
নিরপেক্ষ শব্দটা আমাদের জন্য না।
বিশেষ করে আওয়ামীলীগ বা বিএনপি জন্য না। এমন কি নির্বাচন কমিশনের জন্যও না। বাংলাদেশে নিরপেক্ষ কেউ নেই। উকিল বলুন, পুলিশ বলুন, নির্বাচন কমিশন বলুন, ছাত্র, শিক্ষক, ব্লগটিম, ব্লগার কেউ না। সবাই কোনো না কোনো পক্ষের। বাংলাদেশের মানুষ দল করতে পছন্দ করে। হয়তো সে রাজনীতি করে না। কিন্তু সে দল পছন্দ করে। মনে মনে সে তার দলকে সাপোর্ট করে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারও নিরপেক্ষ নয়। কাজেই বিনা দ্বিধায় বলা যেতে পারে বাংলাদেশে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নহে। অতীতেও হয়নি। লোকজন এখনও বলাবলি করে- গতবার নির্বাচনে হাসিনা আগের রাতেই সমস্ত ব্যালট পেপারে নৌকায় ছাপা দিয়ে ব্যালট বাক্স ভরাট করে রেখেছিলো।
আওয়ামীলীগ চায় আজীবন ক্ষমতায় থাকতে।
বিশেষ করে শেখ হাসিনার ইচ্ছা সে আমৃত্যু ক্ষমতায় থাকবে যে করেই হোক। তাই সে ক্ষমতায় থেকেই নির্বাচন দিবে, বিএনপি যতই হইচই করুক। কারো হাতে ক্ষমতা দিবে না হাসিনা। তার ধারনা অন্য কারো হাতে ক্ষমতা দিয়ে নির্বাচন করলে হয়তো জেতার সম্ভবনা নেই। আর যদি একবার ক্ষমতা হারিয়ে যায় তার এবং তার দলের লোকদের করুণ পরিনতি হবে। তাদের থাকতে হবে জেলে। এবং নিমর্ম অত্যাচার সহ্য করতে হবে। কারন বিএনপিকে তারা কোনঠাসা করে রেখেছে। বিএনপি নেতা কর্মীরা ফালতু মামলায় জেল খাটছে। খেলদা জিয়াকে বাড়ি ছাড়া করা হয়েছে। তারেক কে দেশ ছাড়া করেছে। কঠিন প্রতিশোধ নেবে বিএনপি। এবার বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আওয়ামীলীগীর চিহ্ন রাখবে না বিএনপি। এটা খুব ভালো করেই জানে হাসিনা এবং আওয়ামীলীগ। এজন্য সৎ পথে হোক, অসৎ পথে হোক ২০২৪ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে যেভাবেই হোক ক্ষমতায় থাকবে। অলরেডি তাঁরা বিএনপির কোমর ভেঙ্গে দিতে সক্ষম হয়েছে।
বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষ এখন চায় অন্য কেউ ক্ষমতায় আসুক।
কারন তাঁরা দীর্ঘদিন হাসিনাকে ক্ষমতায় দেখে দেখে ক্লান্ত। হাসিনা দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে নিয়ে গেছেন। এই উন্নয়নের মহাসড়কে মানুষ আজও রাস্তায় ঘুমায়। সরকারী হাসপাতালে দালাল। সরকারী লোকজন ঘুষ খাচ্ছে। রাজনীতিবিদরা ক্ষমতার অপব্যবহার করছে। ক্ষমতাসীনদের ছত্রছায়ায় থাকা লোকজন সাধারন মানুষকে অত্যাচার করছে। উন্নয়নের মহাসড়কের দেশে সীমাহীন বেকার। ক্ষমতাসীনরা ইচ্ছা মতো দূর্নীতি করছে। রাস্তায় বের হলেই ভিক্ষুক। পাঁচ বছর আগেও দেশে এত এত ভিক্ষুক ছিলো না। এমনকি রাজনীতিবিদদের ছত্রছায়ায় থাকা লোকজনও সীমাহীন টাকা দূর্নীতি করেছে। বাজারে জিনিসপত্রের দাম লাগামহীন ভাবে বেড়েই চলেছে। এই হলো আওয়ামীলীগের উন্নয়নের আড়ালে অদেখা কর্মকান্ড। সাধারণ মানুষ চায় জিনিসপত্রের দাম কমুক, সেটা আওয়ামীলীগ পারেনি। একেবারেই পারেনি।
বিএনপি যে খুব ভালো দল সেটা কিন্তু না।
খালেদা জিয়া একজন অদক্ষ ও অযোগ্য লোক। তিনি ক্ষমতায় থাকাকালীন দেশকে পিছিয়ে দিয়েছেন। তার চেয়ে শেখ হাসিনার বুদ্ধি অনেক বেশি। খালেদা জিয়ার চেয়ে শেখ হাসিনা দেশের জন্য ভালো। দেশে আওয়ামীলীগ অনেক কাজ করেছে, সেটা মিথ্যা নয়। বিশেষ করে রাস্তাঘাটের অনেক উন্নয়ন হয়েছে। যেটাকে আমরা অবকাঠামো উন্নয়ন বলতে পারি। সমস্ত সরকারী অফিস গুলো বেশ আধুনিক করা হয়েছে। পদ্মাসেতু, মেট্রোরেলের কথা তো পুরো বিশ্ব জানে। হাসিনা যদি দূর্নীতি কিছুটা কমাতে পারতো, এবং বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারতো- তাহলে সারা দেশের মানুষ তাকে স্যলুট করতো। অনেকে বলে থাকেন, ওদের দূর্নীতির সুযোগ হাসিনা ইচ্ছা করেই দিয়েছেন। নইলে হাসিনা ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। এই কথা যদি সত্য হয়, তাহলে হাসিনা কি দূর্নীতিবাজদের সুযোগ দিয়ে দেশের ক্ষতি করছেন না? উনি তো দেশকে ভালোবেসেই দেশের জন্য রাজনীতি করছেন।
বাংলাদেশ হলো সব সম্ভবের দেশ।
কিন্তু এই সম্ভবের দেশে আর যাইহোক, নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব না কখনই। কথার কথা বলি, যদি নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়ও তখন যে দল নির্বাচনে হেরে যাবে সে চিৎকার করে বলবে নির্বাচন নিরপেক্ষ হয়নি। তবে এবার নির্বাচনে বিএনপি মরন কামড় দিবে নিশ্চিত। কারন তাঁরা শুকিয়ে গেছে। দীর্ঘদিন তাঁরা ক্ষমতার স্বাদ থেকে বঞ্চিত। আরাম আয়েশ বিলাসিতা থেকে বঞ্চিত। দূর্নীতি করতে পারছে না। তাই তাঁরা এবার নির্বাচনে জয়ী হতে জ্বালাও পোড়াও ভালোই করবে। এতে ভূগবে সাধারন মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত হবে সাধারণ মানুষ। তবু শেষমেশ বিএনপি ক্ষমতায় যেতে পারবে না। নো নেভার। হাসিনা এই ব্যাপারে একটুও ছাড় দিবে না। নো নেভার। মূলত ক্ষতি হবে দেশের। আমাদের দেশের রাজনৈতিক দল গুলোর এমন ভাব- দেশটা যেন ওদের বাপ দাদার। ওরা যা খুশি তাই করবে। আমরা প্রজা। আমরা শুধু সহ্য করে যাবো।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৩৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



