somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

আজকের ডায়েরী- ৮০

১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ছবিঃ আমার তোলা।

আপনারা কি লইট্টা শুটকি খান?
পরী লইট্টা শুটকি খুব পছন্দ করে। আমি পছন্দ করি না তবে মাঝে মাঝে খাই। আজ খেয়েছি। সুরভির লইট্টা শুটকি রান্নাটা ভালোই হয়েছে। সাথে কিছু বেগুন আর আলুও দিয়েছে। এই জন্য কি স্বাদ বেড়েছে? ধবধবে সাদা গরম ভাতের সাথে খেতে ভালোই লেগেছে। সাথে ডাল ছিলো। ডালে আজ টোমেটো আর ধনেপাতা দিয়েছে। কালিজিরা ভর্তা করেছে। গরম ভাতের সাথে কালিজিরা ভর্তাও বেশ লাগে। আমি আগে কালিজিরা ভর্তা খেতাম না। ইদানিং খাই। দেশী মূরগী ছিলো। ফার্ম টার্মের চেয়ে দেশী মূরগীই বেস্ট। চারটা দেশী মূরগী কিনেছিলাম বারো শ' টাকা দিয়ে। খুবই ছোট সাইজ।

গতকাল সুরভিকে বলেছিলাম-
রমজান মাস তো চলে এসেছে। আগামীকাল পেয়াজু, বেগুনি, ডিম চপ, ছোলা হাবিজাবি বানাও। বানিয়ে টায়েল দাও। ভুলে গেলে নাকি দেখো। সুরভি আজ ইফতার আইটেম বানিয়েছে। আমি একাই চারটা ডিম চপ খেয়ে ফেলেছি। সুরভির হাতের ডিম চপটা দারুন হয়। পেয়াজু খেলাম। পেগুনি খেলাম। ছোলা খেলাম। সবই মজা লাগলো। বললাম, সবই যখন করলে তাহলে লেবুর শরবত তা বাদ যাবে কেন? সুরভি বলল, ঘরে লেবু নেই। বললাম, সমস্যা নেই। সন্ধ্যায় বাইরে গেলে নিয়ে আসবো। বাজারে লেবু পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু লেবু গুলো ভালো না। রস হয় না। আবার দাম বেশী।

সন্ধ্যায় বাইরে গেলাম।
চায়ের দোকানে রোজকার মতো ঘন্টা খানেক আড্ডা দিলাম। আড্ডা শেষে এক কেজি আঙ্গুর কিনলাম। ২৬০ টাকা নিয়েছে। আঙ্গুর গুলো খুবই ভালো হয়েছে। দারুন মিষ্টি। একটা তরমুজ কিনলাম। সাত কেজি ওজন। ত্রিশ টাকা করে কেজি। ২১০ টাকা দাম হয়েছে। বিক্রেতা দশ টাকা কম রেখেছে। দুই কেজি পাকা পেঁপে নিলাম এক শ' টাকা দিয়ে। পেঁপে আমি খাই না। সুরভির জন্য নিয়েছি। টক দই নিলাম এক কেজি। টক দইও আমি খাই না। খেজুর নিলাম এক কেজি 'আজওয়া'। এবং আধা কেজি মরিয়ম। অনেক দাম নিলো। খেজুরের এত দাম কেন? যাই হোক, সামনে লকডাউন। তাই আমি নানান রকম খাবার কিনে কিনে ফ্রিজ ভরে ফেলেছি। রমজান মাসের পুরো বাজার করে ফেলেছি। তবে ফলটল আরো কিনতে হবে। ফ্রিজে যতটুকু ফল আছে তা দিয়ে পুরো রমজান মাস পার হবে না।

রাত ন'টা বেজে গেছে।
অলরেডি সুরভি দুইবার ফোন দিয়ে ফেলেছে। ঢাকা হোটেলের কাছেই আসতে দেখলাম- কে বা কারা খুব মারামারি করছে। অনেক গুলো চেংড়া পোলাপান মিলে একজনকে খুব মারছে। নাক মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়ে গেছে। মুহুর্তের মধ্যে চারিদিকে মানুষের জটলা তৈরি হয়ে গেছে। কেউ মারামারি থামানোর চেষ্টা করছে না। সবাই তাকিয়ে-তাকিয়ে দেখছে। ঘটনা কি জানার জন্য আমি কয়েকজনকে জিজ্ঞেস করলাম। ঘটনা কেউই জানে না। আমার মধ্যে জিদ চাপলো- ঘটনা না জেনে আমি বাসায় যাবো না। যত রাতই হোক। চেংড়া- চেংড়া পোলাপানের মধ্যে এত হিংস্র ভাব কেন?

আমার কাছে প্রতিটা দিনই সমান।
আমার কোনো ছুটির দিন নাই। যারা চাকরি করে তাদের ডে অফ আছে। এবং সেই দিনটা তাদের জন্য খুব মূল্যবান। প্রতিটা দিনই আমার সমান যাচ্ছে। গত বছর লকডাউনে আমি যেরকম ছিলাম। এক বছর পর আজও আমি সেই রকম আছি। একই ভাবে দিন কাটছে। অবস্থার কোনো পরিবর্তন নেই। হ্যা একটা আপরিবর্তন হয়েছে। গত বছর আমার কন্যা ফাইহা ছিলো না। এখন ফাইহা আমার পাশে। ফাইহা খুব হাসে। আমি তাকে নানান রকম গল্প শুনাই। ফাইহাকে গল্প শুনাতে আমার খুব ভালো লাগে। ফাইহার জন্য প্রতিদিনের রুটিন কিছুটা বদলে গেছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৫২
৭টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×