ছবিঃ আমার তোলা।
গরীবের সংসার ভাঙ্গে অভাবে।
ধনীর সংসার ভাঙ্গে স্বভাবে। আজ আমার এক পরিচিত ছেলের তালাক হয়েছে। ছেলেটা ভালো ছিলো। কিন্তু ভয়াবহ দরিদ্র। লেখাপড়া জানে। কিন্তু একটা চাকরী জোটাতে পারে নি। চাকরী না পেয়ে ব্যবসার চেষ্টা করেছিলো। কিন্তু টাকার অভাবে ব্যবসাও করতে পারেনি। দুই বছরের সংসার জীবন তার। ফুটফুটে একটা ছেলে আছে। ছেলের বয়স সাত মাস। স্ত্রীর ভাষ্য জামাই বাদ্যাইম্মা। কোনো কাম কাজ করে না। বাচ্চার জন্য একটা দুধ কেনারও মুরোদ নাই। বিয়ের পর থেকে আমি নিয়মিত ওর হাত খরচ পর্যন্ত দিচ্ছি। আমাকে একটা শাড়ি কিনে দিতে পারে না। বাজার করে দিতে পারে না। সামান্য একটা সূতী শাড়িও কিনে দিতে পারে নাই গত দুই বছরে। ওদের তালাক হুয়ে যাওয়াতে আমি কষ্ট পেয়েছি। ছেলেটা ভালো ছিলো।
গতকাল এক বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছি।
চায়নিজ রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠান। বাংলা খাবারের ব্যবস্থা করেছে। খাবারের মান ভালো না। চায়নিজে কখনও বাংলা খাবার ভালো হয় না। চায়নিজে চায়নিজ খাবার ভালো লাগে। বাংলা খাবার নয়। এটা বহুবার পরীক্ষিত। আমি দুই নলা খেয়ে আর খাই নি। সুরভিকে ফোন দিয়ে বলেছি, আমার জন্য টেবিলে খাবার বারো। আমি আসতেছি। যাই হোক, রোষ্ট, পোলাউ, টিকা আর গরুর মাংস কিছুই ভালো হয়নি। কোন বাবুর্চি রান্না করেছে? শেষে যে জর্দা দেয় সেটার মানও অতি খারাপ। যাকগে আমার কি? নতুন বউকে নিয়ে চিটাগাং চলে যাবে। গাড়ি রেডি। বারো সিটের দুইটা মাইক্রো ভাড়া করা হয়েছে। এখন নতুন বউ বলছে, আমি গাড়িতে যাবো না। প্লেনের টিকিট কাটো। গাড়িতে আমার বমি হয়। এই নিয়ে বিয়ে বাড়িতে হাউকাউ শুরু হয়ে গেছে। এক মুরুব্বী রাগ করে মিষ্টির বাক্স উড়িয়ে মেরেছে মেয়ের মামাকে। মেয়ের মামা চেয়ার তুলেছে। মুহুর্তে বিরাট গ্যাঞ্জাম।
আগামী সপ্তাহে একটা বিয়ের দাওয়াত আছে।
ধানমন্ডি এক রেস্টুরেন্টে অনুষ্টান। বুফে। ত্রিশ রকমের খাবার সাজানো থাকবে। নিয়ে নিয়ে খাও। যত ইচ্ছা তত। বুফে মানেই অনেক রকম খাবার। আমি চালাক মানুষ। প্রথমে সাজিয়ে রাখা খাবার টেবিলের চারদিকে একটা চক্কর দিব। সব খাবার খাবো না। যে ক'টা খাবার ভালো লাগবে শুধু সেগুলো খাবো। চিকেন ফ্রাই, অনথন, গরুর মাংস খাবো। চিংড়ি ফ্রাই খাবো। শুধু থাই স্যুপ খাবো। আজকাল কর্ন স্যুপ ভালো লাগে না। সামান্য ফ্রাইড রাইস নিবো। কোনো মাছ খাবো না। বুফের কোনো মাছের স্বাদ ভালো হয় না। মনে হয় যেন চিনি দিয়ে মাছ রান্না করে। কোনো জুস কি থাকবে? ডেজার্ট কি থাকবে কে জানে! নানান রকম কেক, মিষ্টি, দই, সন্দেশ, রসমালাইও থাকতে পারে। যদি চমচম থাকে, তাহলে এক পিছ চমচম খেতে পারি। এসব খাবার খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে। তাই আমি আগেই গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খেয়ে নিবো।
১১ জন মানুষকে আমার ভালো লাগে।
এই ১১ জন মানুষই মারা গেছেন। লালন। লালন একজন গ্রেট মানুষ। ১৭৭৪ এ তার জন্ম। সুনীলের 'মনের মানুষ' বইটা পড়লে লালন সম্পর্কে অনেক কিছু জানা যাবে। এই উপন্যাস থেকে একটা সিনেমাও হয়েছে। বিজ্ঞানী এডিসন। টমাস আলভা এডিসন। পৃথিবীতে অনেক বিজ্ঞানী আছে। কিন্তু এডিসন আমার সবচেয়ে প্রিয়। এই মহান বিজ্ঞানী ১৯৩১ সালে মারা যায়। আমি রবীন্দ্রনাথের ভক্ত। তাকে নিয়ে আমি একটা বইও লিখেছি। রবীন্দ্রনাথের মতো রোমান্টিক মানুষ খুব কম আছে। রবীন্দ্রনাথের গান আমার মনকে শান্ত করে। ম্যাক্সিম গোর্কিকে আমার ভালো লাগে। মনে আছে স্কুলে পড়ার সময় গোর্কির জীবনী পড়েছিলাম। ভীষন মন খারাপ হয়েছিলো আমার। আমি ঢাকা শহরে যত দাঁতের ডাক্তারের কাছে গিয়েছি গোর্কির বই দেখেছি। মহাত্ম গান্ধী অসাধারণ একজন মানুষ। তাকে নিয়ে বেশ কয়েকটা মুভি হয়েছে। একজন ভালো নেতা তিনি। উন্নত জীবন বাদ দিয়ে তিনি অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়েছিলেন।
আজও আমি মুগ্ধ হয়ে চার্লি চ্যাপলিনের মুভি দেখি।
তার অভিনয় অসাধারণ। আমার মন খারাপ হলেই চার্লির মুভি দেখতে বসি। ১৯৭৭ সালে তিনি মারা যান। আইনস্টাইনকে ভালো লাগে। ভালো মানুষ। জ্ঞানী মানুষ। আইনস্টাইনের সাথে আমি আমাদের জাফর স্যারের চেহারার মিল পাই। হুমায়ূন আহমেদের ভাই জাফর ইকবাল। আমি ছোটবেলা থেকেই ম্যান্ডেলার ভক্ত। নেলসন ম্যান্ডেলা গ্রেটম্যান। ১৯১৮ সালে ম্যান্ডেলার জন্ম হয়েছিলো। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। একজন গ্রেট লিডার। তার মতো বাংলাদেশে আর কেউ নেই। মাদার তেরেসা। এক মহীয়সী নারী। এরকম নারী ঘরে ঘরে থাকলে পুরো বাংলাদেশ বদলে যেতো। ১৯৯৭ সালী তিনি মারা যান। হুমায়ূন আহমেদ আমার প্রিয় সাহিত্যিক। বাংলাদেশে তার মতো লেখক আর একজনও নেই। তার নাটক গুলো অসাধারণ। প্রতিটা নাটক দেখতে দেখতে আমার মূখস্ত হয়ে গেছে। তার মতো করে আর কেউ এত সুন্দর নাটক তৈরি করতে পারেনি।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৫৭