somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

প্রিয় কন্যা আমার- ২৮

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



প্রিয় কন্যা আমার-
আজ অনেকদিন পর তোমাকে নিয়ে লিখছি। কারন, যে ব্লগে আমি লিখি সে ব্লগে এখন আমি নিয়মিত আসছি না। আসতে ইচ্ছা করে না। ব্লগে কিছু মন্দলোক আছে। এরা বিরাট বদ। অবশ্য বদ লোক দুনিয়ার সব জাগাতেই আছে। মক্কা মদীনাতেও আছে। ফারাজা তুমি সব সময় মন্দ মানুষ থেকে দূরে থাকবে। ৭১ সালে যখন যুদ্ধ হয়, তখনও কিছু মন্দ মানুষ পাকিস্তানীদের সাপোর্ট করেছে। নিজের দেশের ক্ষতি করেছে। এরা হলো রাজাকার। এই রাজাকার মানসিকতার লোক এখনও চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। এদের থেকে খুব সাবধান থাকতে হবে। এরা সাপের মতো বিষাক্ত। এ সমাজে বিষাক্তদের সংখ্যা অনেক। সমাজে বিষাক্ত লোকদের কাছ থেকে দূরে থাকবে। সাবধানে থাকবে। তাদের ভালোর মুখোশ দেখে প্রতারিত হবে না।

প্রিয় কন্যা ফারাজা তাবাসসুম,
সামু ব্লগে একজন ভালো লোক ছিলো। ভালো লিখতেন। ভালো মন্তব্য করতেন। তাকে আমি খুবই পছন্দ করতাম। তার নাম চাঁদগাজী। চাঁদগাজীকে ব্লগ থেকে ব্যান করা হয়েছে। এটা প্রামানিত হলো- মন্দ লোকদের ভিড়ে ভালো মানুষ টিকে থাকতে পারে না। আর আজকাল সমাজের এরকম অবস্থা হয়েছে- চারিদিকে শুধু মন্দ লোকদের জয়-জয়কার হয়। খারাপের সাথে খারাপ মিলে। আর সব খারাপ লোক যখন একসাথে হাত মিলায় তখন ভয়াবহ অবস্থা হয়। ভালো লোকদের টিকে থাকাই মুশকিল হয়। মন্দ লোকজন ব্লগটাকে দখল করে নিয়েছে প্রায়। যদিও তাঁরা দীর্ঘদিন টিকে থাকতে পারবে না। সামুতে দেখেছি, মন্দ লোক কি করে হাসে। কিছু মানুষের হাসিও অতি কুৎসিত হয়। এক মন্দলোক আরেক মন্দ লোককে সাপোর্ট করে। চারিদিকে মন্দলোকে মন্দলোকে ধূলপরিমান।

প্রিয় কন্যা ফাইহা,
ব্লগ জীবনে দেখেছি, যাকেই আমি ভালো মনে করেছি- কিছু কাল পর সে বিষাক্ত সাপের মতো আচরন করেছে। আসলে ব্লগে কে যে ভালো, কে যে স্বচ্ছ বুঝি না। তবে সামুতে নিরপেক্ষ লোক নেই। এমন কি ব্লগ টিমও নিরপেক্ষ নয়। সকালে যে ভালো থাকে, বিকালে সে-ই বদ হয়ে যায়। সবচেয়ে বড় কথা- ব্লগে প্রায় প্রত্যকেরই একাধিক নিক আছে। একই লোক একেক নিকে একেক রকম আচরন করে। প্রিয় কন্যা ফারাজা- কেউ নামাজ, রোজা করলেই তাকে ভালো মনে করার কোনো কারন নেই। এক সময় আমি মনে করতাম- যারা নামাজ-রোজা করে, মুখে দাঁড়ি, মাথায় টূপি- নামাজ পড়তে পড়তে কপালে দাগ বসিয়ে ফেলেছে- তাঁরা বুঝি ভালো লোক। কিন্তু না। তাঁরা আরো বেশি মন্দ লোক। সমাজে মন্দ লোকদের বেশির ভাগই শিক্ষিত।

প্রিয় কন্যা আমার-
সমাজে কিছু বিষাক্ত নারী আছে। এরা বিষাক্ত সাপের মতোই ভয়ঙ্কর।। হোক সে নারী স্কুল শিক্ষিকা, হোক সে সরকারী চাকরীজীবি। হোক সে একজন গৃহীনি। নারী মানেই ভালো, মহৎ ও নমনীয় সেটা মনে করা ঠিক হবে না। আমার অফিসে এক মহিলা কাজ করতেন, সে বিরাট বদ মহিলা। আমার জীবনে এরকম বদ মহিলা আমি দেখিনি। এখন সেই মহিলা যদি ব্লগিং করে- তাহলে দেখা যাবে সে ব্লগে এসে বদমাইশি করছে। কাজেই প্রিয় কন্যা আমার- কথা একটাই, তোমাকে সমস্ত বদ মানুষ থেকে দূরে থাকতে হবে। কবি, সাহিত্যিকদের বা যারা লেখালেখি করেন- তাদেরও ভালো মানুষ মনে করো না। এদের মধ্যেই মন্দের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। আমি একজনকে চিনি-জানি তিনি লেখালেখি করেন। সমাজের চোখে তিনি ভালো মানুষ। অথচ আমি তার আসল রুপ দেখেছি। এই সমাজে মন্দ লোকেরা ভালোর মুখোশ পরে চলে।

