
১। বই পড়ে আসলে কারো জীবনের পরিবর্তন হয় না।
হ্যাঁ বই পড়া ভালো। জ্ঞান অর্জনের চেয়ে বড় দুনিয়াতে আর কিছুই নেই। বই পড়লেই যদি জীবন সত্যি সত্যি বদলে যেতো তাহলে দেশে এত এত বেকার থাকতো না। পড়ালেখা করবেন, জীবনে ভালো চাকরী পাবেন। সফলতা আসবে জীবনে। নিজের পরিবর্তন নিজেকেই করতে হবে। কোনো বই সেই পরিবর্তন করতে পারবে না। আমি কিন্তু বহু বই পড়েছি। বাংলা সাহিত্য, বিশ্ব সাহিত্য কিছুই বাদ রাখিনি।
২। আমাদের এলাকায় একটা বেকারি ছিলো।
ওরা নানান রকম বিস্কুট বানাতো। যে বিস্কুট গুলো ভেঙ্গে যেত ওরা সেই বিস্কুট গুলো জমাতো। সেখানে নানান রকম ভাঙ্গা ভাঙ্গা বিস্কুট থাকতো। সেই বিস্কুট আমি কিনে খেতাম। নানান রকম বিস্কুট। মিষ্টি বিস্কুট, নুনতা বিস্কুট। ঝাল বিস্কুট। পাঁচ মিশালি ভাঙ্গা ভাঙ্গা বিস্কুট। খেতে খুব টেস্ট লাগতো। সবচেয়ে বড় কথা পাঁচ টাকায় অনেক গুলো দিতো।
৩। প্রথমে একজন ভালো মানুষ হতে হবে।
সহজ সরল ভালো মানুষ। কারন ভালো মানুষ না হতে পারলে জীবনে আপনি যা-ই হোন না কেন লাভ নাই। সুন্দর ভাবে লেখাপড়া করে নিজেকে যোগ্য ও দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। মনের সমস্ত কুসংস্কার গুলো ঝেড়ে ফেলে দিতে হবে। একজন আধুনিক মানুষ হতে হবে। ধর্মীয় গোঁড়ামি ঝেড়ে ফেলতে হবে। মন মানসিকতা এবং চিন্তা ভাবনা উন্নত করতে হবে।
৪। এযুগে যাদের জন্ম হচ্ছে তাঁরা খুব ভাগ্যবান।
তাঁরা জন্মের পর পেয়ে যাচ্ছে মোবাইল, ইন্টারনেট, ল্যাপটপ। আরো নানান রকম গেজেট। এই প্রজন্মের জন্ম হচ্ছে আধুনিক হাসপাতালে। কিন্তু আমাদের জন্মের সময় দেশে এত এত আধুনিক হাসপাতাল ছিলো না। আমার জন্ম হয়েছে বাসায়। ধাইয়ের কাছে। প্রতিদিন বেশ কয়েকবার করে বিদ্যুৎ চলে যেত। তখন ছিলো না ইন্টারনেট, ফেসবুক, টিকটক। ছিলো না ডিশ লাইন। ছিলো না অনেক গুলো টিভি চ্যানেল। তবুও আমি বলব, সেই সময়টাই ভালো ছিলো।
৫। 'দোয়া' এর কোন বৈজ্ঞানিক উপকারিতা নেই।
দোয়ায় কোনো কিছুই হয় না। দোয়ায় কাজ হলে আজ সমস্ত ছেলেমেয়ে পাইলট, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হতো। বাবা মা ছেলেমেয়েদের জন্য দোয়া করেন। দোয়ার ফলাফল শূন্য। আপনি পরীক্ষায় প্রচুর পড়াশোনা করে পরীক্ষায় দিলেই পাশ করবেন। এখন যদি পরীক্ষা ভালো ভাবে না দেন তাহলে কি করে পাশ করবেন? আপনার বাবা মা বা আত্মীয়স্বজন যতই দোয়া করুক। শুনুন যা করার নিজেকেই করতে হবে। দোয়ার উপর ভরসা রাখলে আপনি শেষ। ভরসা রাখতে হবে শুধু নিজের উপর।
৬। কবিতা কি? কবিতা হলো আবেগের খেলা।
