আজ আমি কিছু লিখব না।
কারন প্রচন্ড মাথা ব্যথা করছে। সন্ধ্যা থেকে মাথা ব্যথা শুরু হয়েছে। এখন বাজে রাত ১২ টা। ব্যথা কমেনি। মাথা ব্যথার কারণে সন্ধ্যায় নাস্তা খাই নি। এক কাপ চা-ও খাই নি। রাতেও খাবো না। মানা করে দিয়েছি। ছোটবেলা মাথা ব্যথা কি জিনিস বুঝতাম না। কেউ যখন বলতো মাথা ব্যথা করে। তখন মনে মনে হাসতাম। ভাবতাম মাথা আবার ব্যথা করে কি করে? এখন আমি বুঝি মাথা ব্যথা কি জিনিস। আমার ধারনা রাত ২/৩ টার আগে মাথা ব্যথা কমবে না। যখনই মাথা ব্যথা শুরু হয় লম্বা সময় ব্যথা থাকে। চিনচিন করে ব্যথা করতেই থাকে। বাসায় আমি একা। সুরভি গিয়েছে এক বিয়ের দাওয়াতে। মাথা ব্যথা নিয়েই চারটা সিগারেট খেলাম।
গতকালও মাথা ব্যথা করেছে।
অনেক সময় পর্যন্ত মাথা ব্যথা করেছে। আমি বাসার কাউকে বলি নাই- মাথা ব্যথার কথা। ব্যথা কমানোর জন্য আমি সাধারনত কোনো ওষুধ খাই না। তবে নাপা খেলে কিছুটা উপকার পাই। আজ ঘরে নাপা নাই। থাকলেও জানি না কোথায় আছে। সুরভি হয়তো জানে। মাথা ব্যথা ভুলে থাকার জন্য বই হাতে তুলে নিয়েছি। ঘরে নতুন কোনো বই নেই। তাই মিসির আলী সমগ্র আবার পড়া শুরু করেছি প্রথম থেকে। আজ পড়েছি 'তন্দ্রাবিলাস'। তন্দ্রাবিলাস পড়া শেষ কিন্তু মাথা ব্যথা কমেনি। অনেকে বলেন, মাথা ব্যথা করলে চোখ বন্ধ করে ঘরের লাইট অফ করে শুয়ে থাকলে ব্যথা কমে যায়। এভাবে চেষ্টা করেছি। কমেনি।
ব্যথা ভুলে থাকার জন্য একটা ধাঁধা নিয়ে ভাবলাম।
ধাঁধাটা হলো- যখন আমার বয়স ২ বছর ছিল তখন আমার ভাইয়ের বয়স আমার অর্ধেক ছিল। এখন আমার বয়স ৭৫ হলে আমার ভাইয়ের বয়স কত হবে? মাথা ব্যথা কিছুতেই যাচ্ছে না। কবিতা পড়লাম। তাও ব্যথা কমে না। অথচ কি সুন্দর কবিতা! যদি আজ বিকেলের ডাকে-/ তার কোনো চিঠি পাই/ যদি তার এতকাল পরে মনে হয়-/ দেরী হোক, যায়নি সময়! খেয়াল করে দেখুন, আমি আবোল তাবোল লিখছি। কারন মাথা ব্যথা নিয়ে কিছু লেখা সম্ভব না। এখন আমার উচিত দুই মুঠ ভাত খেয়ে, মাথা ব্যথার ওষুধ খাওয়া। খেয়ে বাত্তি বন্ধ করে শুয়ে থাকা। তবেই না মাথা ব্যথা কমবে।
'আমার আরেকটা কথা বলার ছিলো'-
বলতে বলতেই শ্রদ্ধেয় কাইয়ুম চৌধুরী মাটিতে ঢলে পড়েন, চলে গেলেন, প্রমান করে গেলেন মানুষের সব কথা আসলে বলা হয় না। সবারই অনেক কিছু বলার আছে। যদি কেউ ভাবে সময় আছে। পরে বলব। তাহলে ভুল হবে। কাজেই যাকে ভালোবাসার, ভালোবেসে ফেলুন। যাকে গালি দেওয়ার গালি দিয়ে দিন। পরে হয়তো আর সময় না-ও পেতে পারেন। আজ দুপুরে একটা সিনেমা দেখেছি। কাহিনী এইরকমঃ একটি বৃষ্টি যুক্ত রাতে এক ক্যাপ ড্রাইভারের খুন হয়। খুনের অভিযোগে একজন বারটেন্ডার বসুকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে কিন্তু বারটেন্ডার বসু নির্দোষ তার পরেও তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয় এবং পরবর্তীতে তার আবেদনের জন্য তাকে চার বছর পর ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর শুরু হয় আসল কাহিনী।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১২:২৫