১। আমি অন্তত এটুকু জানতে আগ্রহী একজন সংসদসদস্য হিসেবে কবরি কি এমন কাজ করে গিয়েছেন যার জন্য আমি তার মৃত্যুতে ব্যথিত হতে পারি? তিনি ভালো অভিনেত্রী ছিলেন সেটা বুঝলাম।
২। করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১৩ দিনের মাথায় চলে গেলেন বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরী। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
৩। এত সুন্দর একটা মুখশ্রী -তাকিয়ে থাকার মত। সম্ভব হলে যদি মমি বানিয়ে রাখা যেত ? আহা,কবরী।
৪। ওনাকে নিয়ে কী লিখব? সেই ছোটবেলা থেকে পর্দার আর বাস্তবের মিষ্টি আর অমায়িক একজন মানুষ।
৫। গভীর শোক জানাই! কেন যে কেবল কান্না পাচ্ছে, কষ্ট লাগছে! ছোট থেকেই তাঁর সাথে পরিচিত তাঁর ছবির মাধ্যমে! ঘুমাতে পারছি না!
৬। কবরী রাজনীতিতে আসার পর আমার মনে সামান্য ক্ষোভ ছিলো। উনার পরিচালনায় আমরা ভালো কিছু সিনেমা পেতাম বলে মনে করতাম। বাংলা চলচ্চিত্রের এই দুর্গতি ঠেকাতে উনাকে এই ক্ষেত্রে বেশী প্রয়োজন ছিলো। আজ সব অভিযোগ শেষ। কেবল ভালবাসা আপনার জন্য মিষ্টি মেয়ে। ভালো থাকবেন ওপারে।
৭। বাংলার অন্যতম সেরা অভিনেত্রী ঢাকার সিনেমার ‘মিষ্টিমেয়ে’ কবরী চলে গেলেন। তাঁর স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।
৮। বাংলা সিনেমার অন্যতম সেরা অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরী এখন পূর্ণদৈর্ঘ ঘুমে। অসম্পূর্ণ অনেক কাজ, অনেক স্বপ্ন রেখেই ওপার চলে গেলেন তিনি, শুক্রবার রাতে। অসৎ সাংবাদিকতা ও কলুষিত রাজনীতি কতো জঘন্য হতে পারে, দুটিরই উদাহরণ আছে ঢাকার সিনেমার ‘মিষ্টি মেয়ে' কবরীর জীবনে।
৯। আল্লাহ, এই রমজানে চলে যাওয়া মানুষটিকে এবং আরও যারা চলে যাচ্ছেন সবাইকে তুমি দয়া করো। বিশেষ অনুগ্রহ কোরো।আমাদের সবাইকে মাফ করে দাও আল্লাহ। এই করোনার ভয়াবহ থাবা তুমি তুলে নাও। তোমার রহমানুর রাহিম নামের শান দেখাও আল্লাহ! তুমি তো সব পারো!
১০। স্মৃতি হয়ে যাওয়া কবরীকে জানতে হলে অনেক পথ পিছিয়ে যেতে হবে। ছিপছিপে এই তরুণীটির নাম ছিলো মীনা পাল। মীনা চট্টগ্রামের মেয়ে, স্বভাবতই তিনটি বিষয় ছিলো তার ভেতরে। জেদ, শুটকি ও দ্রোহ ছাড়া চট্টগ্রাম হয়? মীনার জেদ তাকে সুতরাং ছবির প্রথম শ্যুটিং এ চড় খাওয়ার পর তুলে দিয়েছিল শীর্ষ নায়িকার কাতারে। দ্রোহ তাকে তাড়িয়ে বেড়াতো বলেই বহুকাল কিংবদন্তি জুটি রাজ্জাক কবরী একসাথে অভিনয় করে নি। সে দ্রোহই তাঁকে নারায়ণগঞ্জে এম পি বানিয়েছিল।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:০১