
গত ৫০ বছরে বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে বলা যাবে না।
যতদূর এগিয়েছে তার চেয়ে ত্রিশ গুণ বেশি এগোনো দরকার ছিলো। শুধু মাত্র দূর্নীতির কারনে আজও পিছিয়ে আছে দেশ। হাসিনা সরকারের আমলে দেশে কোটিপতির সংখ্যা বেড়েছে। গত ৫০ বছরে শেখ মুজিব, জিয়া, এরশাদ, হাসিনা এবং খালেদা। এবং বহু এমপি, মন্ত্রী এসেছেন। এরা সবাই কম বেশী দেশের জন্য কাজ করেছেন। তবে তাদের সবার একটা বিষয়ে মিল আছে, সেটা হলো দূর্নীতি। সবচেয়ে বেশি দূর্নীতি হয়েছে খালেদা জিয়ার আমলে। মির্জা আব্বাস থেকে শুরু করে ফালু পর্যন্ত। এখনও তাঁরা বেশ আছে। এবার হাসিনার আমল খালেদা জিয়াকেও ছাড়িয়ে গেছে। প্রতিটা মন্ত্রী এমপি থেকে শুরু করে, তাদের ছত্রছায়ায় থাকা লোকজনও কোটিপতি। একজন ছিচকে চোর ধরার চেয়েও বেশি সহজ দূর্নীতিবাজ ধরা।
বাংলাদেশে দেশপ্রেমিক মানুষের সংখ্যা কম।
যদি কাউকে বলা হয়, আপনাকে আমেরিকান গ্রীনকার্ড দেওয়া হবে আপনি কি যাবেন? সবাই রাজি হয়ে যাবে। খোঁজ নিলে জানা যাবে প্রতিটা মন্ত্রীর আমেরিকাতে বাড়ি গাড়ি আছে। দেশ স্বাধীন হয়েছে ৫০ বছর। জাতির জন্য কম সময় নয়, কিন্তু সুদীর্ঘ এ সময়ে দেশের মানুষের অনেক প্রত্যাশাই পূরণ হয়নি। দেশজুড়ে মাদকের ছড়াছড়ি তরুণ সমাজকে অন্ধকার জগতে ঠেলে দিচ্ছে। আমাদের দেশপ্রেম হল, কথায় কথায় বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ, চেতনা, ইত্যাদি বলা। দেশপ্রেম জিনিসটা আমরা চিনিই না। সবাই নিজের আখের গুছাতে ব্যস্ত। লেখক, কবি, ব্যবসায়ী, চাকরীজীবি, রাজনীতিবিদ।
মানুষের কর্মসংস্থান হোক।
সেই ৭২ সাল থেকেই রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা। দুর্নীতিসহ নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন এখনো দেখতে পাইনি আমরা। শুধু মাত্র পদ্মাসেতু আর মেট্রোরেল উন্নতিত সোপান হতে পারে না। যেদিকে তাকাই শুধু ঘুষ, দুর্নীতি, দুর্ঘটনাসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত দেশ। একটি জাতির জন্য- দূর্নীতি যেমন ক্ষতিকর, তেমনি ধর্মও ক্ষতিকর। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছিল যে দেশ সেই ভারত, একটি হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র। বাংলাদেশকে প্রথম রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দিয়েছিল যে দেশ সেই ভূটান একটি বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ। স্বাধীনতার পর অদ্যাবধি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে যে দেশের অবদান অনস্বীকার্য সেটা হচ্ছে জাপান। একটি বৌদ্ধ ধর্ম প্রধান রাষ্ট।
ধর্ম শিক্ষা ও অশিক্ষার কারনে বাংলাদেশ উন্নত হতে পারেনি।
যে যেখানে পেয়েছে সেখানেই চুরি করেছ। দেশের সব জায়গায় চুরি, দূর্নীতি, অগণতান্ত্রিক ভোট, ডাকাতি, ধর্ষণ সব'ই হচ্ছে ধুমধাম। সেদিকে দেশের মাওলানাদের নজর নেই, তারা আছে কার ভাস্কর্য ভাঙা আর কার যাওয়া আসা নিয়ে। স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপন যেখানে সরকার আর তার হেলমেট বাহিনীই করে! সর্বস্তরের জনগন কেন স্বাধীনতার উদযাপন করে নি? কথিত আছে, শেখ হাসিনার বেয়াই আর মখা সাহেব রাজাকার ছিলেন। তাহলে তাঁরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দলে জায়গা পান কিকরে? শেখ হাসিনা তাদের দলে জায়গা দিলেন কেন? তাহলে কি শেখ হাসিনা সৎ মানুষ নন! তিনি নষ্টদের ভালোবাসেন?
স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও আমরা আমাদের মেরুদণ্ড সোজা করতে পারলাম না।
আজও বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের বিচারে সেরা এক হাজার বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় নেই। অথচ প্রতিদিনই আমরা শুনতে পাই বাংলাদেশ রোল মডেল এ পরিণত হয়েছে। উন্নয়নের মহাসড়কে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ভারত জ্ঞান ও প্রযুক্তির দিক দিয়ে সবচেয়ে এগিয়ে। এখনো আমার ভাবতে অবাক লাগে স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর র্যাঙ্গকিং পাকিস্তানের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর নিচে। আমাদের দেশে এখনো শিশুশ্রম প্রচুর। মানুষকে যদি মানব সম্পদে না পরিণত করা যায় তবে দেশ কখনো আগাবে না। বাংলাদেশ এগিয়ে যাক উন্নতি, প্রগতি এবং সমৃদ্ধির দিকে সে প্রত্যাশাই রইল।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৫১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



