
রাজীব নূর খান। আমার জানা মতে সে একজন ভালো মানুষ।
সহজ সরল ভালো মানুষ। একজন সৎ ও পরিশ্রমী মানুষ। একজন হৃদয়বান মানুষ। উনি কোনোদিন কারো ক্ষতি করেন নাই। পারতপক্ষে মিথ্যা বলেন না। উনি যদি মিথ্যা বলেনও তাহলে ধরে নিতে হবে সেই মিথ্যায় কারো না কারো উপকার হয়েছে। রাজীব কোনোদিন কাউকে ঠকান নাই। উনি সব সময় অসহায় ও দরিদ্র মানুষদের পাশে থাকেন। রাস্তায় ক্ষুধার্থ মানুষ দেখলে উনি তাকে রেস্টুরেন্টে নিয়ে পেট ভরে ভাত খাওয়ান। অসুস্থ মানুষকে ওষুধ কিনে দেন। আজ পর্যন্ত রাজীব নূর কাউকে কোনো দিন একটা গালি দেন নাই। মানুষের প্রতি তার সীমাহীন ভালোবাসা রয়েছে।
রাজীব নূর দেশ নিয়ে ভাবেন।
দেশের সমস্যা গুলো নিয়ে ভাবেন। যখন দেশে কোনো বিপদ আসে উনি অস্থির হয়ে যান। করোনার সময় তিনি মানুষকে সচেতন করেছেন। সবাইকে কেন মাস্ক পড়তে হবে বুঝিয়েছেন। বন্যা এলে উনি অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ান। ধনীদের অনুরোধ করেন অসহায় মানুষদের সাহায্য করতে। যেসব কিশোর রাস্তায় কাগজ টোকায়- রাজীব তাদের বুঝায় পড়াশোনা করতে। এখন পর্যন্ত দুইজন নিরক্ষর মানুষকে সে পড়তে শিখিয়েছে। রাজীব একজন পড়ুয়া মানুষ। সে প্রচুর পড়ে। তার একটা ইচ্ছা আছে- সারা বাংলাদেশে অনেক গুলো লাইব্রেরী করবে। সব শ্রেনীর মানুষ লাইব্রেরীতে আসবে। পড়বে। রাজীবের আরেকটা ইচ্ছা আছে- সারা বাংলাদেশে অসংখ্য গাছ লাগাবে। দেশ হবে সবুজ। সবুজ বাংলাদেশ।
রাজীব সাহেব দেশের সমস্যা ও সমাধানের কথা গুলো জাতির সামনে তুলে ধরেন।
তিনি অবিরত লিখে চলেছেন। বর্তমান প্রজন্মকে রাজীব সাহেব বলেন- তোমরা শুধু লেখাপড়া করে যাও। খুব ভালো করে লেখাপড়া করো। টিকটক, ইউটিউব, ফেসবুক জীবনের জন্য গুরত্বপূর্ন নয়। পড়া এবং জানার চেয়ে আনন্দময় আর কিচ্ছু নাই। জ্ঞান অর্জন করো। জ্ঞানই সম্পদ। সময় অপচয় করো না। প্রতিটা মুহুর্ত কাজে লাগাতে হবে। পড়ো, পড়ো এবং পড়ো। নিজেকে দক্ষ ও যোগ্য করে গড়ে তোলো। যারা সমাজের জন্য ভালো কাজ করে তাঁরা সবাই ভালো মানুষ। যেমন মাদার তেরেসা। যার তুলনা হয় না। বহু সংগঠন আছে- অসহায় ও দরিদ্র মানুষদের জন্য কাজ করে। যারা দেশের জন্য কাজ করে তাঁরা হিরো।
রাজীব সাহেব অনেক গুলো বিয়ে করেন নাই।
ডাকাতি করেন নাই। দাস দাসী রাখেন নাই। অন্যের মাথায় কাঠাল ভেঙ্গে খায় নাই। কাউকে নিয়ে উপহাস করেন নাই। ধর্ম ব্যবহার করে ধান্দাবাজি করেন নাই। দূর্নীতি করেন নাই। অন্যের মালামাল লুট করেন নি। ভোগ, বিলাস করে জীবনযাপন করেন নি। চ্যাটাং চ্যাটাং কথা বলেনি। কাউকে পরকালের ভয় দেখান নি। শুধু মানুষের সেবা করে গেছেন। সব সময় দেশ এবং দেশের মানুষের কথা ভেবেছেন। তারপর ভেবেছেন বিশ্বের কথা। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রাজীব নূর খুব চিন্তিত। মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। এজন্যই মানুষকে সব সময় ভালো ভালো কাজ করতে হবে। মানুষের পাশে থাকতে হবে। শুধু নিজে ভালো থাকলে হবে না। আশেপাশের সকলকে নিয়ে ভালো থাকতে হবে।
ভালো মানুষ কে? যে অন্যের ক্ষতি করে না।
যে অন্যকে নিয়ে উপহাস করে না। যে ইনিয়ে বিনিয়ে নিজেকে মহান দেখাতে চেষ্টা করেন না। যে সব সময় নিরপেক্ষ থাকেন। যে অনেক গুলো প্রেম করেন না। যে নিজেকে পন্ডিত মনে করেন না। যে ভূয়া নয়, মাল্টি নয়, জটিল, কুটিল মানুষ নয়। যে তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেন। কাজেই আমি বিনা দ্বিধায় বলতে পারি- রাজীব নূর খান একজন ভালো মানুষ। ভালো মানুষের জীবনে বারবার বাঁধা আসে। দুষ্ট লোকেরা বাঁধা সৃষ্টি করে। তবুও রাজীব তার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে। রাজীব সাহেব আধুনিক মানুষ। কোনো কুসংস্কার তার মধ্যে নেই। তার চিন্তা ভাবনা উন্নত। তিনি মানুষকে ভালো কথা বলেন। ভালো পথ দেখান। তার দ্বারা কেউ কখনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:২৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




