somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

আওয়ামীলীগের ১৪ বছরের শাসনকালকে আপনি কিভাবে মূল্যায়ন করবেন?

১১ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ছবিঃ গুগল।

দেখুন, ১৪ বছর আগেও দেশে গরীব মানুষ ছিলো, আজও আছে।
বরং গরীবের সংখ্যা আরো বেড়েছে। আর ধনীরা আরো ধনী হয়েছে। হাসিনা গরীবদের থেকে ধনীদের বেশি ভালোবাসেন। ১৪ বছর আগেও মানুষ রাস্তায় ঘুমাতো, আজও ঘুমায়। তাহলে উন্নয়নটা কোথায়? ফুটপাতে মানুষ কত না কষ্ট করে ঘুমায়! ১৪ বছর আগেও দেশে দূর্নীতি হতো এখনও হয়। বরং দূর্নীতি আগের থেকে অনেক বেশী হচ্ছে। অথচ কোনো একটা টেকনিকের কারনে দেশ দূর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হচ্ছে না! ১৪ বছর আগেও সরকারী হাসপাতালে দালাল ছিলো, আজও আছে। সরকারী হাসপাতালে যারা চিকিৎসা নিতে যায় তাঁরা জানে কত রকম দিকদারি!

১৪ বছর আগেও দেশে বেকার ছিলো, আজও কোটি কোটি লোক বেকার।
বিশ্বাস করুণ প্রতিটা ঘরে ১/২ দুইজন করে বেকার আছেই। বেকারদের কথা মাথায় রেখে শেখ হাসিনা চাকরী সৃষ্টি করা নিয়ে তার কোনো মাথা ব্যথা নেই। উনি বলেন উদোক্তা হতে। একজন সহায় সম্বলহীন মানুষ কিভাবে উদোক্তা হবে? ১৪ বছর আগেও রাস্তায় জ্যাম ছিলো, আজও জ্যাম আছে। বরং আগের তুলনায় জ্যাম বিশ গুণ বেশি বেড়েছে। দেশের সাধারন মানুষ কেমন আছে তা কি শেখ হাসিনা জানেন? তাঁরা কি ভাবে তা কি শেখ হাসিনা জানেন? না জানেন না। শেখ হাসিনাসহ তার মন্ত্রী এমপিরা শুধু উন্নয়ন দেখেন। অথচ দেশের বহু পরিবার ছয় মাসে একবার গরুর মাংস দিয়ে ভাত খেতে পারে না।

অনেকেই হয়তো পদ্মাসেতু আর মেট্রোরেলের কথা বলবেন।
অথবা নানাবিদও অবকাঠামো উন্নয়ন এর কথা বলবেন। দেখুন, আমি বাজার করি। বাজারে গেলে মন ভরে কেনাকাটা করতে পারি না। আওয়ামীলীগ সরকার বাজার নিয়ন্ত্রন করতে সম্পূর্ন ব্যর্থ। মানুষের তো আগে খেয়েপরে বেঁচে থাকতে হবে। ক্ষুধার্থ পেটে পদ্মাসেতু বা মেট্রোরেল ভালো লাগবে না। হাসিনার আমলে নব্য ধনীদের সংখ্যা হু হু করে বেড়েছে। অথচ আজ পর্যন্ত একজন নব্য ধনীকে জিজ্ঞেস করা হয়- আপনি কিভাবে ধনী হলেন? গত ১৪ বছরে শিক্ষার মান খুব বেশি নীচে নেমে গেছে। একটা মাস্টার্স পাশ ছেলেমেয়ে একপাতা দরখাস্ত লিখতে পারে না ইংরেজীতে। দেশের মানুষ গত ১৪ বছর এত নিষ্ঠুর এবং অমানবিক ছিলো না। এখন মানুষের মন থেকে মায়া দয়া উঠেই গেছে। একজন যোগ্য ও দক্ষ শাসকের অভাবে দেশের আজ এই অবস্থা।

অসহায় ও দরিদ্র লোকজন-
বউ বাচ্চা ফেলে রেখে সৌদি যায় অতি নিম্মমানের কাজ করতে। কিশোর কিশোরীরা জুতোর আঠা দিয়ে নেশা করছে সকলের সামনে। এখনো অসংখ্য ছেলেমেয়ে স্কুলে যায় না। তাদের খোজ খবর কেউ রাখে না। গত ১৪ বছরে দেশে কাগজ টোকানির সংখ্যা চার গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। নেশা করা ছেলেমেয়েদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের উন্নয়ন যতটা না হয়েছে, তারচেয়ে হাজার গুণ বেশি উন্নয়ন হয়েছে ওদের। রাজনীতিবিদ এবং তাদের ছত্রছায়ায় থাকা লোকজনের। উন্নয়ন হয়েছে ছাত্রলীগের পোলাপানদের। ওরা অল্প বয়সেই বিনা পরিশ্রমে গাড়ি বাড়ির মালিক হয়ে গেছে। ছাত্রলীগ বড় ভয়ঙ্কর। আওয়ামীলীগ দেশ থেকে রাজনীতিকেই বিদায় করে দিয়েছে। আজ দেশে শক্তিশালী কোনো বিরোধী দল নেই। বিএনপির কোমর দিয়েছে ভেঙ্গে। খোজ নিলে জানা যাবে আওয়ামীলীগের বহু নেতা লন্ডন, আমেরিকা ও কানাডাতে বাড়ি গাড়ি করে রেখেছে। ওরা যেটাকে বলে সেকেন্ড হোম।