প্রিয় কন্যা আমার-
যাই হোক, এখন ব্লগের কথা বাদ দেই। তবে তোমার কাছে আমার অনুরোধ মন্দ মানুষদের কাছ থেকে দূরে থাকবে। সমাজে অল্প কিছু ভালো মানুষ আছে। তুমি মিশবে তাদের সাথে। যদি ভালো মানুষের দেখা না পাও তাহলে একা থাকবে। বই পড়বে, মুভি দেখবে। লিখবে। গান শুনবে। নিজের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। অন্য দশ মেয়ের মতো তোমার হওয়ার দরকার নেই। তোমাকে হতে হবে সবার থেকে আলাদা। সময় অপচয় করবে না। সময় খুব মূল্যবান। প্রতিটা মুহুর্ত কাজে লাগাবে। নিজেকে সময় দিবে। পরিবারকে সময় দিবে। নিজের সমস্ত জ্ঞান, নিজের সমস্ত ভালোত্ব দিয়ে মানুষের জন্য কল্যাণকর কিছু করবে। লেখাপড়া শেষ করে, বিয়ে করে শুধু ঘরসংসার এর মধ্যে নিজেকে বন্ধী করে ফেলো না। নিজের পরিবারের প্রতি দায়িত্ব পালন করে। তারপর সমাজের প্রতি দায়িত্ব পালন করবে। অসহায় ও দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়াবে।

প্রিয় কন্যা আমার-
এখন তোমাকে তোমার কথা বলি। তোমার এখন তেরো মাস বয়স চলছে। চারটা দাঁত তোমার একসাথে উঠতে শুরু করেছে। আর অল্প কয়েকদিন পরই তুমি একাএকা হাঁটতে পারবে। ইদানিং তুমি হঠাত হঠাত অনেক কথা বলে ফেলো। 'আব্বা' শব্দটাও বলতে পারো স্পষ্ট করে। গানের তালে তালে নিজে মাথা নাড়াও। খিলখিল করে হাসো। টিভির দিকে তাকিয়ে থাকো। হাতের কাছে মোবাইল পেলেই টিপাটিপি করতে থাকো। ঘুমের মধ্যে এক পা আমার গায়ে দিয়ে রাখো। বাইরে নিয়ে গেলে খুবই খুশি হও। রাস্তায় কুকুর দেখলেই বলো- যাহ যাহ। তোমাকে নিয়ে বেশ আছি আমরা। তুমি আর রোহা আমাদের বাসার সবচেয়ে ছোট দুই সদস্য। কিন্তু আর কিছু দিন পর আমাদের বাসায় আরেকজন নতুন সদস্য আসবে। তোমার ছোট চাচা চাচীর নতুন বেবি আসবে।

সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৫২
৮টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

খালেদা জিয়ার মৃত্যু রাজনীতির মাঠে বিরাট শূন্যতা

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১৯

 
বাংলাদেশের রাজনীতিতে বেগম খালেদা জিয়া এক উল্লেখযোগ্য চরিত্র। সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের পর বিএনপির টালমাটাল পরিস্থিতিতে তিনি দলটির হাল ধরেন। সেনানিবাসে গড়ে উঠা দলটাকে রাজপথে বেড়ে উঠতে গৃহবধূ থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

"তোমরা জানাযা করে দ্রুত লাশ দাফন কর।"

লিখেছেন এমএলজি, ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:৩০

রাসূল (সাঃ) বলেছেন, "তোমরা জানাযা করে দ্রুত লাশ দাফন কর।" বেগম খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিবেচনায় এ কাজটি করা হয়নি বলে বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যাচ্ছে।

বিষয়টি সত্য কিনা তা তদন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্যক্তি বেগম খালেদা জিয়া কেমন ছিলেন?

লিখেছেন নতুন নকিব, ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:০৪

ব্যক্তি বেগম খালেদা জিয়া কেমন ছিলেন?

ইয়াতিমদের সাথে ইফতার অনুষ্ঠানে বেগম খালেদা জিয়া, ছবি https://www.risingbd.com/ থেকে সংগৃহিত।

তিন-তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, শুধু প্রধানমন্ত্রী নন, সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্ত্রীও তিনি। তাকেই তার বৈধ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বছরশেষের ভাবনা

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৮


এসএসসি পাস করে তখন একাদশ শ্রেণিতে উঠেছি। সেই সময়ে, এখন গাজায় যেমন ইসরাইল গণহত্যা চালাচ্ছে, তখন বসনিয়া নামে ইউরোপের ছোট একটা দেশে এরকম এক গণহত্যা চলছিল। গাজার গণহত্যার সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

উৎসর্গ : জাতীয় নাগরিক পার্টি (NCP)

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৮



খিচুড়ি

হাঁস ছিল, সজারু, (ব্যাকরণ মানি না),
হয়ে গেল “হাঁসজারু” কেমনে তা জানি না।
বক কহে কচ্ছপে—“বাহবা কি ফুর্তি!
অতি খাসা আমাদের বকচ্ছপ মূর্তি।”
টিয়ামুখো গিরগিটি মনে ভারি শঙ্কা—
পোকা ছেড়ে শেষে কিগো খাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×