somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

ঢাকা শহরের কিছু অজানা তথ্য জানুন, যা বেশিরভাগ মানুষই জানে না

০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



১। খিলগাঁও তালতলা মার্কেটের কাছে 'আপন কফি হাউজ' আছে।
বেশ জনপ্রিয়। একসময় তাঁরা শুধু কোল্ড কফি আর হট কফি বিক্রি করতো। এখন তাঁরা বিরাট ব্যবসায়ী। ফাস্ট ফুডের সব রকম খাবারই তাদের কাছে পাওয়া যায়। খাবারের আইটেম বেড়েছে। সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে দোকানের স্পেস। লোকজন পাগলের মতো 'আপন কফি হাউজে' আসে। মাঝে মাঝে 'আপন কফি হাউজে' এমন অবস্থা হয় যে- বসার জায়গা পাওয়া যায় না। আমি নিজেই বেশ কয়েকবার গিয়ে ফিরে এসেছি।

যাইহোক, খেয়াল করে দেখবেন-
'আপন কফি হাউজে'র সামনে ফুটপাতে এক মহিলা বসে থাকে তার ছোট বাচ্চাকে নিয়ে। সেই মহিলা সিগারেট আর বাচ্চাদের বেলুন বিক্রি করে। দেখে আপনার মায়া লাগবে। কিন্তু এই মহিলা সিগারেট আর বেলুন বিক্রি করাটা জাস্ট লোক দেখানো। তার আসল ব্যবসা হচ্ছে- গাঁজা বিক্রি করা। ইয়াবা বিক্রি করা। প্রতিদিন সে বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত গাঁজা আর ইয়াবা বিক্রি করে। বহু বছর হয়ে গেলো। তার গ্রাহকের সংখ্যা অনেক। 'আপন কফি হাউজে'র লোকদের উচিৎ এই মহিলাকে এই কাজ থেকে বিরত রাখা। তাদের দোকানে তাকে একটা কাজ দেওয়া। তাহলে হয়তো এই মহিলাটা আর মাদক বিক্রি করবে না।

২। এই সমাজে বহু রকমের ভিক্ষুক আছে।
ভিক্ষুকদের সিন্ডিকেট আছে। অবশ্য আজকাল সব জাগাতেই সিন্ডিকেট আছে। ঢাকা শহরের অনেক জায়গায় দেখবেন একজন মা তার দুই বাচ্চাকে নিয়ে ভিক্ষা করছে। ফুটপাতে দুই বাচ্চা ঘুমে। গভীর ঘুমে। মা বসে আছে। তার মুখখানি অনেক করুণ। দেখলে আপনার মায়া হবেই। যারা ফুটপাত দিয়ে হেটে যাচ্ছে। তাদের অনেকেই ভিক্ষা দিচ্ছে। দৃশ্যটা খুব করুণ। এক অসহায় মা তার দুই বাচ্চা নিয়ে ফুটপাতে। বাচ্চা দুটা ঘুমে। টানা তিন মাস পরপর এই ভিক্ষুক মা তাঁরা স্থান পরিবর্তন করে।

যে দুটা বাচ্চা ফুটপাতে ঘুমিয়ে আছে।
তাঁদের কি ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে? নাকি বাচ্চা দুটা ঘুমের অভিনয় করছে? এভাবে রাস্তায় দুটা বাচ্চা ঘুমিয়ে যেতে পারে না। ব্যস্ত রাস্তায় একটানা বিকট গাড়ি বাসের হর্নের শব্দ। এই বিকট শব্দে কারো ঘুমানো সম্ভব না। প্রতিদিন একই সময়ে বাচ্চা দুটা কিভাবে ঘুমাচ্ছে? বাচ্চা দুটাকে ওষুধ খেয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়। একদিন আমি জিজ্ঞেস করেছি- বাচ্চা দুটা কি আপনার? নাকি ওদের ভাড়া এনেছেন? ওদের কেন ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখেন? মহিলা আমার উপর রেগে গেলো।

৩। ঢাকা শহরের অনেক ফুটপাতে বিশেষ করে-
মহাখালি, বনানী, আগারগাও, ফার্মগেট, কল্যাণ পুর, কমলাপুর ইত্যাদি এলাকায় দেখবেন কিছু ভিজিটিং কার্ড ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলা রাখা হয়েছে। এই কার্ড গুলো কারা ফুটপাতে ফেলে রেখেছে? কেনে ফেলে রেখেছে? কার্ডে শুধু একটা নাম এবং একটা মোবাইল ফোন নাম্বার আরা কিছু নেই। যেমন ধরুন- হৃদয় মিয়াঁ। তারপর হৃদয় মিয়ার মোবাইল নম্বর। রাজ্জাক। তারপর রাজ্জাক সাহেবের ফোন নম্বর। কত রকম উপায়ে যে মানুষ টাকা ইনকাম করছে!

