
'দাঁড়াও পথিকবর, জন্ম তব এই বঙ্গে'
মহামান্য কবি- মাইকেল মধুসূদন দত্ত
তার কাছ থেকে একটা লাইন ধার করিলাম,
কারন আজ আমি একটি কবিতা লিখব বলে!
মাইকেল জীবিত নেই, জীবনানন্দ জীবিত নেই-
রবীন্দ্রনাথ জীবিত নেই, কাজী নজরুল জীবিত নেই,
জীবিতরাও একদিন জীবিত থাকিবে না বাহে,
ইহাই পৃথিবীর বিধান। মানিয়া লইতে হইবেক।
যদি আপনার পাশের বিল্ডিং থেকে কেউ-
আপনাকে সব সময় জানলা দিয়ে দেখে,
ফলো করে, তাহলে আপনার কেমন লাগিবে?
এমন ঘটনাই আজকাল ঘটিতেছে বাহে।
বড়ই চিন্তাযুক্ত আছি, বড়ই যন্ত্রনা।
আড্ডা চক্রে আমন্ত্রণ জানাই-
কামাল এবং চাঁদগাজী সাহেবকে
আরো একজনকে আমন্ত্রন জানাতে চেয়েছিলাম-
দূর্ভাগ্য সে জীবিত নাহি আর।
মৃত্যুর আগে উনি বলিয়াছিলেন-
উনার গ্রামের বাড়ি লইয়া যাইবেন।
পুকুরে মাছ ধরিবার ব্যবস্থা করিবেন।
আমি আছি। বাকিরা কি ব্যস্ত?
ভারত আর চীনের যুদ্ধ হইলে-
কি ভারত চীনকে হারাতে পারিবে?
বঙ্গ দেশটি তালিবানি দেশ হতে আর বেশী দেরি নেই,
অচিরেই আমরা দেখিতে পাইবো-
গোঁফহীন লম্বা দাড়ি ওয়ালা লোকেরা-
বাংলাদেশের রাস্তায় রাস্তায় হেটে যাচ্ছে
আর তাদের পেছন পেছন চারজন বিবি
ইয়া লম্বা কালো বোরখা পড়ে চলছে।
যে দেশে রবীন্দ্রনাথকে অপমান করা হয়,
সে দেশের কপালে দুঃখ অবধারিত।
(আমি কবিতা লিখতে পারি না। তবুও কবিতার মতো করে কিছুটা লিখতে চেষ্টা করেছি। জানি, কিছুই হয় নাই। তাতে কি? কিছুই না। আমারও কিছু না। আপনারও কিছু না। যাইহোক, আজ ২১ শে ফ্রেরুয়ারী। জিন্না বলে উঠলো "ঊর্দু এবং ঊর্দুই হবে রাষ্ট্রের ভাষা"। তখন সাড়ে সাত কোটি বাঙালির শরীরে প্রতিবাদী রক্ত ধ্বণিত হয়ে উঠলো। না, রাষ্ট্রের ভাষা বাংলা হবে। আমরা এক মহান জাতির উত্তরসূরি। যোগ্যতা ও মেধাকে বিকশিত করে বিশ্বের সেরা জাতিতে রূপান্তরিত হবো। জাতি ধর্ম বর্ণ গোত্র নির্বিশেষে সৃষ্টির কল্যাণে বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবো। এই দেশটা আসলেই বড় বিচিত্র, প্রাকৃতিক দৃশ্যে, সম্পদের উপকরনে, মানুষের স্বভাব এবং চরিত্রে। তাই তো এই দেশটা নিঃশেষ হতে গিয়েও হয় না। অটল বিশ্বাসে দাঁড়িয়ে থাকে অফুরন্ত প্রানশক্তি নিয়ে।)
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৩৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




