ছবিঃ আমার তোলা।
আজ দুপুরে বাসায় রুই মাছ রান্না হয়েছে।
আমার চাচা বাসায় বিশাল এক রুই মাছ পাঠিয়েছেন। ওজন হবে সাড়ে পাঁচ কেজি। এত বড় মাছ বাসায় কাটা সম্ভব না। বাজারে আমি যে ছেলেটার কাছ থেকে মাছ কাটাই তাকে ফোন দিলাম। বললাম, বাসায় এসে মাছটা কেটে দিয়ে যাও। সে কিছুতেই আসবে না। বলল, বাজারে নিয়ে আসুন কেটে দেই। আমি তাকে অনেক আদর নিয়ে বললাম, সোনা ভাই আমার, মিয়াঁ ভাই আমার, আসো। প্লীজ। আল্লাহর দোহাই লাগে। ছেলেটা শেষমেষ বাসায় এসে মাছ কেটে দিয়ে গেলো। বড় মাছ কাটা দেখতে আমার ভালো লাগে। দশ মিনিটের মধ্যে মাছ কাটা শেষ। আর ভাবী, সুরভি মাছ দেখে ভয় পেয়ে গেছে।
যাই হোক, আজ সেই রুই মাছ রান্না হয়েছে।
রান্না করেছে সুরভি। দারুন মজা হয়েছে। মাছ টা মনে হয় চাষের না। মাছটা ভেজে নিয়েছে। সাথে শিম, আলু আর ফুলকপি দিয়েছে। মাছটা খেতেও দারুন লাগলো। এক পিস মাছ প্রায় আধ হাত লম্বা। আমি দুপুরে দুই পিছ মাছ খেয়েছি। বাসার সবাই বলেছে তরকারীটা দারুন হয়েছে। বাঁধা কপি ভাজি করেছে। এটাও ভালো হয়েছে। ডাল তো থাকেই সব সময়। কেউ ডাল না খেলেও প্রতিদিন ডাল রান্না হয়। লাউ দিয়ে ইলিশ মাছের কাটাকুটা রান্না হয়েছে। অবশ্য এটা আমি খাই নি। বহুদিন পর আজ রুই মাছ খেয়ে আরাম পেয়েছি। এত আরাম লেগেছে যে দুপুরে এক ঘুম দিয়ে দিয়েছি। সাধারনত আমি দুপুরে ঘুমাই না।
নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনকে বেঁধে রাখা হয়েছে।
তাকে খুব মাইর দেওয়া হয়েছে। তার ঠোঁট কেটে গেছে। রক্ত পড়ছে। সে খুব কাঁদছে। তার অপরাধ সে সামান্য কৃষকের সন্তান হয়ে রাজার কন্যার সাথে প্রেম করার দুঃসাহস করেছে। এদিকে রাজার কন্যা খবর পেয়ে কাঁদতে কাঁদতে ইলিয়াস কাঞ্চনকে দেখতে এসেছে। সে খুব কাঁদছে। সাথে পাল্লা দিয়ে ইলিয়াস কাঞ্চনও খুব কাঁদছে। দেয়াল থেকে চাবুক নিয়ে রাজকন্যা নিজের গায়ে নিজে মারছে। ইলিয়াস কাঞ্চন কাঁদছে আর বলছে- মেরো না। তুমি ব্যথা পেলে সেই ব্যথা আমার গায়ে লাগে। রাজকন্যা চাবুকের আঘাতে অজ্ঞান হয়ে যায় যায় অবস্থা। তখন দেয়ালে জ্বলতে থাকা মশালে চাবুক লেগে যায়। এবং চারিদিকে খুব দ্রুতে আগুন ছড়িয়ে পড়তে থাকে। এবং রাজকন্যা অজ্ঞান হয়ে যায়। এদিকে আগুন রাজকন্যার দিকে এগিয়ে আসছে।
বেচারা ইলিয়াস কাঞ্চন চিৎকার করে কাঁদছে।
তার দুই হাত উপরে দিকে বাঁধা। সে কিছুই করতে পারছে না। কান্না ছাড়া তার আর কি করার আছে? এমন সময় ইলিয়াস কাঞ্চনের মাথায় একটা বুদ্ধি আসে। সে কামড় দিয়ে নিজের ডান হাতের মাংস অনেকখানি ছিড়ে ফেলে। ক্ষত স্থান থেকে পিচ পিচ করে রক্ত পড়তে শুরু করে। অনেক রক্ত। এত রক্ত, এত রক্ত পড়ে যে শেষমেষ আগুন বন্ধ হয়ে যায়।
নায়ক শাকিব গুন্ডাদের আস্থানায় যায়।
তার দুই হাতে দুই পিস্তল। সে অতি অল্প সময়ে গুলি করতে করতে সব গুন্ডাদের মেরে ফেলে। শুধু আসল ভিলেন তখনও বেঁচে আছে। শাকিব যখন আসল ভিলেনকে মারতে যায়। তখন দেখা যায় পিস্তলের গুলি শেষ। তখন ভিলেন হা হা করে বিকট শব্দে হেসে উঠে। সাকিব খান থতমত খেয়ে যায়। তখন ভিলেন পকেট থেকে পিস্তল বের করে। ভিলেন তার দুইজন চ্যালাকে বলে, সাকিবের হাতের আঙুল গুলো ভেঙ্গে গুড়ো গুড়ো করে দাও। মুহুর্তের মধ্যে সাকিবের আঙুল ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়া হয়। এরপর ভিলেন সাকিবকে একটা পিস্তল দিয়ে বলে এই নে, আমাকে গুলি কর। তোকে দুই মিনিট সময় দিলাম। যদি গুলি করতে না পারিস তাহলে আমি তোকে গুলি করে মারবো। হা হা হা--- আবার সেই বিকট হাসি।
সাকিব কোনো রকমে পিস্তল হাতে নেয় কিন্তু গুলি করতে পারে না।
গুলি করবে কিভাবে তার হাতের সব গুলো আঙুল ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। তারপরও সাকিব অনেকবার চেষ্টা করে গুলি করতে কিন্তু পারে না। তখন ভিলেন ও তার চ্যালারা খুব হাসে। এদিকে ভিলেনের বেঁধে দেওয়া দুই মিনিট সময়ের মধ্যে দেড় মিনিট সময় শেষ। হাতে আছে মাত্র ত্রিশ সেকেন্ড। এমন সময় সাকিব তার জামার ভেতর থেকে একটা গাজর বের করে। সেই গাজরের সাহায্যে ট্রিগার চাপতে পারে। এবং ভিলেনকে গুলি করে মেরে ফেলতে সক্ষম হয়।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১:০১