এই হচ্ছে সোনার বাংলাদেশ!
আওয়ামীলীগ চায় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে। দেশে কি আর কোনো মানুষ নেই? তাদের কি দেশ নিয়ে কোনো স্বপ্ন নেই? তাদের স্বপ্ন গুলো বাস্তবায়ন করবে কে? আমি জানি 'হাসান কালবৈশাখী' সাহেব এই পোষ্ট দেখে মেজাজ গরম করবেন। আমি এও জানি, ''মিথ্যা বলা গুনাহ! আর সত্য বলা মানা!' দেশে আসলে যোগ্য ও দক্ষ লোকের অভাব। বড় বড় পদে অযোগ্যরা বসে আছে। প্রধানমন্ত্রীর শুদ্ধি অভিযানের খবর কি? কে যেন বলেছিলেন- "কখন বুঝবে একটি দেশে ও সমাজ নষ্ট হয়ে গেছে, যখন দেখবে দরিদ্ররা ধৈর্যহারা হয়ে গেছে, ধনীরা কৃপণ হয়ে গেছে,মুর্খরা বসে আছে মঞ্চে, জ্ঞানীরা পালিয়ে যাচ্ছে এবং শাসকরা মিথ্যা কথা বলছে।" আমি আশাবাদী মানুষ। দেশ নিয়ে সুন্দর স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের উন্নয়ন করে আপনি সব উলটে দিয়েছেন। দেশের মানুষ যদি পারত সবাই উন্নত দেশে চলে যেতো। তাহলে বুঝুন আপনি কত কত উন্নয়ন করেছেন।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:৪৬
১৭টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইসলামপন্থী রাজনীতির বয়ান এবং জামাতের গাজওয়াতুল হিন্দ-এর প্রস্তুতি

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:২০


গোরা উপন্যাসে রবীন্দ্রনাথ নিজে ব্রাহ্ম হয়েও, ব্রাহ্ম সমাজের আদর্শের বিপরীতে "গোরা" নামে একটি চরিত্র তৈরি করেন। গোরা খুব কট্টরপন্থী হিন্দু যুবক। হিন্দু পরিচয়ে বড় হলেও, আসলে সে আইরিশ পিতা-মাতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তুমি নেই, তাই শূন্য লাগে

লিখেছেন রানার ব্লগ, ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪৬

তোমার চলে যাওয়ার পর
ঘরে আর আলো জ্বালাই না,
অন্ধকারে নিজের মতো করে
সবকিছু চিনে নেই।

জানো, আজ সকালে চা বানাতে গিয়ে দেখলাম
চিনি শেষ,
ভাবলাম ঠিক আছে,
মিষ্টি না থাকলেও চা হয়।

রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ
তোমার মতো... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫ আগস্টের পর তো কিছুই বদলায়নি

লিখেছেন মুনতাসির, ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৯

অনেকেই বলেন, ৫ আগস্টের পর তো কিছুই বদলায়নি। এই কথাটার সূত্র ধরেই এগোনো যায়। ৫ আগস্টের পর আমাদের কোন কোন পরিবর্তন এসেছে, সেটাই আগে দেখা দরকার। হিসাব করে দেখলাম, বলার... ...বাকিটুকু পড়ুন

শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণে উড়ে গেল মাদ্রাসার দেয়াল, বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১৯



ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় একটি মাদ্রাসায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারী, শিশুসহ চারজন আহত হয়েছেন।

বিস্ফোরণে মাদ্রাসার একতলা ভবনের পশ্চিম পাশের দুটি কক্ষের দেয়াল উড়ে গেছে। ঘটনাস্থলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

তেল আর জল কখনো এক হয় না......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৩৫



জুলাই ছিলো সাধারণ মানুষের আন্দোলন, কোন লিডার আমারে ডাইকা ২৪'এর আন্দোলনে নেয় নাই। কোন নেতার ডাকে আমি রাস্তায় যাই নাই। অথচ আন্দোলনের পর শুনি আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড নাকি মাহফুজ। জুলাই বিপ্লবের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×