স্যার। আপনার পুত্রের কাছে ৫০০ কোটি টাকা পাই, টাকাটা কে দেবে? পিতা বলল, আমার বাসায় এসেছেন আগে এক কাপ চা খান। পিতা নিজের বাড়ির কাজের লোককে বলল, এরা ব্যাংকের লোক। এদেরকে আমার পুত্রের কাছে নিয়ে যাও। আপনারা যে ঋণ নিয়েছে তার কাছে গিয়ে খুঁজেন।
ব্যাংকওয়ালারা খুশি।
খুব খুশি। মনে মনে বলল- ভালো লোক। এরা খুব ভালো লোক। নিশ্চয়ই অন্য পুত্র যে এখন ব্যবসা দেখভাল করছে, তার কাছ থেকে নিতে বলল মনে করল। কাজের লোক ব্যাংকওয়ালাদেরকে নিয়ে মৃত পুত্রের কবরের পাশে নিয়ে গেলেন। তারপর বলল, দাদা বলছে কবরের কাছ থেকে টাকা খুঁজতে।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:৩৪