
১। কোনো মানুষই ভালো নেই, সুখে নেই।
মানুষের দিকে তাকালেই আমি তা টের পাই। আমি কান পেতে শুনি তাদের বুকে কত দুঃখ, কত ঝড়, কত না পাওয়া, আর হাহাকার। আমি জানি, প্রতিনিয়ত তাদের কত রকম বিপদ-আপদ, নানান রকম দুঃখ যাতনা পোহাতে হয়। কারো অর্থ কষ্ট, কারো পুত্র কন্যাকে নিয়ে, অসুস্থতা, কারোবা ভুল মানুষ অনুপ্রবেশ করায় সংসার ভেঙ্গে গেছে, চাকরির লাঞ্ছনা, জীবিকার গ্লানি, কাছের মানুষের কপটতা। এই সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে নানান রকম জটিলতা, কুটিলতায় ভরপুর। নিঃশ্বাস যেন বন্ধ হয়ে আসে। তাই, মানুষকে কখনো আমি দোষ দেই না। তার উপর মন খারাপ করি না। এই মানুষকে আমি কতবার আড়ালে দুহাতে মুখ ঢেকে কাঁদতে দেখেছি। কেউ যখন আমার দিকে চোখ তুলে তাকায়, আমি দেখি তার চোখে কত বর্ষা জমা হয়ে আছে।
২। এক রাজার হঠাত শখ হলো নিজের ছবি আঁকাবে।
রাজ্যের সমস্ত চিত্রশিল্পীদের খবর দিয়ে আনানো হল। বলা হল যে সবচেয়ে সুন্দর এবং নিখুঁত ছবি আকবে তাকে পুরস্কৃত করা হবে। তবে যদি ছবি দেখতে সুন্দর না হয় তাহলে তৎক্ষণাৎ মৃত্যুদণ্ড। কেউ রাজার ছবি আঁকতে রাজি হল না। কারন রাজার এক পা এবং এক চোখ ছিল না এবং তাকে দেখতে ভয়ঙ্কর লাগত! হটাত ভীরের মধ্য থেকে অল্প বয়সী এক ছেলে সামনে এসে দাঁড়ালো। সে রাজার ছবি আঁকতে চায়। ছবি আঁকা শেষ হল। রাজা ভীষণ খুশি হয়ে তাকে পুরস্কৃত করলেন। সবাই খুব অবাক। এটা কিভাবে সম্ভব! দেখা গেলো ছেলেটি একেছে রাজা একটি কাটা গাছের গুঁড়ির উপর এক হাটু ভাজ করে এক চোখ বন্ধ করে হরিন শিকার করছে। ছবি টি দেখে বুঝাই যাচ্ছে না রাজা অন্ধ এবং খোঁড়া।
এটাই হচ্ছে দৃষ্টি ভঙ্গির তফাৎ। আপনি একটা নির্দিষ্ট বিষয় কে কিভাবে দেখছেন তার উপর অনেক কিছু নির্ভর করে।
৩। টমাস আলভা অ্যাডিসনের গ্রামোফোন আবিষ্কার উপলক্ষে এক সংবর্ধনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এক তরুণী তাঁর বক্তৃতায় অ্যাডিসনকে অযথাই আক্রমন করে বসল, ‘কী এক ঘোড়ার ডিমের যন্ত্র আবিষ্কার করেছেন, সারাক্ষণ কানের কাছে ঘ্যানর ঘ্যানর করতেই থাকে। আর তাই নিয়ে এত মাতামাতি! ইতিহাস আপনাকে ক্ষমা করবে না।
তরুণী বলেই যাচ্ছে। থামার কোনো লক্ষণ নেই। অ্যাডিসন চুপ করে শুনে গেলেন। বক্তৃতা দিতে উঠে তিনি বললেন, ‘ম্যাডাম, আপনি ভুল করছেন। আসলে সারাক্ষণ কানের কাছে ঘ্যানর ঘ্যানর করার যন্ত্র আবিষ্কার করেছেন ঈশ্বর। আমি যেটা আবিষ্কার করেছি সেটি ইচ্ছে মতো থামানো যায়।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে মে, ২০২১ রাত ১:০৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



