
দেখুন, ১৪ বছর আগেও দেশে গরীব মানুষ ছিলো, আজও আছে।
বরং গরীবের সংখ্যা আরো বেড়েছে। আর ধনীরা আরো ধনী হয়েছে। হাসিনা গরীবদের থেকে ধনীদের বেশি ভালোবাসেন। ১৪ বছর আগেও মানুষ রাস্তায় ঘুমাতো, আজও ঘুমায়। তাহলে উন্নয়নটা কোথায়? ফুটপাতে মানুষ কত না কষ্ট করে ঘুমায়! ১৪ বছর আগেও দেশে দূর্নীতি হতো এখনও হয়। বরং দূর্নীতি আগের থেকে অনেক বেশী হচ্ছে। অথচ কোনো একটা টেকনিকের কারনে দেশ দূর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হচ্ছে না! ১৪ বছর আগেও সরকারী হাসপাতালে দালাল ছিলো, আজও আছে। সরকারী হাসপাতালে যারা চিকিৎসা নিতে যায় তাঁরা জানে কত রকম দিকদারি!
১৪ বছর আগেও দেশে বেকার ছিলো, আজও কোটি কোটি লোক বেকার।
বিশ্বাস করুণ প্রতিটা ঘরে ১/২ দুইজন করে বেকার আছেই। বেকারদের কথা মাথায় রেখে শেখ হাসিনা চাকরী সৃষ্টি করা নিয়ে তার কোনো মাথা ব্যথা নেই। উনি বলেন উদোক্তা হতে। একজন সহায় সম্বলহীন মানুষ কিভাবে উদোক্তা হবে? ১৪ বছর আগেও রাস্তায় জ্যাম ছিলো, আজও জ্যাম আছে। বরং আগের তুলনায় জ্যাম বিশ গুণ বেশি বেড়েছে। দেশের সাধারন মানুষ কেমন আছে তা কি শেখ হাসিনা জানেন? তাঁরা কি ভাবে তা কি শেখ হাসিনা জানেন? না জানেন না। শেখ হাসিনাসহ তার মন্ত্রী এমপিরা শুধু উন্নয়ন দেখেন। অথচ দেশের বহু পরিবার ছয় মাসে একবার গরুর মাংস দিয়ে ভাত খেতে পারে না।
অনেকেই হয়তো পদ্মাসেতু আর মেট্রোরেলের কথা বলবেন।
অথবা নানাবিদও অবকাঠামো উন্নয়ন এর কথা বলবেন। দেখুন, আমি বাজার করি। বাজারে গেলে মন ভরে কেনাকাটা করতে পারি না। আওয়ামীলীগ সরকার বাজার নিয়ন্ত্রন করতে সম্পূর্ন ব্যর্থ। মানুষের তো আগে খেয়েপরে বেঁচে থাকতে হবে। ক্ষুধার্থ পেটে পদ্মাসেতু বা মেট্রোরেল ভালো লাগবে না। হাসিনার আমলে নব্য ধনীদের সংখ্যা হু হু করে বেড়েছে। অথচ আজ পর্যন্ত একজন নব্য ধনীকে জিজ্ঞেস করা হয়- আপনি কিভাবে ধনী হলেন? গত ১৪ বছরে শিক্ষার মান খুব বেশি নীচে নেমে গেছে। একটা মাস্টার্স পাশ ছেলেমেয়ে একপাতা দরখাস্ত লিখতে পারে না ইংরেজীতে। দেশের মানুষ গত ১৪ বছর এত নিষ্ঠুর এবং অমানবিক ছিলো না। এখন মানুষের মন থেকে মায়া দয়া উঠেই গেছে। একজন যোগ্য ও দক্ষ শাসকের অভাবে দেশের আজ এই অবস্থা।
অসহায় ও দরিদ্র লোকজন-
বউ বাচ্চা ফেলে রেখে সৌদি যায় অতি নিম্মমানের কাজ করতে। কিশোর কিশোরীরা জুতোর আঠা দিয়ে নেশা করছে সকলের সামনে। এখনো অসংখ্য ছেলেমেয়ে স্কুলে যায় না। তাদের খোজ খবর কেউ রাখে না। গত ১৪ বছরে দেশে কাগজ টোকানির সংখ্যা চার গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। নেশা করা ছেলেমেয়েদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের উন্নয়ন যতটা না হয়েছে, তারচেয়ে হাজার গুণ বেশি উন্নয়ন হয়েছে ওদের। রাজনীতিবিদ এবং তাদের ছত্রছায়ায় থাকা লোকজনের। উন্নয়ন হয়েছে ছাত্রলীগের পোলাপানদের। ওরা অল্প বয়সেই বিনা পরিশ্রমে গাড়ি বাড়ির মালিক হয়ে গেছে। ছাত্রলীগ বড় ভয়ঙ্কর। আওয়ামীলীগ দেশ থেকে রাজনীতিকেই বিদায় করে দিয়েছে। আজ দেশে শক্তিশালী কোনো বিরোধী দল নেই। বিএনপির কোমর দিয়েছে ভেঙ্গে। খোজ নিলে জানা যাবে আওয়ামীলীগের বহু নেতা লন্ডন, আমেরিকা ও কানাডাতে বাড়ি গাড়ি করে রেখেছে। ওরা যেটাকে বলে সেকেন্ড হোম।
এই হচ্ছে সোনার বাংলাদেশ!
আওয়ামীলীগ চায় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে। দেশে কি আর কোনো মানুষ নেই? তাদের কি দেশ নিয়ে কোনো স্বপ্ন নেই? তাদের স্বপ্ন গুলো বাস্তবায়ন করবে কে? আমি জানি 'হাসান কালবৈশাখী' সাহেব এই পোষ্ট দেখে মেজাজ গরম করবেন। আমি এও জানি, ''মিথ্যা বলা গুনাহ! আর সত্য বলা মানা!' দেশে আসলে যোগ্য ও দক্ষ লোকের অভাব। বড় বড় পদে অযোগ্যরা বসে আছে। প্রধানমন্ত্রীর শুদ্ধি অভিযানের খবর কি? কে যেন বলেছিলেন- "কখন বুঝবে একটি দেশে ও সমাজ নষ্ট হয়ে গেছে, যখন দেখবে দরিদ্ররা ধৈর্যহারা হয়ে গেছে, ধনীরা কৃপণ হয়ে গেছে,মুর্খরা বসে আছে মঞ্চে, জ্ঞানীরা পালিয়ে যাচ্ছে এবং শাসকরা মিথ্যা কথা বলছে।" আমি আশাবাদী মানুষ। দেশ নিয়ে সুন্দর স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের উন্নয়ন করে আপনি সব উলটে দিয়েছেন। দেশের মানুষ যদি পারত সবাই উন্নত দেশে চলে যেতো। তাহলে বুঝুন আপনি কত কত উন্নয়ন করেছেন।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:৪৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


