
প্রথমেই আমি সামুকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।
মডারেটর, ব্লগটিম এবং ব্লগারদের জানাই স্বচ্ছ ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা। আজ অবশ্যই একটি বিশেষ দিন। বিশেষ দিনে মিষ্টি খেতে হয়। আমার ডায়বেটিকস নেই, তাই আমি ফ্রিজ থেকে বের করে দুটো মিষ্টি খেয়ে নিয়েছি। অনেকেই আজকের দিনটি মাথায় রেখে কিছু না কিছু লিখেছেন। চাঁদগাজী লিখেছেন, কাভা লিখেছেন, শায়মা লিখেছেন, সেলিম আনোয়ার লিখেছেন। আমি গতকালই ভেবে রেখেছিলাম কিছু না কিছু লিখব। এদিকে দিনটি চলে যাচ্ছে। অলরেডি প্রথম পাতায় আমার একটি পোষ্ট আছে। সে যাকগে, ব্লগারদের একটা দায়-দায়িত্ব আছে। এই দায়িত্ব কেউ হাতে তুলে দেয়নি। কিন্তু অদৃশ্যভাবে দায়িত্বটা চলে আসে। দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়া ঠিক না।
আমি আজ পর্যন্ত সামুর কোনো অনুষ্ঠানে যাইনি।
এটা আমার ব্যর্থতা। অনুষ্ঠান গুলোতে যাওয়া উচিৎ। তবে এক সময় সামু ছাড়া অন্যান্য ব্লগের অনুষ্ঠানে আমাকে দাওয়াত করা হতো। আমি যেতাম। আমার সমস্যা হলো- হয় আমি প্রচুর কথা বলি, নয়তো একদম চুপ করে থাকি। যাইহোক, আমি জানি সামুর শ্রেষ্ঠ ব্লগার কে। কাকে এবং কেন ব্যান করা হয়েছে। অনেক কিছু জানলেও লেখা যায় না। লিখতে গেলে মডারেটর সাহেব হয়তো বলবেন, ''এরকম পোষ্টে আমরা উৎসাহ দেই না''। অবশ্য আমার উৎসাহ লাগেও না। আমার কাছে যেটা সঠিক মনে হবে, সত্য মনে হবে- আমি লিখে যাবো। যদি কখনও নিজের ভুল বুঝতে পারি, তখন এসে ক্ষমা চাইবো। এই প্রসঙ্গ আজ বাদ দেই। আজ একটি বিশেষ দিন, তাই অন্য আলাপে যাই। নিরপেক্ষ থাকাটা খুব জরুরী। কিন্তু কেউ নিরপেক্ষ থাকতে পারে না। ডাক্তার, মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী, নার্স, ব্লগার, পুলিশ, আইনজীবী, শিক্ষক, ছাত্র, রেফারি। কেউ না।
সামুর কিছু কিছু দিক আমার খুব ভালো লাগে।
যেমন- ত্রান বিতরণ। এই তো কিছুদিন আগে সিলেটে অসহায় মানুষকে সাহায্য করা হলো। জাদিদ ভাই নিজে গিয়ে ত্রান দিয়েছেন। লোকবল আরো থাকলে জাদিদ ভাইয়ের সুবিধা হতো। আমি ফ্রি ছিলাম। মনে মনে ভেবেছিলাম জাদিদ ভাই আমাকে ডাকবেন। ডাকেন নি। যদিও অন্যের মতো চিৎকার করে বলতে ইচ্ছা করে না- সংগঠন আমিও করেছি। প্রকশনীর সাথে আমিও জড়িত ছিলাম। রাজাকারদের বিচারের জন্য কম পরিশ্রম করি নাই! শাহবাগের আন্দোলনের অনেক আগেই আমরা রাজাকারদের বিরুদ্ধে লিফটেল বিলি করেছি। ভাই ব্রাদার আমারও কম ছিলো না। ত্রান বিতরণ, কম্বল বিতরণ এরকম বহু স্বেচ্ছাসেবকের কাজ করেছি। অবশ্য এসব বলার মতো কোনো কথা না। বহু মানুষ এরকম কাজ করেছেন। মনোয়ন পাবার জন্য এসব কাজ করিনি। নিজের ঢোল নিজের পেটাতে লজ্জা করে। আমার আবার লজ্জা বেশি।
ব্লগ খুবই মজায় জায়গা। অদ্ভুত জায়গা।
একদল যায়, একদল আসে। কেউ কেউ গিয়ে আবার ফিরে আসে। কেউ কেউ একেবারেই ফিরে আসে না। এদের মধ্যে কেউ একদিন হুট করে মরে যায়। আমরা ব্যথিত হই। কিছু কিছু ব্লগার আছেন, তাঁরা ভালো সময়, মন্দ সময়- কখনও ব্লগ ছেড়ে যান নি। প্রতিদিন একবার করে হলেও ব্লগে ঢু মারেন। যেমন আমাদের সকলের প্রিয় চাঁদগাজী। ব্লগ ইতিহাসে তাঁরা নাম থাকবেই। তাকে বাদ দিয়ে ব্লগ ইতিহাস লেখা, সামুর ইতিহাস লেখা সম্ভব নয়। একথাও সত্য সামুতে সবচেয়ে বেশি সমালোচিত হয়েছেন চাঁদগাজী। অনেক ব্লগার এসেছেন, চলে গিয়েছেন কিন্তু চাঁদগাজী থেকে গেছেন। ঝড়-ঝাপটা কম আসেনি তার উপরে। চাঁদগাজী ছাড়া আরো অনেক ভালো ভালো ব্লগার আছেন সামুতে। তাদের কে আমি সম্মান করি। যে ছেলে বা মেয়ে মোটামোটি লেখালেখির অভ্যাস আছে, তাদের আমি ধরে ধরে সামুতে নিয়ে আসি। তাদের কাছে আমি সামুর গুণগান গাই। কিন্তু মডারেটর সাহেব তো এ দায়িত্ব আমাকে দেননি।
মডারেটর এবং ব্লগটিমের প্রতি আমার কিছু অনুরোধ আছে-
অনেক সময় আমি বা আমরা ভুলটুল করে ফেলি। অনেক অন্যায্য কথাও বলে ফেলি। সেগুলো মনে রাখবেন না। মানুষ তো ভুল করে, করেই শিখে। পবিত্র গ্রন্থে হাত রেখে আপনারা বলতে পারবেন যে আপনাদের কোনো ভুল হয় না। হ্যাঁ আমি জানি ১০০% নিরপেক্ষ থাকা সম্ভব না। এডমিন সাহেব দয়া করে কাউকে 'এরশাদ' বলবেন না। 'দয়া করে সামুতে রেখেছি' এরকম কথাও বলবেন না। 'অন্য ব্লগে চলে যান, ঠিকানা লাগলে বলেন' এরকম নিষ্ঠুর কথাও বলবেন না। এবং অন্যের দ্বারা প্ররোচিত হয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন না। মডারেটরের দায়িত্ব সহজ নয়। সব সময় মেজাজ ঠিক রাখাও সম্ভব না। সবই বুঝি। কিন্তু অনেকে ক্ষমতা হাতে পেলে আউলায়ে ফেলে। শেখ হাসিনা দেশের প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু উনি যা ইচ্ছা তাই করতে পারেন না। করা উচিৎ না। জনগনকে সাথে রাখা জরুরী। যাইহোক, সামু এবং সামুর সমস্ত ব্লগারকে ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৪৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