মূলত এই কার্ড গুলো যারা রাস্তায় ফেলে রেখেছে তাঁরা দালাল।
মেয়েদের দালাল। যাদের একজন নারীর দররকার তাঁরা সেই দালালের নম্বরে ফোন দেয়। ফোনে ফোনে সব ব্যবস্থা হয়ে যায়। আমি নিজেই এরকম একটা নাম্বারে ফোন দিলাম। দালাল বলল, কি রকম মেয়ে চাই? ইউনিভার্সিটির? ভার্জিন? অল্প বয়সি? ইত্যাদি কথাবার্তা। আমি বললাম, আপনারা কার্ড গুলো রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখেন কেন? লোকটা বলল, এই জন্যই তো আপনি আমাকে ফোন দিতে পারলেন। এখন বলেন, আপনার কি রকম মেয়ে লাগবে? যদি দুদিনের জন্য মেয়ে নিয়ে কক্সবাজার যেতে চান সে ব্যবস্থা করা যাবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:৩৪
১৫টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছাত্রলীগের লুঙ্গির নিচে ছিল শিবির, এখন শিবিরের লুঙ্গির নিচে ঘাপটি মেরে আছে গায়ে বোমা বাঁধা সশস্ত্র জঙ্গিরা

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:১৫


"তাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আদেশ: চোখে যা দেখেছো, কানে যা শুনেছো, সেগুলো সঠিক নয়, সেসব ভুলে যাও।" - জর্জ অরওয়েল

অনেকদিন ধরে একটি পরিকল্পিত অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, বাংলাদেশে কোনো জঙ্গি নেই। এতদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারো বলছি দেশে জঙ্গী নেই উহা ছিল আম্লিগ ও ভারতের তৈরী

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:০৮


আওয়ামী নস্টালজিয়ায় যারা অন্তরের ভিতর পুলকিত বোধ করে তাদের কাছে বাংলাদেশ মানেই হলো জঙ্গী, অকার্যকর অথবা পাকিস্তানের মতো ব্যর্থ রাষ্ট্র। ৩৬ জুলাই পরবর্তী মহা-গণবিস্ফােরনকে কোনাভাবেই মানতে পারেনি তারা ভয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী-লীগের ছায়া দায়িত্ব নিয়ে তারেক জিয়া এখন দেশে

লিখেছেন অপলক , ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৩৬



সংবাদের টাইটেল অনেক কিছু বলে দেয়। ভেতরেটা না পড়লেও চলে। বস্তুত: এতদিন ধরে ভারতের গ্রীন সিগনাল পাচ্ছিলেন না, তাই তারেক জিয়া দেশে আসার সময় বারবার পিছাচ্ছিলেন। এখন চুক্তি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভোটের পর, আমরা পাকীদের বুটের নীচে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩২



পাকীরা অমানুষ, অপসংস্কৃতির ধারক ও বাহক; ওরা ২টি জাতিকে ঘৃণা করে, ভারতীয় ও বাংগালীদের; ওরা মনে করে যে, বাংগালীদের কারণেই পাকিরা হিন্দুদের কাছে পরাজিত হয়েছে ১৯৭১... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফুড ফর থট!!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৩৫



একটা বিশাল আলোচনাকে সংক্ষিপ্ত আকার দেয়া খুবই কঠিন, বিশেষ করে আমার জন্যে। তারপরেও বর্তমান পরিস্থিতিতে ভাবলাম কিছু কথা বলা উচিত। দেশের আভ্যন্তরীন বা আঞ্চলিক রাজনীতিতে ক্রমাগত বড় বড় ভূমিকম্প... ...বাকিটুকু পড়ুন

×