somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

হাদীস সম্পর্কে আমার মতামত

০৩ রা জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



হাদীস থেকে একশ' হাত দূরে থাকুন।
হাদীস নিয়ে যারা লাফায় তাঁরা গাধা ও নির্বোধ। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ' বছর পর হাদীস লেখা হয়। যা সম্পূর্ন বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। কাল্পনিক। অথচ কিছু মুসলিম সেই সমস্ত হাদীস মেনে চলছে। যা আজকের যুগে হাস্যকর। নবীজির যখন জন্ম হয়, তখন কম্পিউটার ছিলো না। ইন্টারনেট ছিলো না। উড়োজাহাজ ছিলো না। জাহাজ ছিলো না। উন্নত কিছুই ছিলো না। তখন মানুষ রুপকথা বিশ্বাস করতো। এছাড়া তাদের আর উপায় ছিলো না। হাদীস বাদ দিয়ে কোরআন আকড়ে ধরুন। কেন সহী হাদীস, জাল হাদীসের জামেলায় যাবেন? জ্ঞানী মানুষেরা কি রুপকথা বিশ্বাস করে? ধার্মিকেরা লজিক বুঝে না। তাদের আছে বিশ্বাস। যারা বিনা দ্বিধায় শুধু বিশ্বাস করে তাঁরা মূলত কমজ্ঞানী।

নবীজির সময় অন্যান্য দেশ আরবদের তুলনায় উন্নত ছিল।
আরবদের গজব অবস্থা ছিলো। নবীজির বহু আগে জন্ম নিয়েছেন, মহামতি এরিস্টটল। প্লেটো। কনফুসিয়াস। গৌতম বুদ্ধ। পীথাগোরাস। তাঁরা নিজদের গবেষণা ও জ্ঞান দিয়ে বিশ্বের মঙ্গল করেছেন। তাঁরা কোনো রুপকথার গল্প শোনান নি। তাদের ছিলো সৎ চিন্তা। মহৎ চিন্তা। উন্নত চিন্তা। তাঁরা নারী ভোগ নিয়ে তাঁরা মাথা ঘামাতো না। তাঁরা যুদ্ধের নাম দিয়ে লুটপাত করতো না। দাসী ভোগ করতো না। আর আরবেরা কুসংস্কার বিশ্বাসে মেতেছে। যেখানে জ্ঞান নেই, সেখানেই বাসা বাঁধে রুপকথার দুনিয়া। মূলত আরবের লোকজন ছিলো মূর্খ। তাদের চিন্তা ভাবনা ছিলো অতি নিম্ম মানের। সেই সময় আরববাসী তাদের আগে জন্ম নেওয়া মহামতিদের চিনতেনে না, জানতেনে না। সেই সময় যারা ধর্ম ধর্ম করে জিকির তুলেছে, তাঁরা নিজেদের ভোগ বিলাসের চিন্তা থেকেই এরকম করেছে। রুপকথা তৈরি করেছে।

হুজুরেরা নিজেদের স্বার্থে এইসব ভুলভাল হাদীস আজও টিকিয়ে রেখেছে।
ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করার জন্য হাদীসের প্রয়োজন আছে। যেসব হাদীস একটু সাংঘর্ষিক সেগুলোকে হুজুরেরা চালাকি করে বলে দেন- এগুলো জাল হাদীস। আর যেসব হাদীস নিজেদের অনুকূলে সেগুলোকে বলেন এগুলো সহী হাদীস। মূলত হাদীস গুলো বানোয়াট। তৎকালীন কিছু চালাক মানুষ নিজেদের স্বার্থে হাদীস গুলোর জন্ম দিয়েছেন। নবীজির সঠিক ইতিহাস কোরআনে যতটকু আছে, সেটাই সঠিক। বাকি সব গালগল্প, বানোয়াট। মুলিমদের হাতে কোরআন থাকতে হাদীসের প্রয়োজনটাই বা কি? পৃথিবীর সব কিছুর সমাধান তো কোরআনে আছেই। একজন মানুষ কোরআনের নিয়মে চললেই তো হয়। অবশ্য আজকাল কোরআনের নিয়ম অনুযায়ী রাষ্ট্র চলে না। রাষ্ট্র চলে মানুষের তৈরি সংবিধান অনুযায়ী। আমাদের মতো মুসলিম দেশও কোরআনের নিয়মে চলে না। এক হিসেবে দেখা যায়- যারা নিজস্ব সংবিধান দিয়ে দেশ পরিচালনা করছেন তাঁরা ভালো আছে। আর যারা কোরআনের নিয়ম মতে দেশ চালাচ্ছেন তাঁরা ভালো নেই।

