somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

আজকের ডায়েরী- ১১৩

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ছবিঃ আমার তোলা।

আজ ফেব্রুয়ারী মাসের শেষ দিন। আজ ২৮ তারিখ।
বইমেলা শেষ। আগামীকাল নতুন মাস শুরু হবে। মার্চ মাস। মার্চ মাসে তিনটা বিশেষ দিন আছে। ৮ তারিখ শবে বরাত। ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন। আর ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস। আর আমার জন্য আরেকটা স্পেশাল বিশেষ দিন হলো- ৭ মার্চ। সুরভির জন্মদিন। যাইহোক, আজ বাজার করলাম। আগামী একমাস নিশ্চিন্ত। ফ্রিজ ভরা থাকলে আমি নিশ্চিন্ত। একমাসের বাজার সব সেরে ফেলেছি। আর টুকটাক যা লাগবে সেগুলো বাসার কছেই দোকান থেকে নেওয়া যাবে। রমজান মাসের আবহাওয়া বাজারে এখনই পাওয়া যাচ্ছে। সেটা নিয়ে আমি চিন্তা করা ছেড়ে দিয়েছি। কারন, খেতে তো হবে। বাঁচতে তো হবে। তাই দাম নিয়ে হায় হায় করার কিছু নেই। যেমন- নাজিরশাইল চাল ৮০ টাকা কেজি। এখন কোনো কারণে যদি নাজিরশাইল ১৫০ টাকা কেজি হয়, তবুও কিনতে হবে, খেতে হবে। তাই আমি আর দাম নিয়ে হায় হায় করবো না।

আজ ছোট দশটা দেশী মূরগী কিনেছি।
স্যরি মূরগী না মোরগ। প্রতি পিছ পাঁচ শ' টাকা করে। বাজার থেকেই সুন্দর করে কেটে এনেছি। ফার্মের মূরগী, সোনালী মূরগী খেয়ে মজা নেই। দেশী মূরগীর ঝোল খেতেও অনেক মজা। এক কেজি ঘি কিনেছি ১৪ শ' টাকা দিয়ে। পোলাউ, রোস্ট আর কাবারে ঘি না দিলে খেতে স্বাদ লাগে না। ছোট কন্যার জন্য ফল কিনেছি। আপেলের দাম বেড়ে গেছে। কিছুদিন আগেও আপেল কিনেছি ২২০ টাকা কেজি। এখন ৩০০ টাকা কেজি। দোকানদার বলল- রমজান এলে দাম আরো বাড়বে। আমি মনে মনে বললাম, বাড়ুক। দেখি কত বাড়ে। পাঁচ শ' টাকা কেজি হলেও আপেল কিনব খাবো। তিন কেজি গরুর মাংস কিনেছি। এক কেজি কলিজা কিনেছি। দুই কেজি বট। আড়াই কেজি ওজনের একটা রুই মাছ কিনলাম। ছোট রুইমাছ খেয়ে আরাম পাই না। রুই মাছ কাটাতে নিলো ৫০ টাকা। তবে মাছটা কেটেছে সুন্দর করে। এই রুই মাছ ভেজে টোমেটো দিয়ে ভূনা করলে খেতে দারুন হবে।

পরিবারের জন্য দুইহাত ভরতি করে বাজার করতে ভালো লাগে।
বর্তমানে ফলের মধ্যে বড়ই সবচেয়ে সস্তা। বড় বড় বড়ই। ৫০/৬০ টাকা কেজি। খেতে খুব মিষ্টি। গত একমাসে আমি প্রায় ১২ কেজি বড়ই কিনেছি। আজও কিনেছি ৩ কেজি। গতকাল আমি আর সুরভি অনেক রাত পর্যন্ত জেগে ছিলাম। অতীত দিনের গল্প করেছি। আমাদের সামনে ছিলো বড়ই। দুজন মিলে প্রায় এক কেজি বড়ই খেয়ে ফেলেছি। ফারাজা বড়ই পছন্দ করে। সে-ও খায়। সবজির দাম অনেকে বেড়েছে। সামান্য কাঁচা মরিচের দামও অনেক। ছোটবেলা মা দু'টাকা দিতো। কাঁচা মরচি আনতে। সেই কাঁচা মরিচ ৪/৫ দিন খাওয়া যেতো। আর এখন চল্লিশ টাকার কাঁচা মরচি কিনলেও দুদিন হয় না। আজ ১৬০ টাকা দিয়ে এক কেজি কাঁচা মরচি কিনে ফেলেছি। কমপক্ষে পনের দিন তো যাবেই। আরো অনেক কিছু কিনতাম। কিন্তু ফ্রিজে আর জায়গা নেই।

