somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

আগামী ২০২৩ সালে আওয়ামীলীগ সরকারের টিকে থাকার সম্ভাবনা কতটুকু?

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ছবিঃ আমার তোলা।

আওয়ামীলীগ হচ্ছে কচ্ছপের মতোন, অক্টোপাসের মতন।
তাঁরা একবার যেটা ধরে সেটা আর ছাড়ে না। শেখ হাসিনা যতদিন বেঁচে আছেন ততদিন আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় টিকে থাকবে। শেখ হাসিনা ভালো করেই জানেন, কিভাবে আমৃত্যু ক্ষমতায় থাকতে হয়। আমৃত্যু ক্ষমতায় থাকার জন্য শেখ হাসিনা সবার আগে বিএনপির কোমর তিলে তিলে ভেঙ্গে দিয়েছে। তারেককে দেশ ছাড়া করেছে। তার মাকে বাড়ি ছাড়া করেছে। তার মায়ের সাজা হয়েছে। অন্যসব নেতাদের দৌড়ের উপর রেখেছে। সাধারণত নেতা কর্মীরা যেন বোবা হয়ে গেছে। তাল গাছের মতোন সোজা হয়ে গেছে। এসব অবশ্যই শেখ হাসিনার কল্যাণে সম্ভব হয়েছে। শেখ হাসিনা চালাক মানুষ। তিনি তার বাবার মতো ভুল গুলো করবেন না। কাজেই 'আপা'র উপর সবার ভরসা আছে। আপা সব জানেন।

জামাতকে কঠিন সাইজ করা হয়েছে।
এখন তাঁরা বিড়াল হয়ে গেছে। এমন বিড়ালই হয়েছে তাদের মিউ মিউ আওয়াজও পাওয়া যায় না। আমলাদের ব্যাপক সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। তাদের থাকার জন্য রাজকীয় অট্রালিকা তৈরি করা হয়েছে। অন্যসব সুযোগ সুবিধা তো আছেই। এছাড়া আমলারা সুন্দর করে দূর্নীতি করতে পারছে। তাদের বাঁধা দেওয়া হচ্ছে না। এসব আমলারা চায় আজীবন শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকুক। তিন মহান। পুলিশ, র‍্যাব তারাও চায় শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকুক। হাসিনার তুলনা হয় না। শেখ হাসিনা যেন সুন্দর ভাবে ক্ষমতায় থাকতে পারে তার জন্য র‍্যাব পুলিশ জীবন দিয়ে দেবে, এমন অবস্থা বিরাজ করছে। মাথার উপর বটগাছ তো আছেই। ভারতের কথা বলছি। মোদী সাহেব। মোদী শেখ হাসিনাকে খুব পছন্দ করেন। তাই আওয়ামীলীগের আর ভয় নেই। চিৎকার কর সবাই বলুন জয় বাংলা।

সেনা বাহিনী শেখ হাসিনার উপর অনেক খুশি।
তারাও চায় আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকুক। তাদেরও অনেক রকম সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। কাজেই দেশে এমন লোক নেই যে বলবে শেখ হাসিনাকে চাই না। কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, কারো বলার সাহস নাই- শেখ হাসসিনাকে চাই না। যদি কেউ এরকম বলে তাকে গুম করা হবে। অথবা মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হবে। অথবা দেশ থেকে বের করে দেওয়া হবে। পিনাকী সাহেব পালাতে বাধ্য হয়েছেন। এখন ইউটিউবে সমানে কাউ কাউ করে যাচ্ছেন। যেন তিনি কাউ কাউ করে হাসিনাকে গদি থেকে নামিয়ে ফেলবেন। তার মতো একশ' জন পিনাকিও পারবে না। নো নেভার। কাজেই আগামী বছর, তার পরের বছর, তার পরের বছর ক্ষমতায় আওয়ামীলীগ'ই থাকবে। এটা একটা অলিখিত আইন ও নিয়ম হয়ে দাড়িয়েছে। আওয়ামী লীগ এরকম পরিবেশ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। এবং এটা সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার জন্যই। শেখ হাসিনার সামনে আওয়ামী লীগের অন্যসব নেতারা দুধভাতা।

দেশের সাধারন জনগন হাজার চিৎকার করলেও কোনো লাভ নাই।
জনগননের চিল্লাচিল্লি বেশি দূর যায় না। বেশি মানুষের কাছে পৌঁছায় না। কেউ যদি সাহস দেখিয়ে স্যোসাল মিডিয়াতে বকবক করে তাহলে তাকে গ্রেফতার করে সাইজ করা হবে। জনগন এমনিতেই অনেক সাইজ হয়েছে। তাঁরা আর নতুন করে সাইজ হতে চায় না। এখন তাঁরা কোনো মতে দুটো ডাল ভাত খেয়ে বেঁচে থাকতে চায়। আর যাদের আর্থিক অবস্থা ভালো তাঁরা উন্নত দেশের দিকে ছুটে। সেখানে আনন্দময় জীবনযাপন করে। কিন্তু বার্গারে কামড় দেয়, কফিতে চুমুক দেয় আর দেশের জন্য তাদের মন পুড়ে। দূর থেকে দেশের কথা ভেবে বিষন্ন হয়, হা হুতাশ করেন। শেখ হাসিনার কথা মতো 'দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে' গেলেও- আজও মানুষ রাস্তায় ঘুমায়। আজও সরকারী হাসপাতালে দালাল, আজও লাখ লাখ বেকার, আজও সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তায় পানি জমে যায়, আজও ফুটপাত দখল, আজও ছাত্রলীগ ভয়ঙ্কর, আজও সরকারী অফিসে ঘুষ ছাড়া কাজ হয় না। আজও ক্ষমতাবানরা অসহায় ও দরিদ্র মানুষের উপর ঝুলুম করছে।