মানুষের মনে আবগে আসে, তখন সে কবিতা লিখে। কবিতা হলো অনুভবের বিষয়। কাজেই কবিতা লিখতে হলে প্রেমে পড়তে হবে এমন কোনো কথা নেই। যে লিখতে জানে, সে তাজমহল না দেখেও তাজমহল নিয়ে কবিতা লিখতে পারবে। ভালো লেখার জন্য দরকার জ্ঞান। দরকার সততা। দরকার মহানুভবতা। দরকার সরলতা। আজকাল সবার হাতে 'এসএলআর' ক্যামেরা তাঁরা সবাই কি ফটোগ্রাফার? ঠিক তেমনি সবাই কবিতা লিখলেও সবাই কবি না। এরা আসলে ফেসবুক কবি। মূলত এরাই বাংলা কবিতার সর্বনাশ করছে।
৭। ব্যাচেলর মেসে বুয়াদের সাথে সেক্সসুয়াল সম্পর্ক হয়।
খুব হয়। ঢাকা শহরের সব এলাকায় একাধিক মেস রয়েছে। সেসব মেসে ছাত্র এবং চাকরীজিবিরা থাকেন। সবার রুচি সমান নয়। একটা মেসে নানান শ্রেনীর লোক থাকে। নানান অঞ্চলের লোক থাকে। হোক সে ছাত্র বা চাকরিজীবী। সেক্স বিষয়ে কেউ পিছিয়ে নেই। কখনও কখনও বুয়ারা টাকার জন্য সেক্স করতে রাজী হয়। অথবা তাকে বাধ্য করা হয়। এদিকে ছাত্র বা চাকরীজীবিরাও অল্প টাকায় কাজ সারতে পারে। বিষয়টা স্বাভাবিক বলা ঠিক হবে না। গভীর গোপন বিষয়। গোপনে গোপনে যে এই শহরে কত কি হয়- জানালে অবাক হবেন।
৮। না শীর্ষ নেতা ভুল বলেছেন। আসলে শেখ হাসিনা যতদিন বেঁচে আছেন, তত দিন আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থেকে যাবে। টিকে যাবে। শেখ হাসিনার এখন বয়স ৭৪। উনি আর কত বছর বাচবেন? আমার ধারনা ১০/১৫ বছরের বেশি দিন বাঁচবেন না। বাংলাদেশের মানুষ গড়ে ৬০ বছরের বেশী বাঁচে না। উনি উন্নত জীবনযাপন করছেন, উন্নত চিকিৎসা পাচ্ছেন। তাই উনি হয়তো ৮০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকবেন।
৯। মুসলমানদের সব কিছুর জন্য দোয়া আছে।
নতুন কাপড় পড়ার জন্য দোয়া আছে, সহবাস করার জন্য দোয়া আছে, বাইরে বের হবার আগে দোয়া আছে। বাথরুমে প্রবেশের আগে দোয়া আছে। ইত্যাদি সমস্ত কিছুর জন্য দোয়া আছে। এবার আপনাকে আসল কথা বলি, দোয়ায় কাজ হয় না। যদি দোয়ায় কাজ হতো তাহলে দুনিয়াতে সমস্ত ছেলেমেয়ে লেখাপড়ায় ভালো করতো। কারন প্রতিটা বাবা মা তাদের সন্তানদে জন্য দোয়া করেন। আমার বাবা মা চাইতেন, আমার জন্য দোয়া করতেন- আমি যেন সরকারী চাকরী পাই। অনেক চেষ্টা করেও সরকারী চাকরী পাইনি। বাস্তবতা হচ্ছে- একটা সরকারী চাকরী পাওয়ার জন্য যতটুকু পড়াশোনা করতে হয়, ততটুকু পড়াশোনা করি নাই। অথচ আমার মা বাবা আমার জন্য দিন রাত দোয়া করেছেনে, রোজা রেখেছেন।
১০। অন্ততপক্ষে সবার ড্রাইভিংটা শিখে রাখা দরকার।
আমার এক বন্ধুর বাবা গাড়ির ড্রাইভার ছিলেন। বড় কোম্পানীর ড্রাইভার। সে বছরে দুইবার বিদেশ যেতে পারতো কোম্পানীর খরচে। বাংলাদেশে লেখাপড়া শেষ করে চাকরী পেতে বেশ বেগ পেতে হয়। তখন ড্রাইভিং জানলে আর বসে থাকার দরকার হয় না। উবার চালানো যায়। অথবা কোনো কোম্পানীর গাড়ি। আজাইরা বসে থাকার চেয়ে গাড়ি চালানো ভালো না? বেকার শব্দটা খুব খারাপ। খুব কষ্টের। খুব যন্ত্রনার। অপমানের।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


