somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

আজকের ডায়েরী- ৮৩

২২ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ছবিঃ সতের বছর আগের তোলা।

অনেকদিন পর আজ ব্লগে এলাম।
এতদিন খুবই বেকায়দায় ছিলাম। এখন পরিস্থিতি কিছুটা ভালো। ঈদের পাঁচ দিন আগে হঠাত সুরভির ডেংগু হলো। প্রচন্ড জ্বর, সেই সাথে প্রচন্ড মাথা ব্যথা। ডাক্তারের কাছে গেলাম। ডাক্তার চারটা টেস্ট দিলেন। টেস্ট করালাম। তাতে দেখা গেলো ডেঙ্গু। প্লাটিলেট কমে গেছে। হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে এমন অবস্থা। এদিকে ফাইহা খুবই ছোট। তার খাওয়া-দাওয়া, গোছল আর ঘুম সব এলোমেলো হয়ে গেলো। সুরভিকে হাসপাতালে ভরতি করাবো। কোনো হাসপাতালেই সিট খালি নেই। বেশির ভাগ হাসপাতালেই করোনা রোগী দিয়ে ভরা। যাই হোক, কয়েকদিন বেশ যন্ত্রনার পর এখন সুরভি ভালো আছে। তবে আমি বেশ ঘাবড়ে গিয়েছিলাম।

সুরভি এখন আছে তার বাবার বাড়ি।
অনেক বছর সে তার বাবার সাথে ঈদ করে নাই। আমি আছি আমার বাসায়। প্রতিদিনই বেশ কয়েকবার সুরভির সাথে কথা বলছি। ফাইহার সাথে কথা বলছি। পরিবারের কেউ অসুস্থ থাকলে আমার কিছুই ভালো লাগে না। আমার হাত পা কেমন অবশ হয়ে আসে। তাছাড়া সামনে ছিলো ঈদ। যাই হোক, আজ ঈদের দ্বিতীয় দিন। কোরবানীর ঈদটা আমার ভালো লাগে না। রাস্তাঘাট খুব নোংরা হয়ে থাকে। চারিপাশেই বাজে গন্ধ! আমার দম বন্ধ হয়ে আসে। অথচ সিটি করপোরেশন প্রতি বছরই বলে ২৪ ঘন্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারন করা হবে। এবছরও বলেছে। এই দেশে কারো উপর আস্থা রাখা মানে বোকামি করা। এই দেশের মানুষ গুলো দিন দিন নর্দমার কীট হয়ে যাচ্ছে।

ঢাকা শহরের নানান জায়গায় হাট বসেছে।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে গরু ঢাকা এসেছে। প্রতিটা গরুর সীমাহীণ কষ্ট হয়েছে। যন্ত্রনা হয়েছে। গরুর চোখে মরিচ ঢলে দেওয়া হয়। যন্ত্রনায় গরু লাগায়। তাতে ক্রেতা মনে করে গরু সুস্থ সবল আছে। বড় বড় ট্রাক থেকে গরু উঠাতে এবং নামতে গরুর উপর অতি মাত্রায় অত্যাচার করা হয়। গরুর কেনার পর গরুকে মারতে মারতে বাসায় নিয়ে আসা হয়। অবলা পশুকে এত কষ্ট, এত যন্ত্রনা দেওয়ার নামই কি কোরবানী? মানুষ এত অমানবিক কেন? বড় নৌকায় করে গরু আনতে গিয়ে গরু পানিতে পড়ে গেছে। ট্রাক থেকে নামতে গিয়ে গরু পায়ে ব্যথা পেয়েছে। পিকআপ ভ্যানের ভাড়া বাঁচাতে গিয়ে গরুকে গাবতলী হাট থেকে হাটিয়ে বাসা পর্যন্ত নেওয়া হয়। আসল কোরবানী কারো হয় না। এগুলো হলো কোরবানী নাম দিয়ে জাস্ট ফাজলামো করা।

সরকার লকডাউন তুলে নিয়েছে ঈদ উপলক্ষ্যে।
এখন ঢাকা শহরের গজব অবস্থা। কেউ কোনো স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। একটা বিষয় আমাকে প্রচন্ড অবাক করে আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে করোনা নিয়ে কোনো চিন্তা ভাবনা নেই। গরুর হাট, শপিংমল এবং বাজারে হাজার হাজার মানুষ। মানুষ কেনাকাটা করায় ব্যস্ত। এত এত মানুষ যে রাস্তায় ভয়াবহ জ্যাম এবং ফুটপাত দিয়ে পর্যন্ত হাঁটা যায় না। এত ভিড় দেখে আমি অবাক! আমার দম বন্ধ হয়ে আসছিলো। এদিকে গতকাল ঈদের দিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত চলেছে মাংস বেচাকেনা। সারাদিন বাড়ি বাড়ি থেকে মাংস সংগ্রহ করে বড় রাস্তার মোড়ে জমানো মাংস বিক্রি করছে ৪/৫ শ' টাকা কেজিতে। সেই মাংস কেনার ক্রেতার অভাব নাই।

আপনাদের সকলে জানাই ঈদ মোবারক।
আমার ঈদ ভালো কাটেনি। সুরভি অসুস্থ। তারউপর সুরভির টেস্ট এর কাগজ পত্র আর আমার ক্রেডিট কার্ড, এটিএম কার্ড সব হারিয়ে ফেলেছি। নগদ সাত হাজার টাকাও হারিয়েছি। আমি সাধারণট কিছু হারাই না। খুব হিসাব করে আমি চলাচল করি। গুছিয়ে কাজ করতে চেষ্টা করি। কিন্তু সেদিন সুরভিকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়ে সব এলোমেলো হয়ে গেলো। সব হারিয়ে ফেললাম। সুরভি অসুস্থ হয়ে যাওয়ার কারনে ছোট মেয়েটার খুব কষ্ট হলো। অযন্ত হলো। আমাদের কোরবানি দেওয়া হয়েছে। গরুর দাম পরেছে ৯০ হাজার টাকা। তবে গরু আমি দেখি নাই। এমন কি মাংস কাটাকাটির সময়ও আমি ছিলাম না। সবাই ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন। করোনা থেকে খুব সাবধান থাকুন। জয় বাংলা।

কমেন্ট ব্যানে আছি। কাউকে মন্তব্য করতে পারছি না।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:০৫
১১টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×