সহজ সরল সত্য কথা হলো-
আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে নামাবোর মতোন কোনো রাজনৈতিক দল বাংলাদেশে নেই। কেউ মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না। কোনো সাংবাদিক, কবি সাহ্যিতিক, সুশীল, বামদল, ডানদল, ফ্রন্ট, জামাত, আমলা, পুলিশ র‍্যাব, সেনাবাহিনী, জনগন কেউ তাদের সঠিক মনের কথা উচ্চারন করতে পারবে না। এখন আসল কথা শুনুন, বিএনপির চেয়ে আওয়ামীলীগ হাজার গুণ ভালো। তাঁরা দূর্নীতি করলে দেশের জন্য কাজ করেছে। ফালু, মালু, কালু, খোকা আর মির্জারা কি করেছে? তাদের দূর্নীতির ইতিহাস ভুলে গেছেন? পদ্মাসেতুর কথা ভাবুন, মেট্রোরেলের কথা ভাবুন, কত শত বড় বড় সুন্দর রাস্তাঘাট হয়েছে। বিদ্যুতের কথা ভাবুন। বহুদেশ বাংলাদেশ দূর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয় না। যদিও গত এক যুগে বহুলোক লোক ধনী হয়েছেন। অনেক লোক গাড়ি বাড়ি আর সীমাহীন সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। গ্রামের মফিজও এখন দেড় লাখ টাকা দামের বাইকে চড়ে বাজার করতে যায়। অনেকেই বউ বাচ্চাকে লন্ডন, আমেরিকা রেখে এসেছেন।

রাজনীতিবিদদের ছাত্রছায়ায় থেকে বহু লোক হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছে।
তাঁরা স্কুল করেছে, মাদ্রাসা করেছে, এতিমখানা করেছে, বাপ, মা আর দাদার নামে ফাউন্ডেশন করেছে, টিভি চ্যানেল করেছে, দৈনিক পত্রিকা বের করেছে, অনেক রকম ব্যবসা শুরু করেছে। সে প্রতিষ্ঠানে হাজার হাজার লোক কাজ করছে। তাতে বেকার সমস্যা কমেছে। এদের প্রতিষ্ঠানে কাজ করে লোকজন খেয়েপড়ে বেঁচে আছে। কেউ কেউ গ্রামে পাকা বাড়ি করেছে। ছাত্রলীগ যদিও জল্লাদ। বড় ভয়ংকর। তাঁরা দিনে দুপুরে মানুষ কুপিয়ে মেরে ফেলে। তাঁরা বেশ ভালো আছে। অল্প বয়সে অনেক টাকার মালিক হতে পেরেছে। তাঁরা ক্ষমতা বেশ ভালো কাজে লাগাচ্ছে। তারা ক্ষমতা উপভোগ করতে পারছে। এজন্য এখন পুলাপানদের প্রথম পছন্দ মহান সংগঠন ছাত্রলীগে যোগ দেওয়া। যাইহোক, শেষ কথা একটাই শেখ হাসিনা আমৃত্যু ক্ষমতায় থাকবেন।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৫৩
৭টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৩২

আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে[

স্বাধীন সাংবাদিকতার কণ্ঠরোধে রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা, মব-রাজনীতি ও এক ভয়ংকর নীরবতার ইতিহাস
চরম স্বৈরশাসন বা ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রেও সাধারণত সংবাদমাধ্যমের কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার সাহস কেউ করে না। কারণ ক্ষমতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

=হিংসা যে পুষো মনে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৮


হাদী হাদী করে সবাই- ভালোবাসে হাদীরে,
হিংসায় পুড়ো - কোন গাধা গাধিরে,
জ্বলে পুড়ে ছাই হও, বল হাদী কেডা রে,
হাদী ছিল যোদ্ধা, সাহসী বেডা রে।

কত কও বদনাম, হাদী নাকি জঙ্গি,
ভেংচিয়ে রাগ মুখে,... ...বাকিটুকু পড়ুন

গণমাধ্যম আক্রমণ: হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিলেন নূরুল কবীর ও নাহিদ ইসলাম !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:০৫


জুলাই গণঅভ্যুত্থানের রক্তস্নাত পথ পেরিয়ে আমরা যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলাম, সাম্প্রতিক মব ভায়োলেন্স এবং গণমাধ্যমের ওপর আক্রমণ সেই স্বপ্নকে এক গভীর সংকটের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। নিউ এজ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিএনপিকেই নির্ধারণ করতে হবে তারা কোন পথে হাটবে?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:০৫




অতি সাম্প্রতিক সময়ে তারেক রহমানের বক্তব্য ও বিএনপির অন্যান্য নেতাদের বক্তব্যের মধ্যে ইদানীং আওয়ামীসুরের অনুরণন পরিলক্ষিত হচ্ছে। বিএনপি এখন জামাতের মধ্যে ৭১ এর অপকর্ম খুঁজে পাচ্ছে! বিএনপি যখন জোট... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় আগ্রাসনবিরোধী বিপ্লবীর মৃত্যু নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৭



শরিফ ওসমান হাদি। তার হাদির অবশ্য মৃত্যুভয় ছিল না। তিনি বিভিন্ন সভা-সমাবেশ, আলোচনা ও সাক্ষাৎকারে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি অনেকবার তার অস্বাভাবিক মৃত্যুর কথা বলেছেন। আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও ভারতবিরোধী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×