আজ সকালে নাস্তা করেছি ধানমন্ডি স্টার রেস্টুরেন্টে।
আমার এক বন্ধু বলে এটা এলিট শ্রেনীর রেস্টুরেন্ট। সব মিলিয়ের আমরা ১৩ জন। সবাই একই স্কুলে, একই ক্লাশে পড়েছি। এর মধ্যে একজন বিদেশ থেকে এসেছে। সে আজকের সকালের নাস্তার আয়োজন করেছে। যে যা খুশি খাও। যত পারো খাও। আমি শুধু গরুর মাংস নিয়েছি, নেহারি নিয়েছি। আর পরোটা। আমি সাধারণত দুটা পরোটা খাই। কিন্তু আজ খেয়েছি তিনটা। সব শেষে এক কাপ চা। চা টা ভালো ছিলো। ১৩ জন খেলাম অথচ বিল পাঁচ হাজার টাকাও হয়নি। বন্ধুদের মধ্যে যাদের স্ত্রী আছে, তাদের জন্য পার্সেলের ব্যবস্থা ছিলো। আমি এরকম প্রোগ্রামে যাই না। কিন্তু বিদেশ থেকে আসা বন্ধু খুব আন্তরিকতার সাথে অনুরোধ করেছে। কেউ আমাকে খুব অনুরোধ করলে আমি মানা করতে পারি না। অনেককে দেলখলাম অকারনে হা হা, হি হি করে হাসছে। ছবি তুলছে। এসব আমি পারি না। আসলে এসব আমার পছন্দ না।

যাইহোক, আজ লেখা এখানেই শেষ করছি।
অনেকদিন বৃষ্টি হয় না। তাই সুরভিকে বলতে পারি না- আজ কি সুন্দর বৃষ্টি হচ্ছে দেখেছো! খিচুড়ি রান্না করো। বৈশাখ মাস না এলে তো আর বৃষ্টি হবে না। বৈশাখ মাস আসতে দেরী আছে। তাই বলে কি খিচুড়ি খাবো না! সুরভির রান্না শেষের দিকে। যাই গরম গরম খিচুড়ি খেয়ে আসি। গরম গরম না খেলে সুখ নাই। সাথে ইলিশ মাছ ভাঁজা। আর দেরী মূরগীর ঝাল ফ্রাই। গত পরশু এক মাছ বিক্রেতা মসজিদের সামনে বসে ছিলো। সে সব মাছ বিক্রি করে ফেলেছে। দুটা রয়ে গেছে। দুটা দুই কেজি হবে। আমার মাছ নেওয়ার ইচ্ছা ছিলো না। তাই বললাম, দুটা দুই হাজার টাকা দাও। দিয়ে দিলো। আমিও নিয়ে নিলাম। মাছ দুটা কিনে জিতেছি। ভীষণ তেল হয়েছে। একটাতে আবার ডিম হয়েছে। সুরভিও বলেছে, মাছ দুটা ভালো হয়েছে। সেদিন বাসার সবাই মাওয়া গিয়েছিলো। আমি যাইনি। তাঁরা আমার জন্য দুই পিছ ইলিশ মাছ ভাঁজা এনেছিলো। খেয়ে আরাম পাইনি। তাই আজ ইলিশ খাবো।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:০৪
৮টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছাত্রলীগের লুঙ্গির নিচে ছিল শিবির, এখন শিবিরের লুঙ্গির নিচে ঘাপটি মেরে আছে গায়ে বোমা বাঁধা সশস্ত্র জঙ্গিরা

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:১৫


"তাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আদেশ: চোখে যা দেখেছো, কানে যা শুনেছো, সেগুলো সঠিক নয়, সেসব ভুলে যাও।" - জর্জ অরওয়েল

অনেকদিন ধরে একটি পরিকল্পিত অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, বাংলাদেশে কোনো জঙ্গি নেই। এতদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারো বলছি দেশে জঙ্গী নেই উহা ছিল আম্লিগ ও ভারতের তৈরী

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:০৮


আওয়ামী নস্টালজিয়ায় যারা অন্তরের ভিতর পুলকিত বোধ করে তাদের কাছে বাংলাদেশ মানেই হলো জঙ্গী, অকার্যকর অথবা পাকিস্তানের মতো ব্যর্থ রাষ্ট্র। ৩৬ জুলাই পরবর্তী মহা-গণবিস্ফােরনকে কোনাভাবেই মানতে পারেনি তারা ভয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী-লীগের ছায়া দায়িত্ব নিয়ে তারেক জিয়া এখন দেশে

লিখেছেন অপলক , ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৩৬



সংবাদের টাইটেল অনেক কিছু বলে দেয়। ভেতরেটা না পড়লেও চলে। বস্তুত: এতদিন ধরে ভারতের গ্রীন সিগনাল পাচ্ছিলেন না, তাই তারেক জিয়া দেশে আসার সময় বারবার পিছাচ্ছিলেন। এখন চুক্তি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভোটের পর, আমরা পাকীদের বুটের নীচে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩২



পাকীরা অমানুষ, অপসংস্কৃতির ধারক ও বাহক; ওরা ২টি জাতিকে ঘৃণা করে, ভারতীয় ও বাংগালীদের; ওরা মনে করে যে, বাংগালীদের কারণেই পাকিরা হিন্দুদের কাছে পরাজিত হয়েছে ১৯৭১... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফুড ফর থট!!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৩৫



একটা বিশাল আলোচনাকে সংক্ষিপ্ত আকার দেয়া খুবই কঠিন, বিশেষ করে আমার জন্যে। তারপরেও বর্তমান পরিস্থিতিতে ভাবলাম কিছু কথা বলা উচিত। দেশের আভ্যন্তরীন বা আঞ্চলিক রাজনীতিতে ক্রমাগত বড় বড় ভূমিকম্প... ...বাকিটুকু পড়ুন

×