হাদীস গুলো এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে,
যেন সবাই বাধ্য হয়ে নবীজিকে হিরো মনে করে। মহামানব মনে করে। জানা যায়, আমাদের নবীজি অনেক গুলো বিয়ে করেছেন। লেখাপড়া জানতেন না। নানান রকম কুসংসস্কারে বিশ্বাস ছিলেন। লেখাপড়া না করেও- সুন্দর করে গুছিয়ে কথা বলতে পারতেন। মিথ্যা বলতেন না। লোকজন তার প্রতি মুগ্ধ হয়ে যেতেন। দরিদ্র পরিবারের সন্তান ছিলেন আমাদের নবীজি। স্ত্রীদের ভালোবাসতেন। কাফেলাতে কোন স্ত্রীকে সঙ্গে নেবেন সেটা নিয়ে লটারী করতেন। নবীজি খেজুর, কালোজিরা, খরগোশ আর সিরকা খুব পছন্দ করতেন। সেই সময় উন্নত চিকিৎসা না থাকায় নবীজি অনেক বার অসুস্থ হয়েছেন। সাহাবীরা নানান রকম সমস্যায় পড়লে নবীজির কাছে আসতেন সমাধানের জন্য। কেউ এসে বলতো- অমুকে আমার ঘরে উঁকি দেয়। তখন নবীজি বলতেন- খেজুর কাটা দিয়ে তার চোখ উপড়ে ফেলো। কেউ বলতো- আমার মাথায় অনেক উকুন। নবীজি বলতেন- রোজা রাখো, বরকী কোরবানী দাও।

আমরা যাকে ভালোবাসি তাকে মহান করে দেখতে ভালোবাসি।
বর্তমান যুগ বিজ্ঞানের যুগ। আধুনিক যুগ। এই যুগে মানুষ রুপকথা বিশ্বাস করে না। লাঠি সাপ হয়ে গেছে, একলোক মাছের পেটে ঢুকে গেছে, বোরাক নামের যান দিয়ে আসমানে যাওয়া যায়। খারাপ জ্বিন টয়লেটে থাকে। তাঁরা মৃত মানুষের হাড় খায়। শয়তান মানুষকে দিয়ে সকল মন্দ কাজ করিয়ে নেয়। ইত্যাদি। মূলত বিজ্ঞান ধর্মকে কোনঠাসা করে ফেলেছে। নবীজির সময় যদি ইন্টারনেট থাকতো, মোবাইল ফোন থাকতো, উড়োজাহাজ থাকতো, নাসা থাকতো, মানুষজন জ্ঞান বিজ্ঞানে উন্নত থাকতো- তাহলে লোকজন রুপকথা বিশ্বাস করতো না। নবীজি অনেক কথা বলে গেছেন, আরবে যে তেলের খনি আছে সেই কথা বলে যাননি।

ছোট একটা গল্প বলে লেখাটা শেষ করি।
এক কামিলদার হুজুর মসজিদে নামাজ পড়ে বের হয়ে এসে বলছেন, যা যা। একলোক দাঁড়িয়ে এ দৃশ্য দেখলো। বলল, হুজুর এখানে তো কেউ নেই, আপনি কাকে যা যা বলছেন? হুজুর বললেন, আমি দেখলাম মক্কা শরীফের ভেতর একটা কুকুর ঢুকতে যাচ্ছিলো। আমি তাকে তাড়িয়ে দিলাম। লোকটা হুজুরের ক্ষমতায় মুগ্ধ হয়ে গেলো। তারপর অনেক অনুনয়-বিনয় করে বলল হুজুর, আজ রাতে আপনি আমার বাসায় খানা খাবেন। প্লীজ মানা করবেন না। আল্লাহর দোহাই লাগে। হুজুর খানা খেতে রাজী হলেন। রাতে হুজুরকে খানা দেওয়া হলো। হুজুরর খেতে বসে দেখেন প্লেট উঁচু করে ভাত দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনো মাছ দেওয়া হয় নাই। তখন হুজুর বললেন, শুধু ভাত খাবো কি করে? মাছ কোথায়? মাছ? তখন লোকটার স্ত্রী এসে হুজুরকে বললো- হারামজাদা হাজার মাইল দূরে মক্কার ঘরে কুকুর প্রবেশ করে সেটা দেখে ফেলিস আর তোর ভাতের নিচে মাছ আছে, সেটা দেখিস না? আজকা তোরে খাইছি। তখন ভন্ড হুজুর এক দৌড়ে পালিয়ে গেলো।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:১০
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×